1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ধর্ম নয়, অপরাধ দেখুন'

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
২১ জুন ২০১৯

অপরাধীকে আটক, বা শাস্তি দেওয়ার সময় তার ধর্ম বিবেচনা না করার আহ্বান জানালেন ৫০ জন মুসলিম বুদ্ধিজীবী৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা ব্যানার্জিকে দেওয়া এক চিঠিতে তারা এ বক্তব্য দেন৷

Straßenbahn in Kalkutta
ছবি: UNI

‘মুসলিম' বুদ্ধিজীবী বলা হলেও কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা আবেদনের নিচে স্বাক্ষরকারীদের অনেকের পদবি পারসি ৷ তাতে অবশ্য চিঠির বয়ানের কোনও হেরফের হয়নি৷ কলকাতায় সাম্প্রতিক দুটি হাঙ্গামার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে শুরুতেই৷ এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর হামলা এবং সাবেক এক ‘মিস ইন্ডিয়া'র হেনস্থা৷ রাতে কাজ সেরে ওই নারী বাড়ি ফেরার সময় শহরের একটি ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে তাঁর উবার চালকের সঙ্গে একদল ছেলের বচসা হয়৷ তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নিগৃহীত হন ওই নারী৷ তাঁর অভিযোগ, পুলিশও প্রথমে তাঁর অভিযোগ নথিবদ্ধ করতে অস্বীকার করে৷ ঠিক এনআরএস হাসপাতালের হামলার ঘটনায় যেমন পাহারায় থাকা পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে৷
আইন ভঙ্গের দুটি ঘটনাতেই যারা মূল অভিযুক্ত, তারা মুসলিম৷ ধর্মের কারণেই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকে বারবারই একথা বলা হয়েছে যে অপরাধীদের মুসলিম পরিচয়টিকে সামনে আনা হয়েছে৷ অনেকে বলছেন, সেই কারণেই প্রশাসন নিষ্ক্রিয়৷ এই প্রেক্ষাপটে ৫০ জন বুদ্ধিজীবী আবেদন জানালেন শুধু এ দুটি ঘটনাতেই নয় সব ক্ষেত্রেই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয় শাস্তিবিধানের আইনি উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ যাতে জনগণের মনে এই ধারণা না ছড়ায় যে মুসলিম বলেই অপরাধ করেও কেউ পার পায়৷

আব্দুর রউফ

This browser does not support the audio element.

নীলাঞ্জন সৈয়দ

This browser does not support the audio element.


বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী আবদুর রউফ ডয়চে ভেলে–কে বললেন, ‘একটা রাজনৈতিক দলের তরফে এটা প্রচার করা হয়েছে, যে মুসলমানদের প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে৷ তাদের অপরাধীদেরও প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে৷ সেটা সত্যি কতটা, সেটা নিয়ে আমার একটু সংশয় আছে৷ কিন্তু এই মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা যে চিঠিটা দিয়েছেন, ৫০ জন সই করে, এটা ঠিক করেছেন৷ এটা দরকার ছিল খুব৷ এই জন্যেই, যে, অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে কেন? ধর্ম দেখে?'
মুর্শিদাবাদের শিক্ষক নীলাঞ্জন সৈয়দ  তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখলেন— একজন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়ায় গাড়িতে কতগুলো লুম্পেন হামলা করেছিল৷ লুম্পেনগুলো জন্মসূত্রে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের৷ এজন্য ঐ সম্প্রদায়ের বিদ্বজ্জন প্রতিবাদ করেছেন৷ তাঁরা একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন৷ ‘লজ্জিত'৷ বাবা ছেলের বাজে কাজে লজ্জিত হন৷ এই লুম্পেনগুলোর সঙ্গে ঐ বিদ্বজ্জনদের কোন আত্মীয় সম্পর্ক নেই৷ কেবল একই কমিউনিটির, এইটুকুই মিল৷ এই বিদ্বজ্জনরা তাদের মানুষ করেননি৷ তা হলে দায়টা কোথা থেকে আসছে? এবং এই লুম্পেনগুলোর এটাই শেষ কাজ নয়৷ আরও বহু হবে৷ তখন প্রত্যেকটা কাজে তাঁরা লজ্জিত হবেন? মানুষের কাছে কী বার্তা যাচ্ছে?যে, এই লুম্পেনগুলোর জন্য এই বিশেষ সম্প্রদায়ের দায় আছে?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ