1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
অপরাধযুক্তরাজ্য

ধর্ষণ ও নির্যাতনের অপরাধ স্বীকার লন্ডন পুলিশ কর্মকর্তার

১৭ জানুয়ারি ২০২৩

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ' বলে উল্লেখ করেছেন৷ লন্ডনের পুলিশ বাহিনীকে অসদাচরণের মূলোৎপাটন এবং জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি৷।

লন্ডন পুলিশের কমিশনার রাউলি ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন৷
লন্ডন পুলিশের কমিশনার রাউলি ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন৷ছবি: Jonathan Brady/empics/picture alliance

দুই দশক ধরে চলা নারী নির্যাতন বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই লন্ডন পুলিশের এক কর্মকর্তা নিজের অপরাধ স্বীকার করলেন৷ ৪৮ বছর বয়সি এই পুলিশ অফিসার ৪৯টি অপরাধের দায় স্বীকার করেছেন৷ তার স্বীকার করা অপরাধের মধ্যে ২০টি ধর্ষণের ঘটনা ছাড়াও নির্যাতন এবং মিথ্যা কারণ দেখিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনাও রয়েছে৷

দীর্ঘদিন ধরে লন্ডন পুলিশের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে৷

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অফিসার ডেভিড ক্যারিক তার ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে ভুক্তভোগীদের ভয় দেখিয়েছেন৷ তিনি পুলিশ সদস্য হওয়ায়, কেউ তার বিরুদ্ধে বলা কথা বিশ্বাস করবে না, এমন কথাও বলেছেন তিনি৷

মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মার্ক রাউলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "এই ব্যক্তি নারীদের সঙ্গে জঘন্য দুর্ব্যবহার করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।"

এই ঘটনায় ব্রিটেন জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, "এমন সব ঘটনায় পুলিশের ওপর জনগণের আস্থা চুরমার হয়ে গেছে এবং তা পুনরুদ্ধারে পুলিশ বাহিনীকে অবশ্যই এমন কর্মকর্তাদের মূলোৎপাটন করতে হবে।"

‘একের পর এক ঘটনা'

ক্যারিক ২০০১ সালে লন্ডন পুলিশে যোগ দেন৷ যেসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো ২০০৩ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ঘটেছে৷

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে তিনি অনলাইন ডেটিং অ্যাপ বা বিভিন্ন সামাজিক আয়োজনে পরিচিত হতেন৷ সেখানে নিজের পুলিশ পরিচয় ব্যবহার করে তিনি ভুক্তভোগীদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতেন৷

প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা যসওয়ান্ত নারওয়াল জানান, এরপর ক্যারিক ‘সেসব নারীদের তিনি যৌন নিপীড়ণ এবং ধর্ষণের সুযোগ খুঁজতেন৷''

ক্যারিক এসব নারীদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবেও ধংস করে ফেলতেন৷ অনেকক তিনি তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটক করে রাখতেন এবং তাদের পোশাক, এমনকি ঘুমের সময়ও নিজের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে৷

লন্ডন পুলিশ: ‘আমরা ব্যর্থ'

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ লন্ডনের মেয়র কার্যালয়৷ মেয়র সাদিক খান এক টুইটে এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন৷ এত দীর্ঘ সময় ধরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এমন অপরাধ সংঘটন করতে পারায় দুঃখও প্রকাশ করেছেন তিনি৷

সাদিক খান বলেছেন, "এই লোকটি এত দীর্ঘ সময় ধরে মেটের জন্য কাজ করতে পেরেছিল কীভাবে, এ নিয়ে লন্ডনবাসী হতবাক হওয়ারই কথা৷ এত ভয়ঙ্কর উপায়ে একজন কর্মকর্তা কীভাবে তার পদের অপব্যবহার করতে পেরেছিলেন এই গুরুতর প্রশ্নেরও উত্তর দিতে হবে আমাদের৷"

ভুক্তভোগীদের কাছে লন্ডন পুলিশের কমিশনার রাউলি সোমবার ক্ষমা চেয়ে বলেছেন ‘পদ্ধতিগত ব্যর্থতার' কারণে এতদিন ক্যারিক শাস্তি পাননি৷ তিনি বলেন, "আমরা ব্যর্থ হয়েছি এবং আমি দুঃখিত। তার একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়া উচিত ছিল না৷"

এডিকে/কেএম (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ