1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধনী দেশের মতো খেলে সাতটা বিশ্ব চাই

১৭ জুলাই ২০২০

শিল্পোন্নত জি ২০ দেশের লোকেরা যে  ধরনের খাবার, যতটা পরিমাণে খান, বাকি বিশ্বও তা শুরু করলে আরও অন্তত সাতটা পৃথিবী লাগবে সেই খাবার যোগান দিতে।

x)
ছবি: Colourbox

সব চেয়ে বড় অপরাধী হলো অ্যামেরিকা ও জার্মানি। সঙ্গে আছে, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ক্যানাডার মতো দেশগুলি। ব্যতিক্রম ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য প্যারিস ক্লাইমেট মিট-এ খাবার সংক্রান্ত কার্বন নিঃসরণের মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া বাদে বাকি জি ২০ দেশগুলি থেকে অনেক বেশি কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে। এর জন্য দায়ী খুব বেশি পরিমাণে রেড মিট ও দুধজাত জিনিস খাওয়া।

নরওয়ের অলাভজনক সংস্থা ইট-এর রিপোর্ট 'দ্য ডায়েট ফর আ বেটার ফিউচার'-এ এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, অধিকাংশ দেশে কোন খাবার কী পরিমাণ খাওয়া উচিত তার একটা নীতি আছে। সেই নীতি মেনে চলা উচিত। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের কর্তা জোয়াও ক্যাম্পারি বলেছেন, ''এই রিপোর্টে পরিষ্কার দেখানো হয়েছে, জি ২০ দেশের লোক যে খাবার খায় তা ঠিক নয়। যদি গোটা বিশ্বের লোক তাঁদের অনুসরণ করেন তা হলে আরও সাত দশমিক চারটি পৃথিবী দরকার হবে সেই খাবার যোগানের জন্য।'' 

এ ক্ষেত্রে অপরাধী হলো ধনী দেশগুলি। তাদের দেশে একটা নীতি রয়েছে, কতটা খাবার খেলে পুষ্টি ঠিক থাকবে, বিশ্বও বাঁচবে। কিন্তু সেখানকার মানুষ তার থেকে অনেক বেশি খায় এবং নষ্ট করে। জি ২০ দেশগুলির মধ্যে আছে, বিশ্বের সব চেয়ে বড়, শিল্পোন্নত, প্রভাবশালী ১৯টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্যারিস পরিবেশ চুক্তির লক্ষ্য ছিল, বিশ্বের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস কম করা। এ জন্য খাবার সংক্রান্ত কার্বন নিঃসরণ কম করতে হবে। জি ২০ দেশগুলি ৭৫ শতাংশ খাবারজনিত কার্বন নিঃসরণ করছে।

শুধু খাদ্যাভ্যাস নয়, খাবার নষ্ট করার প্রবণতাও মারাত্মক। রিপোর্টের অন্যতম রচয়িতা ব্রেন্ট লোকেন বলেছেন, ধনী দেশগুলিতে প্রচুর পরিমাণে খাবার নষ্ট হয়। করোনার ফলে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থা কীভাবে ভেঙে পড়েছে সেটাও মাথায় রাখতে হবে।  লোকেন জানিয়েছেন, ''আমরা যে খাবার খাই এবং সেটা কীভাবে তৈরি হয়, তার ওপর কোভিড ১৯ এর মতো ভয়ঙ্কর ভাইরাস তৈরি হওয়া ও তাণ্ডব নির্ভর করে। স্বাস্থ্যকর, সুষম আহার করলে ভবিষ্যতে এই ধরনের মহামারির ঝুঁকি কমবে। এই মহামারি দেখিয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কতটা ভেঙে পড়েছে।''

তবে খাবারের ফলে কার্বন নিঃসরণের সব চেয়ে বড় কারণ হলো রেড মিট এবং দুধজাত জিনিস বেশি খাওয়া। রেড মিট বেশি খেলে সেই সব পশুপালন অনেক বেশি করতে হবে। চারণভূমি বেশি লাগবে। জঙ্গলের পরিমাণ কমবে। ফলে কার্বন নিঃসরণ বাড়বে। বাকি কার্বণ নিঃসরণ হয় বেশি করে রাসায়ণিক সার ব্যবহার, ধানের উৎপাদন বাড়ানো, কৃষি জমির পরিমাণ কম হওয়া এবং জঙ্গল কমে যাওয়ার কারণে।  জি ২০ দেশে রেড মিট, দুধ ও দুধজাত জিনিস সব চেয়ে বেশি খান লোকেরা।

রিপোর্ট বলছে, অনেক দেশেই রেড মিট ও দুধজাত খাবার কতটা খাওয়া দরকার তার পরিমাপ আছে। জার্মানিতে যেমন দিনে খুব বেশি হলে ৫০ গ্রাম রেড মিট খাওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু খাওয়া হয় ১১০ গ্রাম। আর গোটা বিশ্বের জন্য যে নীতি, তাতে বলা হয়েছে, ২৮ গ্রামের বেশি রেড মিট যেন না খাওয়া হয়। জি ২০ দেশগুলির কারণে তাই কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। বিপদ বাড়ছে পৃথিবীর।

ইলিয়ট গডলাস/জিএইচ/এসজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ