হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের কিশোরী বিউটি আক্তারকে প্রথমে যৌন হয়রানি, সেই অভিযোগ করায় তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ৷ ধর্ষণের অভিযোগ করায় সর্বশেষ তাকে হত্যা করা হয়৷ তাই প্রশ্ন উঠেছে এমন দুর্বৃত্তকেও কেন আগেই গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ?
বিজ্ঞাপন
আর এই প্রশ্নের জবাবে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান এখন ওই কিশোরীর ওপরই দায় চাপানোর চেষ্টা করছেন৷ তিনি দাবি করছেন, ‘‘এর আগে ওই কিশোরী বাবুল মিয়ার ঘরে স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিল৷ এখন যেহেতু হত্যা হয়েই গেছে তাই আমরা বাবুলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি৷''
নিহত বিউটি আর অভিযুক্ত বাবুল মিয়া শায়েস্তাগঞ্জের একই গ্রাম ব্রাহ্মনডোড়ার বাসিন্দা৷ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা আগে থেকেই তাকে যৌন হয়রানি করে আসছিল৷
ওই মেয়ের সাথে ওই ছেলের সম্পর্ক ছিল: ওসি আনিসুর রহমান
এ কারণে স্কুল ছেড়ে বিউটি একটি কোম্পানিতে চাকরি নেয়৷ তারপরও সে রেহাই পায়নি৷ যৌন হয়রানির অভিযোগ করলে গত ২১ জানুয়ারি বিউটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় বাবুল ও তার সহযোগীরা৷ এরপর অজ্ঞাত স্থানে এক মাস আটকে রেখে বিউটিকে ধর্ষণ করে বাবুল৷ পরে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কৌশলে বিউটিকে তার বাড়িতে রেখে বাবুল পালিয়ে যায়৷ এরপর ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চানকে আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷ ৪ মার্চ আদালত শায়েস্তাগঞ্জ থানাকে এ মামলার আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়৷
বিউটির নিরাপত্তার কথা ভেবে গত ১৬ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বিউটিকে তার নানার বাড়ি লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেন৷ ওই দিন রাতেই নানা বাড়ি থেকে আবার বিউটিকে তুলে নিয়ে যায় বাবুল৷
আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই: বিউটির মা
পরদিন ১৭ মার্চ সকালে হাওরে বিউটির লাশ পাওয়া যায়৷ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাকে৷ লাশ উদ্ধারের পরদিন শায়েস্তাগঞ্জ থানায় বাবুলসহ দু'জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়৷ মামলা দায়েরের পর পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও ঈসমাইল নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে৷ কিন্তু মূল আসামি বাবুল মিয়া এখনো গ্রেপ্তার হয়নি৷
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ডয়চে ভেলের কাছে দাবি করেন, ‘‘ওই মেয়ের সাথে ওই ছেলের সম্পর্ক ছিল৷ ২১ জানুয়ারি মেয়েটি বাবুলের সঙ্গে চলে যায়৷ ১৮ দিন ঘর-সংসার করার পর মেয়েকে তার মা-বাবা নিয়ে আসে৷ এরপর তারা থানায় আসেনি৷ গ্রামে কোনো সমাধান পায়নি৷ তারপর ৪ মার্চ তারা মামলা করে৷
মামলার পর আমরা সময় পেয়েছি ১২ দিন৷ আমরা এরমধ্যে আসামি ধরার চেষ্টা করেছি৷ মেয়ের মেডিক্যাল করিয়েছি৷ মেয়েটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে যে, স্বেচ্ছায় চলে গিয়েছিল৷ এরপর ১৬ মার্চ অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে৷ এখন যেহেতু হত্যা হয়েই গেছে এখনতো আমরা আসামি ধরার চেষ্টা করছি৷''
বাবুল অনেক বড় সন্ত্রাসী, তার টাকা আছে, তাই তাকে পুলিশ ধরতে পারেনি: বিউটির বাবা
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি৷ পুলিশের দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তদন্তে অবহেলার কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷’’
এদিকে ওই কিশোরীর মা হোসনে আরা ডয়চে ভেলেকে বলেম, ‘‘আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই৷'' আর বিউটির সায়েদ আলী বলেন, ‘‘১৬ মার্চ বিউটিকে তুলে নেয়ার পরই আমরা পুলিশকে জানিয়েছি৷ পুলিশ পরের দিন লাশ উদ্ধার করেছে৷ কিন্তু বাবুলকে পায় নাই৷ বাবুল অনেক বড় সন্ত্রাসী৷ তার টাকা আছে৷ মদ-গাঞ্জা খায়৷’’
মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন৷
হবিগঞ্জের ঘটনায় স্পষ্ট যে পুলিশ প্রতিকার প্রার্থীর জন্য কাজ করেনি: সুলতানা কামাল
একজন মানুষ একটি অপরাধের শিকার হলো৷ সে রাষ্ট্রের কাছে প্রতিকার চাইলো৷ রাষ্ট্র তো প্রতিকার দিলোই না, নিশ্চয়ই অপরাধীর জন্য এমন পরিবেশ তৈরি ছিল যে সে আরেকটি অপরাধ করলো৷ অভিযোগকারীকে হত্যা করলো৷ রাষ্ট্র একজন অপরাধীকে নিরস্ত্র করতে পারলো না৷ তাহলে রাষ্ট্রের পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা , বিচার ব্যবস্থা কিসের জন্য? অপরাধীদেরর রক্ষার জন্য?''
তিনি আরো বলেন, ‘‘হবিগঞ্জের ঘটনায় স্পষ্ট যে, পুলিশ প্রতিকার প্রার্থীর জন্য কাজ করেনি৷ তাদের রক্ষক হয়নি৷ তারা ধর্ষকের সহযোগী কিনা তা এখন তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন৷’’
বাংলাদেশে বার বার ধর্ষকদের ঔদ্ধত্য বা ক্ষমতার প্রকাশ দেখা গেছে৷ ২০১৬ সালের ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ভিক্টেরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়৷ কিন্তু দুই বছরেও এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তার করা হয়নি৷
ব্যক্তিগত সম্পর্ক, যোগাযোগ বা বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া কেউ সুরক্ষা পাননা: ড. মিজানুর রহমান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হবিগঞ্জে যা ঘটেছে তাতে প্রমাণ হয় ন্যূনতম জবাবদিহিতা নেই৷ থাকলে এরকম হতে পারতো না৷ নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কোনো জায়গা নেই৷ বিচারহীনতা চরম আকার ধারণ করেছে৷ ব্যক্তিগত সম্পর্ক , যোগাযোগ বা বিশেষ ব্যবস্থা ছাড়া কেউ সুরক্ষা পান না৷''
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী স্বাধীনতা, নারী আন্দোলন, নারী অধিকার নিয়ে সর্বত্র আলোচনা, সমালোচনা, বক্তৃতা, অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ধর্ষণের সংখ্যা৷ কিন্তু কেন? এর জন্য কারা দায়ী, কী করে ধর্ষণ কমিয়ে আনা সম্ভব? বা ধর্ষিতা নারীদের কী-ই বা করা উচিত?
ছবি: Advocate Tanbir ul Islam Siddiqui
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
ছবি: Fotolia/DW
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
ছবি: Fotolia/detailblick
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
ছবি: detailblick/Fotolia
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/M. Ruettinger
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
ছবি: dpa
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
ছবি: Fotolia/Miriam Dörr
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
ছবি: picture alliance/abaca
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
ছবি: DW
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷ ধর্ষণ বন্ধ করতে এই মধ্যযুগীয় চিন্তা, চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন৷
ছবি: AFP/Getty Images/M. Uz Zaman
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ৷