1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আটক কিশোরী

২৪ আগস্ট ২০১২

পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার দায়ে আটক কিশোরীর অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে৷ তার আইনজীবীদের এখনও সুযোগ দেওয়া হয়নি সাক্ষাতের জন্য৷ আটক কিশোরীর বয়স নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি৷

Young Pakistani Muslims play with toy guns near the closed house (L) of Rimsha, a Christian girl who has been arrested on blasphemy charges, at a slum area of Islamabad on August 20, 2012. Pakistan's president on August 20 called on officials to explain the arrest on blasphemy charges of a Christian girl with Down's Syndrome who allegedly burnt pages inscribed with verses from the Koran. There is a growing debate about religious intolerance in Pakistan, where strict anti-blasphemy laws make defaming Islam or desecrating the Koran punishable by death. AFP PHOTO / AAMIR QURESHI (Photo credit should read AAMIR QURESHI/AFP/GettyImages)
ছবি: Amir Qureshi/AFP/GettyImages

পাকিস্তানের ইসলামাবাদের একটি এলাকা থেকে সপ্তাহখানেক আগে আটক করা হয় রিমশা মাসিহ নামের মেয়েটিকে৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মেয়েটি পবিত্র কোরানের বাণী সম্বলিত কাগজ পুড়িয়েছিল৷ এরপর তার ওপর স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে৷ পরে পুলিশ তাকে আটক করে৷ বর্তমানে সে রাওয়ালপিন্ডির একটি জেলে আটক অবস্থায় আছে৷

এই ঘটনার পর মানসিকভাবে মেয়েটি বেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে৷ জাভিয়ের উইলিয়াম নামে এক সহমর্মী বৃহস্পতিবার রিমশাকে দেখতে যান৷ এরপর তিনি জানান, মেয়েটি প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে এবং মানসিকভাবেও বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উইলিয়াম জানান যে, রিমশার চেহারায় এবং হাতে মারের দাগ রয়েছে৷ এই অবস্থাতে অপ্রাপ্তবয়স্ক এই মেয়েটির সার্বিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে৷

পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের পক্ষে মিছিলছবি: AP

মেয়েটির বয়স নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল৷ স্থানীয় গির্জায় নিবন্ধনের কাগজপত্র থেকে দেখা যায় তার বয়স মাত্র ১১৷ কিন্তু পুলিশ দাবি করছে তার বয়স ১৬৷ তার বয়স খতিয়ে দেখার জন্য রিমশার আইনজীবীরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন, এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷ তবে সমস্যা হলো আইনজীবীরা এখনও তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নি৷

রিমশার আইনজীবী তাহির নাভিদ চৌধুরী জানান যে, তিনি মেয়েটির সঙ্গে দেখা করার জন্য চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত সফল হতে পারেন নি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজে কারাগারের মহাপরিদর্শককে টেলিফোন করেছি৷ তিনি আমাকে টেলিফোন করবেন বললেও সেটা করেন নি৷ আমি এখনও অপেক্ষা করছি৷ আইনগতভাবে তারা কারাগারে আইনজীবীকে আটকাতে পারেন না অথচ তারা সেটা করে যাচ্ছেন৷''

রিমশার আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো৷ উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে৷ এই ব্লাসফেমি আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় প্রাণ দিতে হয় পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর সালমান তাসিরকে৷ তাঁর হত্যাকারী মুমতাজ কাদিরকে যে কারাগারে রাখা হয়েছে, রিমশা মাসিহকেও সেই একই কারাগারে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে৷

আরআই / ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ