এক বছর আগে ‘ইসলামিক স্টেট' ইরাকের উত্তরে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের উপর হামলা চালিয়েছিল৷নারীদের ব্যাপক মর্যাদাহানি ঘটেছিল৷ ডয়চে ভেলের ক্যার্স্টেন ক্নিপ মনে করেন, এর মাধ্যমে আইএস-এর নৈরাশ্যবাদী পুরুষতান্ত্রিক চরিত্র ফুটে ওঠে৷
বিজ্ঞাপন
অপরাধের সপক্ষে যুক্তিগুলি নানা মন্তব্যের মধ্যে প্রকাশ পায়৷ বছর খানেক আগে আইএস ইরাকের উত্তরে ইরাকের উত্তরে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ভিটেমাটির উপর হামলা চালিয়েছিল৷ প্রাক-ইসলামি যুগের এই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পুরুষদের হাজারে-হাজারে হত্যা করে তারা৷ নারীদের অপহরণ, বিক্রি, ধর্ষণ ও আবার বিক্রি করা হয়েছে৷ কিছু ইয়াজিদি পুরুষকে মৃত্যুর বদলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল৷ অনেকেই বাধ্য হয়ে সেই সুযোগ গ্রহণ করেছে৷ ইন্টারনেটে গণ ধর্মান্তকরণের ছবি প্রকাশিত হয়েছে৷ ভয়ার্ত কণ্ঠে তারা বলেছে, ‘‘অন্ধকারে ছিলাম, এবার আলোকিত জীবন পেলাম৷''
‘‘আমরা এখন আলোকিত জীবন পেয়েছি'' – জিহাদিদের বিশ্বাসের ভিত্তি এই বাক্যের মাধ্যমে প্রকাশ পায়৷ বিশেষ করে ইয়াজিদিদের নিপীড়নের ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে, যে যারা ‘আলোকিত জীবন'-এর মধ্যে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কার্যত সবকিছুর অনুমতি রয়েছে৷ পবিত্র কোরান সেই মাত্রা পর্যন্ত বিকৃত করা হয়, যতক্ষণ না জিহাদিদের কার্যকলাপের অনুমোদন পাওয়া যায় – চুরি, ডাকাতি থেকে শুরু করে ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধও সেই তালিকায় রয়েছে৷
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
শুধু ইরাক আর সিরিয়া নয়, আজকাল বিশ্বের অনেক দেশেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর তৎপরতার কথা শোনা যায়৷ খেলাফত কায়েমের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়েই আমাদের আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
ছবি: DW/Andreas Stahl
সাংবাদিক, এনজিওকর্মী হত্যা করে হুমকি
তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ না করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার বেশ কিছু নজীর গড়েছে আইএস৷ বিমান হামলার প্রতিশোধের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সাংবাদিক, একজন এনজিও কর্মী এবং ব্রিটেনের দু’জন এনজিও কর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে৷ গত আগস্টে তাঁর শিরশ্ছেদ করে ভিডিওচিত্র প্রচার করে আইএস৷
ছবি: dapd
মুসলমান হলেও রক্ষা নেই....
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন পিটার কাসিগ৷ মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ গত নভেম্বরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁকেও হত্যা করে আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেন বারাক ওবামা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family
জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, তারপর...
জাপানের দুই নাগরিককে জিম্মি করে প্রথমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে আইএস৷ মুক্তিপণ না পাওয়ায় হারুনা ইউকাওয়াকে হত্যা করলেও সাংবাদিক কেনজি গোতোকে আটকে রাখে৷ গোতো এবং জর্ডানের বৈমানিক আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে জিম্মি করে তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে জর্ডানে আটক আইএস-এর এক নারী যোদ্ধার মুক্তি দাবি করা হয়৷ তাঁকে মুক্তি না দেয়ায় কেনজি গোতো এবং আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে হত্যা করে আইএস৷
ছবি: Reuters/www.reportr.co via Reuters TV
ইরাকে শুরু....
গত বছরের জুন মাসে ঝটিকা আক্রমণের ইরাকের মোসুল দখল করে নেয় আইএস৷ সুন্দিদের এই জঙ্গি সংঠনটি তারপর ইরাকের বেশ বড় একটা অংশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ সিরিয়াতেও দখল করে নেয় কিছু এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
বাংলাদেশেও তৎপর আইএস...
আইএস সরাসরি যুদ্ধ করছে ইরাক আর সিরিয়ায়৷ যোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকে৷ জার্মানি, বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে জঙ্গি মনোভাবাপন্নরা গিয়েছে ইরাক, সিরিয়ায়৷ এশিয়ার দেশগুলোতেও তৎপর আইএস৷ বাংলাদেশেও আইএস সমর্থক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে৷
ছবি: Reuters
জুতার নীচে আইএস!
আইএস-এর প্রতি ঘৃণাও বাড়ছে সারা বিশ্বে৷ ইরাকের স্থপতি আকীল খ্রীফ তো আইএস জঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব এক উপায়৷ পুরোনো জুতা সংগ্রহ করে তার নীচে জুতার পরিত্যক্ত ফিতা, বোতাম ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন আইএস জঙ্গিদের চেহারার আদল৷ আকীল খ্রীফ মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের স্থান জুতার নীচেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Armend Nimani/AFP/Getty Images
বৈমানিককে পুড়িয়ে মারা এবং জর্ডানের ‘প্রতিশোধ’
আটক নারী যোদ্ধাকে মুক্তি না দেয়ায় জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে আইএস৷ ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে (ওপরের ছবি) হত্যা করে আইএস ভিডিও প্রকাশের পরই তাদের নারী যোদ্ধা সাজিদা আল-রিশোয়াই ও আরেক কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
8 ছবি1 | 8
‘‘আমরাই তোমাদের ঈশ্বর''
অত্যাচারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসা এক ইয়াজিদি নারী বলেন, ‘‘ওরা আমাদের সঙ্গে কী না করেছে!'' এর বেশি তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব হয়নি৷ কিন্তু বিভিন্ন ভিডিও থেকে ইয়াজিদি নারীদের মর্মান্তিক দশা বোঝা যায়৷ এমনকি সাত-আট বছরের বালিকাদের ৩০-৪০ বছরের লোকেদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে৷ যে সব নারীরা ধর্ষণে বাধা দিয়েছে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ অনেকে নিজেদের কামনা-বাসনা মিটিয়ে নারীদের বিক্রি করে দিয়েছে৷ কয়েকজন ইয়াজিদি নারী জানিয়েছেন, তাঁদের ২০ বারেরও বেশি বিক্রি করা হয়েছে৷ অনেকে নিজেদের ধর্মকে আঁকড়ে ধরে কিছুটা শান্তি পাবার চেষ্টা করেছেন৷ ‘মালিক'-রা তাদের অবজ্ঞা করে বলেছে, ‘‘তোমাদের ধর্ম ভুলে যাও৷ আমরাই তোমাদের ঈশ্বর৷''
‘‘আমরাই তোমাদের ঈশ্বর'' – এই বাক্যটি ভালো করে ভেবে দেখা উচিত৷ জিহাদিরা কীভাবে নিজেদের হাতে মাত্রাহীন ক্ষমতা সঁপে দিয়েছে, এর চেয়ে স্পষ্ট ও নিষ্ঠুরভাবে তা বোঝানো সম্ভব নয়৷ এই বাক্য অপরাধীদের আর কোনো সীমারেখা রাখেনি৷ জিহাদিরা মুখে যাই বলুক, আসলে তারা কোনো ঈশ্বরকে মানে না – তারা নিজেরাই ঈশ্বরের ভূমিকায় অভিনয় করছে৷ আইএস আসলে রন্ধ্রে রন্ধ্রে নাস্তিকদের এক আন্দোলন৷ আধুনিক যুগে এমন ‘সিনিকাল' বা নৈরাশ্যবাদী প্রবণতার সহজে তুলনা মেলে না৷ জার্মানিতে এমন এক নিপীড়নকারীকে হাড়ে হাড়ে চেনা যায়৷ সে ৭৫ বছর আগে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে তার কাজ চালিয়েছে৷ যারা তার নিপীড়নের শিকার হয়েছে, তাদের দুর্দশা দেশে সেও বড় তৃপ্তি পেত৷ সেই সব মানুষও তাদের নিপীড়নকারীদের যে বর্ণনা দিয়েছেন, তার সঙ্গে ইয়াজিদিদের বর্ণনার আশ্চর্য মিল পাওয়া যায়৷
আইএস কী, কোথায় এবং কেন?
প্রতিদিনই খবরে আইএস৷ কোনোদিন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য, কোনোদিন হয়তো ইরাক বা সিরিয়ায় কোনো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য৷ আইএস বলছে, ইসলামি খেলাফত কায়েম করার জন্য যুদ্ধে নেমেছে তারা৷ ছবিঘরে আইএস সম্পর্কে কিছু তথ্য....
ইসলামিক স্টেট বা আইএস আসলে কী?
আল কায়েদা থেকে তৈরি হওয়া সুন্নি মুসলমানদের জঙ্গি সংগঠন আইএস৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে এবং বাশার আল আসাদের আমলে সিরিয়ায় সুন্নিদের হতাশা থেকেই জন্ম সংগঠনটির৷ আইএস-এর পতাকায় লেখা থাকে, ‘মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর নবী’ এবং ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই৷’
ছবি: AP
আইএস কোথায় সক্রিয়?
শরিয়া আইন অনুযায়ী পরিচালিত হবে এমন রাষ্ট্র, বা ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় আইএস৷ সিরিয়া এবং ইরাকেই প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় তারা৷ দুটি দেশেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগে বেশ বড় অঞ্চল দখল করে নিয়েছে আইএস৷
আইএস কেন আলাদা?
মূলত নিষ্ঠুরতার জন্য৷ শত্রুপক্ষ এবং নিরীহ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে তারা এমন বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করে যা আগে কেউ করেনি৷ জবাই করে ভিডিও প্রচার, পুড়িয়ে মারা, বাবার সামনে মেয়েকে জবাই করা এবং তার তার ভিডিও প্রচার, মেয়েদের যৌনদাসী বানানো আর পণ্যের মতো বিক্রি করা – এসব নিয়মিতভাবেই করছে আইএস৷ কোনো অঞ্চল দখলে নেয়ার পর সেখানে শাসন প্রতিষ্ঠায় মন দেয় আইএস৷
ছবি: gebphotography - Fotolia.com
অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক
আইএস যদিও শুধু সিরিয়া এবং ইরাকেই সক্রিয়, তবে বিশ্বের অন্যান্য ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন নয়৷ নাইজেরিয়ার জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম কয়েকদিন আগেই জানিয়েছে, আইএস-কে তারা সমর্থন করে৷ দুটি সংগঠনের মধ্যে একটি জায়গায় মিলও আছে৷ আইএস-এর মতো বোকো হারামও নিষ্ঠুরতা এবং বর্বরতার প্রতিভূ হয়ে উঠেছে৷ অন্য ধর্মের নারীদের প্রতি দুটি সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণই মধ্যযুগীয়৷
ছবি: Getty Images/A. Katib
আইএস-এর অনুসারী কারা?
অনুসারী সংগ্রহের সাফল্যেও আইএস অন্য সব জঙ্গি সংগঠনের চেয়ে আলাদা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ২০ হাজার বিদেশী যোদ্ধা আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ তাদের মধ্যে ৪ হাজারই পশ্চিম ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকার৷
আইএস-কে রুখতে অন্য দেশগুলো কী করছে?
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বেশ কিছু পশ্চিমা এবং আরব দেশ সিরিয়া ও ইরাকে আইএস ঘাঁটির ওপর বিমান থেকে বোমা হামলা চালাচ্ছে৷ বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১৪২২ এবং ইরাকে ২২৪২ বার হামলা হয়েছে৷ কোনো কোনো সরকার দেশের অভ্যন্তরেও কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে৷ সিরিয়া ফেরত অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির বিচার শুরু করবে জার্মানি৷ গত মাসে সৌদি পুলিশও ৯৩ জন সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
6 ছবি1 | 6
সুযোগ পেলে কঠিন অপরাধ
আইএস এক আন্তর্জাতিক সংগঠন৷ সদস্যরা একাধিক দেশ থেকে এসেছে৷ শিল্পোন্নত থেকে শুরু করে কৃষিভিত্তিক অনুন্নত দেশও তার মধ্যে রয়েছে৷ কেউ এসেছে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে, কেউ বা স্বৈরতন্ত্র থেকে৷ মোটকথা অপরাধীদের পরিচয় একেবারই এক নয়৷ তাদের কোনো একটি ছাঁচে ফেলা কঠিন৷ বিশেষ করে যাঁরা বলেন, যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক স্বীকৃতির অভাব থেকেই জিহাদি জীবন শুরু হয়, তাদের যুক্তি আর ধোপে টিকছে না৷ তার বদলে অন্য এক অনুমান আরও যুক্তিগ্রাহ্য মনে হচ্ছে৷ অনেক তরুণ মারাত্মক অপরাধী হয়ে উঠছে, কারণ তারা এই সুযোগ পাচ্ছে৷
কথা বলে, ‘সুযোগ পেলে মানুষ চোর হয়ে ওঠে'৷ দেখা যাচ্ছে, শুধু চোর নয় – সুযোগ পেলে মানুষ হত্যাকারী, ধর্ষণকারী, নিপীড়নকারীও হয়ে উঠতে পারে৷ তারা অপরাধী হয়ে উঠছে, কারণ ধর্মের মোড়কে তাদের ভয়ংকর অপরাধ ঢেকে ফেলা হচ্ছে৷ আইএস তাই শুধু এক সামরিক নয়, আদর্শগত চ্যালেঞ্জও বটে৷ এই অবস্থায় সুন্নি ধর্মীয় নেতাদের কাঁধে বিশেষ দায়িত্ব এসে পড়ছে৷ তাঁদের আইএস-এর ঈশ্বরহীন কেন্দ্রবিন্দুকে দূর করতে হবে৷