ধর্মকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা বাংলাদেশে বেআইনি হলেও বড় রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মকে নানাভাবে ব্যবহার করে৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠকরা এ বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে নানা মত তুলে ধরেছেন৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু গাউসুল আজিম মনে করেন ধর্ম এবং রাজনীতির মধ্যে কোনো প্রার্থক্য নেই৷ তাঁর মতে, ‘‘ধর্ম এবং রাজনীতি দুটোরই উদ্দেশ্য এক আর তা হলো মানবতা৷ কেবল অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির অসৎ উদ্দেশ্যে একে আলাদা করার জন্য আগ্রহী হতে পারে৷''
তবে সুমন পারভেজ বলছেন পৃথিবীর সব দেশেই রাজনীতির সাথে ধর্ম জড়িয়ে আছে৷ তাঁর প্রশ্ন,
‘‘নিরপেক্ষভাবে বলুনতো ধর্ম ছাড়া রাজনীতি পৃথিবীর কোন দেশে আছে?'' এরপর সুমন পারভেজ নিজের মতামত জানিয়েছেন এভাবে, ‘‘কোনো দেশে একটু বেশি আর কোনো দেশে একটু কম আবার কেউ কট্টর, এটা সারা পৃথিবীতে শুরু থেকেই চলছে৷ আমার কথাগুলো ভালো করে ভেবে দেখেন এই প্রশ্নের উওর আপনি নিজে থেকেই পেয়ে যাবেন৷'' পাঠক খোকনও সুমন পারভেজের এই মন্তব্যে সায় দিয়েছেন৷
ধর্মের রাজনীতি ও তরুণ প্রজন্ম
ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রসার ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে উৎসাহ, উদ্বেগ দুই-ই আছে৷ আর সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক দল ও ইসলামপন্থিদের উত্থানের বিষয়টিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ৷ ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে কী ভাবছে আজকের প্রজন্ম?
ছবি: Reuters
পিয়ান মুগ্ধ নবীর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী পিয়ান মুগ্ধ নবীর কাছে ধর্ম বিষয়টা পুরোপুরি ব্যক্তিগত হলেও রাজনীতি ব্যক্তিগত বিষয় নয়৷ তবে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে তিনি কখনোই সমর্থন করেন না৷
ছবি: DW
শিবরাজ চৌধুরী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী শিবরাজ চৌধুরী৷ তার মতে, ধর্ম এবং রাজনীতি কখনোই এক হতে পারে না৷ ধর্মের মূল বিষয় মনুষত্ব বা মানুষের মধ্যকার শুভবোধ৷ তবে ধর্মের নামে যদি কখনো মৌলবাদ কিংবা চরমপন্থা চলে আসে, সেটা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়৷
ছবি: DW
শিহাব সরকার
ঢাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী শিহাব সরকার৷ তার মতে, ধর্ম ধর্মের জায়গায় আর রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়৷ বলা বাহুল্য, ধর্মের নামে রাজনীতি তিনিও সমর্থন করেন না৷
ছবি: DW
আসিফ হামিদী
আসিফ হামিদীও মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন৷ তিনিও মনে করেন ধর্ম এবং রাজনীতি কখনোই এক হতে পারে না৷ তাই ধর্মভিত্তিক রাজনীতির ঘোর বিরোধী তিনি৷
ছবি: DW
মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর
ঢাকার একটি মাদ্রাসা থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করেছেন মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর৷ তাঁর মতেও রাজনীতি ধর্মভিত্তিক হতে পারে না৷ তবে আল্লাহ এবং রাসুলের কিংবা ইসলামের উপর কোনোরকম আঘাত আসলে তার বিরোধীতা করা সব মুসলমানের নৈতিক দ্বায়িত্ব বলে মনে করেন তিনি৷
ছবি: DW
সাদমান আহমেদ সুজাত
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদমান আহমেদ সুজাত৷ তাঁরও ঐ এক কথা৷ ‘‘ধর্ম এবং রাজনীতি কখনো এক হতে পারে না৷’’ তিনি জানান, ‘‘ধর্ম আমরা সাধারণত জন্মগতভাবে পাই, কিন্তু রাজনীতিকে আমরা অনুসরণ করি৷’’
ছবি: DW
সাজ্জাদ হোসেন শিশির
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন শিশির৷ তাঁর মতে, রাজনীতি সবসময়ই ধর্ম নিরপেক্ষ হওয়া উচিত৷ তাঁর বিশ্বাস, ধর্মের সঙ্গে রাজনীতিকে মিশিয়ে ফেললে তার ফল কখনো ভালো হয় না৷
ছবি: DW
দাউদুজ্জামান তারেক
ঢাকার আরেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দাউদুজ্জামান তারেক মনে করেন, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মের কখনো মিল হতে পারে না৷ কারণ বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা একই রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসরণও করতে পারেন৷
ছবি: DW
8 ছবি1 | 8
‘‘একটি সংঘবদ্ধ ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক চক্র আছে যারা শুধু ধর্মের দোহাই দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে, কিন্তু ধর্মের উপকারে আসেনা৷ এদের সমর্থনে আছে আরো কিছু লোক-'' বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার সম্পর্কে এই মন্তব্য পাঠক খাজা মোহাম্মদ আলমগীরের৷
ডয়চে ভলে থেকে প্রকাশিত রাজনীতিতে ধর্ম বিষয়ক লেখাগুলো পড়ে ভালো লেগেছে বন্ধু ইমরান হোসেন ইমনের কাছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতে চাইলেও কারো পক্ষে সত্য কথা বলা সম্ভব নয়- এমন মত প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনারা যা লিখছেন সুদূর জার্মানি থেকে, সত্য বা মিথ্যা যা-ই বলুন না কেন, আপনার হয়ত কোনো সমস্যা হবে না৷ বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হলেও কিন্তু এই দেশে থেকে সত্য বলা যে কত বড় মহাপাপ তার প্রমাণ আর নতুন করে কিছু বলার নেই৷ বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময় লেখা-লেখির ইচ্ছা থাকলেও লিখা হয় না আর তার কারণ একটাই- না জানি আমি বা আমার পরিবার আবার কখন এই নোংরা রাজনীতির শিকার হয়ে যাই৷''
পাঠক আসাদুজ্জামানেরও এ বিষয়ে প্রায় একই মত৷ তিনি বলছেন বাংলাদেশে থেকে কেউ নাকি এ ধরণের স্বাধীন লেখার কথা চিন্তাও করতে পারেনা৷ আর সুব্রত গায়েনের কাছে লেখাটা ভালো লেগেছে এবং তিনি তার বন্ধুদের সাথে তা শেয়ারও করেছেন বলে জানিয়েছেন৷
তবে আমাদের পাঠকবন্ধু অনিক রায় লিখেছেন, ‘‘আওয়ামীলীগের কর্মীরা প্রতিদিন শত শত মূর্তি ভাঙছে৷ বিএনপি শিবিরের কর্মীরাও ভাঙ্গছে ৷ তবে ইদানীং আওয়ামীলীগ বেশি ক্ষতি করছে হিন্দুদের, বিশেষ করে শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মশাররফ ফরিদপুরে হিন্দুদের সব জায়গা দখল করে নিচ্ছে৷ হিন্দুদের উচ্চ পদে চাকুরি দিলেও দলিত শ্রেণির হিন্দুদের জায়গা দখল, তাদের মেয়েদের ধর্ষণসহ নানা অপরাধে যুক্ত হচ্ছে আওয়ামীলীগার নামে ধর্ম নিরপেক্ষ মানুষগুলো৷''
‘‘বাংলাদেশে শুধু নিজের গদি ঠিক রাখাই সব, ধর্ম কিছু নয়''- বলছেন কাজি মানিক৷ তিনি লিখেছেন ‘‘যদি ধর্মই মূল কারণ হতো তাহলে নাকি ইসলামিক টিভি ও পিস টিভি বন্ধ করা হতোনা৷ আবার ‘স্টার জলসা' র মতো টিভি অনুষ্ঠান দিয়ে মানুষকে অনৈতিক শিষ্টাচার শেখানো হতোনা৷''
ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে পৃথককরণ
তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসনের আমল থেকে ‘‘ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিচ্ছেদ’’ কথাটি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চালু৷ বিভিন্ন দেশের সংবিধানে এই সমস্যার মূল্যায়ন ও সমাধান আজও আলাদা৷ তার কিছু নমুনা৷
ছবি: Jewel Samada/AFP/Getty Images
অস্ট্রেলিয়া
কমনওয়েলথ দেশটির সংবিধানে কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠা বা সরকারি পদ গ্রহণের জন্য কোনো ধর্ম পরীক্ষা নিষেধ করা আছে৷ অপরদিকে যে কোনো ধর্ম মুক্তভাবে পালন করার অধিকার দেওয়া হয়েছে৷ (ছবিতে সিডনির সংসদ ভবনের উপর অস্ট্রেলিয়ার লোগো)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Coch
ব্রাজিল
ব্রাজিলের বর্তমান সংবিধানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে; কোনো রাষ্ট্রীয় গির্জা প্রতিষ্ঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ সরকারি কর্মকর্তাদের ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ‘‘জোট গঠন বা নির্ভরতা’’ নিষিদ্ধ৷ (ছবিতে ব্রাজিলের কনগ্রেসো নাসিওনাল বা জাতীয় কংগ্রেস, যার দুই কক্ষ হলো সেনেট এবং চেম্বার অফ ডেপুটিজ)৷
ছবি: Voishmel/AFP/Getty Images
চীন
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের সংবিধানে বলা হয়েছে, ‘‘কোনো সরকারি বিভাগ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি নাগরিকদের কোনো ধর্মে বিশ্বাস করতে বা না করতে বাধ্য করতে পারবে না; এছাড়া যে সব নাগরিক কোনো ধর্মে বিশ্বাস করেন অথবা করেন না, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা চলবে না৷’’ (ছবিতে বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপল, যেখানে প্রতিবছর ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/How Hwee Young
ফ্রান্স
ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদকে ফরাসিতে বলা হয় ‘লাইসিতে’৷ ফ্রান্সে ধর্ম ও রাজনৈতিক ক্ষমতাকে পরস্পরের থেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ একদিকে যেমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে, অপরদিকে সরকারি ক্ষমতাকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির প্রভাবমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে৷ (ছবিতে প্যারিসের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা জাতীয় সম্মেলন)৷
ছবি: picture-alliance/ZB/M. Tödt
জার্মানি
জার্মান সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে, যদিও জার্মানিতে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে পুরোপুরি বিচ্ছেদ নেই৷ সরকারিভাবে স্বীকৃত গির্জাগুলিকে পাবলিক কর্পোরেশনের মর্যাদা দেওয়া হয়, তাদের প্রাপ্য কিছু কিছু কর সরকার আদায় করে দেন – তবে বিনামূল্যে নয়৷ ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক পাঠ্য বিষয় নয়৷ (ছবিতে বার্লিনের বুন্ডেসটাগ বা জার্মান সংসদ)৷
ছবি: imago/Schöning
জাপান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন দখলদারির সময় ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মার্কিন ধ্যানধারণা জাপানে আরোপিত হয়৷ জাপানের সংবিধানে ধর্মপালনের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করা হয়েছে, অপরদিকে সরকার ধর্মপালনের জন্য কোনোরকম চাপ দিতে পারবেন না, অথবা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে সরকারি অর্থ ব্যয় করতে পারবেন না৷ (ছবিতে টোকিও-র সংসদভবন)৷
ছবি: Reuters
সুইজারল্যান্ড
সুইশ কনফেডারেশনের ফেডারাল সংবিধানে ‘‘ধর্ম ও বিবেকের স্বাধীনতা’’-র গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে৷ বিশেষভাবে বলা হয়েছে যে, ‘‘কোনো ব্যক্তিকে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ে যোগ দিতে বা অঙ্গ হতে, কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে বা ধর্মীয় নির্দেশ অনুসরণ করতে বাধ্য করা চলবে না’’৷ (ছবিতে বার্ন শহরের বুন্ডেসহাউস বা ফেডারাল প্যালেস, যেখানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন বসে)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Klaunzer
যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান হলেন ব্রিটিশ নৃপতি স্বয়ং, তিনিই গির্জার উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের নিয়োগ করেন৷ হাউস অফ লর্ডস-এও ২৬ জন বিশপের আসন আছে৷ সব সত্ত্বেও যুক্তরাজ্যে গির্জা ও রাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগ সীমিত, যুক্তরাজ্যে সরকারি শাসনও অপেক্ষাকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ৷ ব্রিটেনের অলিখিত সংবিধান অনুযায়ী অপরাপর ধর্মীয় গোষ্ঠীও ব্যাপক স্বাধীনতা উপভোগ করে৷ (ছবিতে প্যালেস অফ ওয়েস্টমিনস্টার)৷
ছবি: Mohammad Karimi
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
গির্জা ও রাষ্ট্রের বিচ্ছেদ সম্পর্কে জেফারসনের প্রখ্যাত উক্তি মার্কিন সংবিধানে উল্লিখিত নেই৷ ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্টে বলা হয়েছে যে, ‘‘(মার্কিন) কংগ্রেস কোনো ধর্ম প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে, বা মুক্তভাবে ধর্মপালন নিষিদ্ধ করে কোনো আইন প্রণয়ন করবে না’’৷ (ছবিতে ক্যাপিটল হিল-এ মার্কিন কংগ্রেসের আসন)৷
ছবি: Jewel Samada/AFP/Getty Images
9 ছবি1 | 9
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিয়ে লেখাগুলো পড়ার পর আমাদের পাঠক গাজি আতিকুর রহমান এবার ভারতের বর্তমান সরকারের সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে লেখার অনুরোধ জানিয়েছেন৷
আর কায়সার আহমেদ একটু কাব্য করে বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন এভাবে ‘‘আমিই বাংলাদেশ! আমার ডাক নাম লজ্জা! আমি তনু, আমি রাজন, আমি পেট্রোল বোমায় পোড়া মুখ, আমি ব্যর্থ ছাত্র, ব্যর্থ শিক্ষা ব্যবস্থার নির্লজ্জ প্রতিকৃতি৷ আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নাম জানিনা৷ জানি না স্বাধীনতা-বিজয় দিবস কবে৷ আমি লাল সবুজের কাফন, আমি পিলখ..৷''