1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জেটে চড়া বৌদ্ধ ভিক্ষু

২০ জুলাই ২০১৩

এ মুহূর্তে তিনি লাপাত্তা৷ ইউটিউবে তাঁকে বৈমানিকের চশমা পরে ব্যক্তিগত জেটবিমান থেকে নামতে দেখে সেই যে বিস্ময়ের ঘোর লেগেছিল, এখনো তা কাটেনি৷ থাইল্যান্ডের এই বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্পর্কে যত জানা যাচ্ছে, বিস্ময়ের মাত্রা তত বাড়ছে৷

ছবি: Valentino Ristevsk/Fotolia

বয়স ৩৩৷ নাম উইরাপোল সুখফল৷ থাইল্যান্ডের উবোন রাচাথানি প্রদেশের খুব গরিব ঘরে জন্ম৷ কিন্তু খুব কম বয়সে বৌদ্ধ ভিক্ষু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুখফল বদলে ফেলেন জীবন৷ এতদিন সব অজানা ছিল৷ কিন্তু ইউটিউবে এক ভিক্ষুকে বিশাল ধনকুবেরের মতো বিমান থেকে নামতে দেখে কৌতূহলী হয়ে ওঠে সবাই৷ বেরিয়ে আসতে থাকে বিস্ময়কর সব তথ্য৷ বেশি বিস্ময় জাগিয়েছে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তাঁর অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি৷

এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী উইরাপোল সুখফল কমপক্ষে ৩ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের মালিক! ৪১টি ব্যাংক হিসাব আছে তাঁর নামে৷ সেগুলোর কোনো কোনোটি থেকে ৬৪ লাখ ডলার লেনদেন হওয়া নাকি সাধারণ ব্যাপার! ২০০৯ থেকে ২০১১- এই দু বছরে ২২টি মার্সিডিজ বেঞ্জ কিনেছেন উইরাপোল৷ তবে থাইল্যান্ডের এক শহর থেকে আরেক শহরে যেতে কখনো গাড়ি বা ট্রেনে উঠতেন না৷ হেলিকপ্টার বা ব্যক্তিগত জেট ছাড়া তাঁর চলতোইনা! বৌদ্ধ ভিক্ষুর এমন বিলাসবহুল জীবন, ভাবা যায়!

গত কয়েক বছর ধরে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে মাঝেই স্ক্যান্ডালে জড়াতে দেখা যাচ্ছেছবি: Ye Aung Thu/AFP/Getty Images

থাই পুলিশ অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করা, অর্থ পাচার এবং ধর্ষণের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে উইরাপোল সুখফলের বিরুদ্ধে৷ বৌদ্ধ ধর্মগুরু সেই থেকে নিখোঁজ৷ ধারণা করা হচ্ছে তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে আত্মগোপন করে আছেন৷

গত কয়েক বছর ধরে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে মাঝেই স্ক্যান্ডালে জড়াতে দেখা যাচ্ছে৷ গত বছর দেশের ৬১ হাজার ৪১৬ জন ভিক্ষুর মধ্যে ৩০০ জনকে নারী বা পুরুষের সঙ্গে অসংযত আচরণ করা এবং মদ্যপানের অভিযোগে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়৷ উইরাপোল সুখফলকে যে নাগালে পেলে পুলিশ ভর্ৎসনা করেই ছেড়ে দেবেনা তা নিঃসন্দেহে বলা যায়৷ নিজে আকাশে উড়তে পারেন, পানিতে হাঁটতে পারেন, ঈশ্বরের সঙ্গে তাঁর সরাসরি কথা হয় – এমন কথা বলে বলে সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করিয়ে দু’হাতে টাকা কামিয়েছেন এতদিন৷ ধর্ম প্রচার এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে ভক্ত বানিয়েছেন অসংখ্য সম্পদশালী লোককে৷

তাঁর অর্থ সংগ্রহের কৌশলও খুব অদ্ভুত৷ কখনো কখনো ভক্তকূলের দিকে থলে বাড়িয়ে রেখে শুনিয়ে যেতেন বৌদ্ধ ধর্মের অমূল্য বাণী৷ ভক্তকুলের হাত থেকে বৃষ্টির মতো টাকা এসে পড়তো থলেতে৷ থলে ভরে গেলে উইরাপোল সুখপোল বাড়িয়ে দিতেন সারের বস্তা৷ তারপর ভক্তদের আশ্বস্ত করে বলতেন, ‘‘ধৈর্য হারাবেন না, তাড়াহুড়ো করবেন না৷ আপনাদের মধ্যে শেষ ব্যক্তিটি টাকা না দেয়া পর্যন্ত আমি এখানে থাকবো৷''

এসিবি/এসবি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ