বাংলাদেশে ধর্ষণ বাড়ছে, বাড়ছে ধর্ষণের পর হত্যা৷ একই সঙ্গে বাড়ছে নিষ্ঠুরতা৷ আর এই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওয়তায় তেমন আনা যাচ্ছেনা বলা চলে৷ এর কারণ, অনেকেরই আছে ক্ষমতার যোগ, তাই তারা অপ্রতিরোধ্য৷
বিজ্ঞাপন
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১৮৭ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ তাদের মধ্যে ১৯ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়৷ দুই জন ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন৷ মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) শনিবার তাদের ত্রৈমাসিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে৷
যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ২৭ জন নারী৷ প্রতিবেদনে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিশুদের হত্যা এবং নির্যাতনের সংখ্যা আশঙ্কাজনক বলে তুলে ধরা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, গত তিন মাসে ৪২২ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে৷ এর মধ্যে ৭১ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ ২৬ জন শিশু আত্মহত্যা করেছে৷ নিখোঁজের পর দুই জন ও বিভিন্ন সময়ে ২০ জন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ এছাড়া রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ৭ জন শিশুর৷
এই সময়ে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১০৭ জন নারী৷ এর মধ্যে ৭৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে৷ নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ জন৷ এছাড়া শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৮ জন নারী৷
‘রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া ধর্ষণ কমবে না’
যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৫৫ জন নারী৷ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১ জন৷ নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন৷ এছাড়া স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ৯ নারীকে৷ এই সময়ে ১১ গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এর মধ্যে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের৷ এসিডদগ্ধ হয়েছেন ৩ জন৷ সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩ জন৷
আসকের এর আগের হিসাব অনুযায়ী ২০১৭ সালে ৮১৮ নারী ধর্ষনের শিকার হয়েছেন৷ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৪৭ নারী৷ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন ১১ জন৷
মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বিচার না পেয়ে গত বছরের ২৯ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুর রেল স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার করেন হযরত আলী ও তাঁর মেয়ে আয়েশা আক্তার৷
২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে পরিবহন শ্রমিকরা চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে শিক্ষার্থী রূপাকে৷ তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়৷ ১৭ জুলাই বগুড়ায় এক শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার৷
২০১৬ সালে ৭২৪ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন৷ এর মধ্যে ধর্ষণের পর ৩৭ জনকে হত্যা করা হয় আত্মহত্যা করেন ৮ জন৷ সালিস ও ফতোয়ার মাধ্যমে মোট ১২ জন নারী নির্যাতনের শিকার হন৷ এর মধ্যে গ্রামছাড়া, সমাজচ্যুত বা একঘরে করা, মাথার চুল কেটে দেয়াসহ শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে৷
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৩৯ জন নারী, মামলা হয়েছে ৯৫টি৷ পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩৯৪ জন, যার মধ্যে থানায় মামলা হয়েছে ১৮৭টি৷ নারী গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় মোট ৬৪ জন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ৩২টি ঘটনায় মামলা হয়েছে৷ অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হন ৩৪ নারী, এ ঘটনায় একজন মারা যান৷
আসকের এবারের ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে, হবিগঞ্জের কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণের পর হত্যা, মারমা তরুণীদের নির্যাতনের ঘটনা ও বাধা দিতে গিয়ে চাকমা রানি ইয়েন ইয়েনের হেনস্তার হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়৷
‘বিচারহীনতা ও ভয়ের সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ অপ্রতিরোধ্য’
আসকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষনের ঘটনা বাড়ছে৷ ধর্ষণের সঙ্গে হত্যা ও নিমর্মতাও বাড়ছে৷ বলা হচ্ছে, ধর্ষণের যারা শিকার হন তাদের শতকরা ৫০ ভাগ শিশু৷ আবার এই শিশুদের অর্ধেকের বয়স ১২ বছরের নিচে৷
মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালমা আলী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘হবিগঞ্জের বিউটি আক্তারের পরিবার ধর্ষণের অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাননি৷ শেষ পর্যন্ত বিউটিকে আবার তুলে নিয়ে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হলো৷ তনুর মামলায় কয়েকদিনের মধ্যে চার্জশিট দেয় হবে বলে জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ঢাকায় যৌন হয়রানীর ঘটনায় ( ৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়ার কথা বললেন কিন্তু এরপর আর কোনো খবর নেই৷ আসামি রাজনৈতিক বা অন্য কোনোভাবে প্রভাবশালী হলে তাকে আর আইনের আওতায় আনা যায়না৷''
তিনি বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া এই ধর্ষণ , নারীর প্রতি সহিংসতা কমবে না৷ আমরা বার বার বলেছি একটি স্বাধীন ও নিপেক্ষ মনিটরিং কমিটি করার জন্য৷ কিন্তু তা করা হচ্ছেনা৷ আর যেসব ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তার ২০ ভাগের বেশি থানায় মামলায় হয় না৷ শতকরা এক ভাগের বেশি শান্তি হয়না৷''
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক নূর খান মনে করেন, ‘‘বিচারহীনতা এবং ভয়ের সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ অনেকটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে৷ বিচার না পাওয়ায় এখন অনেকেই আর মামলা করতে আগ্রহী হচ্ছেন না৷ আর ভয়ের কারণেও অনেকে মামলা করতে পারছেন না৷ সাহস পাচ্ছেন না৷ ক্ষমতা আর বিত্তের কাছে বিচার প্রার্থীরা অসহায় হয়ে পড়ছেন৷ আর যারা অপরাধী, তারাও জানে যে তাদের কিছু হবেনা৷ তাই তারাও নিবৃত্ত হয় না৷''
তিনি বলেন, ‘‘এরসঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে ঘৃণার সংস্কৃতি৷ এমনভাবে ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া হয় যে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন৷ মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেন৷ বিচার চান না৷''
কেন এত ধর্ষণ? কী করলে কমবে এ জঘন্য অপরাধ?
নারী স্বাধীনতা, নারী আন্দোলন, নারী অধিকার নিয়ে সর্বত্র আলোচনা, সমালোচনা, বক্তৃতা, অন্যদিকে বেড়ে চলেছে ধর্ষণের সংখ্যা৷ কিন্তু কেন? এর জন্য কারা দায়ী, কী করে ধর্ষণ কমিয়ে আনা সম্ভব? বা ধর্ষিতা নারীদের কী-ই বা করা উচিত?
ছবি: Advocate Tanbir ul Islam Siddiqui
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট
নারী নির্যাতন সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন অহরহ৷ তার ওপর পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধের যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে, সেটাও যথার্থ নয়৷ এছাড়া বিশ্বের মোট নারীর ৭ শতাংশ নাকি জীবনের যে কোনো সময় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷
ছবি: Fotolia/DW
উন্নত বিশ্বের নারীরাও রেহাই পান না
ধর্ষণ শব্দটি শুনলেই মনে হয় এ ধরণের অপরাধ হয়ে থাকে শুধু অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে৷ আসলে কিন্তু মোটেই তা নয়৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই শতকরা ৩৩ জন মেয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়৷ এমনকি জার্মানির মতো উন্নত দেশের নারীরাও যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত৷
ছবি: Fotolia/detailblick
ধর্ষিতা নারীরা জানাতে ভয় পান
জার্মানিতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত বা ধর্ষিত নারীদের সঠিক পদ্ধতিতে ‘মেডিকেল টেস্ট’-এর ব্যবস্থা করে, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত স্ত্রী বিশেষজ্ঞ ডা. সোনিয়া পিলস বলেন, ‘‘ধর্ষণের শিকার নারী লজ্জায় এবং আতঙ্কে থাকেন৷ তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে সে অভিজ্ঞতা বা ধর্ষক সম্পর্কে তথ্য জানাতে ভয় পান, কুণ্ঠা বোধ করেন৷ অনেকদিন লেগে যায় ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে৷
ছবি: detailblick/Fotolia
ধর্ষককে ধরার জন্য দ্রুত ডাক্তারি পরীক্ষা
ধর্ষণের পর নারীদের কী করণীয় – এ বিষয়ে জার্মানির ধর্ষণ বিষয়ক নির্দেশিকায় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ যেমন ধর্ষণের পর একা না থেকে কারো সাথে কথা বলা৷ গোসল, খাওয়া, ধূমপান, বাথরুমে যাওয়ার আগে, অর্থাৎ ধর্ষণের চিহ্ন মুঝে না যাবার আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো৷ এ পরীক্ষা করালে ধর্ষক কোনো অসুখ বা এইচআইভি-তে আক্রান্ত ছিল কিনা, তা জানা সম্ভব৷ নারীর শরীরে নখের আচড় বা খামচি থাকলে ধর্ষকের চিহ্ন সহজেই পাওয়া যায়৷
ছবি: DW/M. Ruettinger
যাঁরা ধর্ষণের শিকার, তাঁদের জন্য জরুরি বিভাগ
ধর্ষক যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে, অর্থাৎ অন্তর্বাস, প্যাড এ সব তুলে রাখুন৷ ছবিও তুলে রাখতে পারেন৷ নিজেকে দোষী ভাববেন না, কারণ যে ধর্ষণের মতো জঘণ্যতম কাজটি করেছে – সেই অপরাধী, আপনি নন৷ জার্মানির বেশ কয়েকটি শহরের হাসপাতালে যৌন নির্যাতন বিষয়ক আলাদা জরুরি বিভাগ রয়েছে৷ তাছাড়া ধর্ষণ সংক্রান্ত নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে রয়েছে ‘গেভাল্ট গেগেন ফ্রাউয়েন’, যেখানে ২৪ ঘণ্টাই টেলিফোন করা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
গ্রুপ থেরাপি
যৌন নিগ্রহ বা ধর্ষণের শিকার নারীদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য জার্মানিতে রয়েছে গ্রুপ থেরাপি, যার সাহায্যে নারীরা আবার সমাজে সহজভাবে মিশতে পারেন এবং তাঁদের জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনাটি সহজে ভুলে যেতে পারেন৷
ছবি: dpa
সবচেয়ে বেশি যৌন অপরাধ হয় বাড়িতেই
ভারতের কোথাও না কোথাও প্রতি ২২ মিনিটে একটি মেয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে৷ তাই আদালতের নির্দেশে ভারতের পুলিশ বিভাগ এক সমীক্ষা চালিয়েছিল দিল্লির ৪৪টি এলাকায়৷ চলতি বছরের গত আট মাসে ২,২৭৮টি ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন এবং যৌন অপরাধের তদন্তের ফলাফলে দেখে গেছে: ১,৩৮০টি ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা হলেন পরিবারের লোকজন এবং পরিচিতজনেরা৷ অর্থাৎ নিজের বাড়িতেও মেয়েরা নিরাপদ নয়!
ছবি: Fotolia/Miriam Dörr
সঠিক বিচার চাই
২০১৩ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দিল্লিতে গণধর্ষণ ঘটনার পর, ভারতে ঘটা করে বিচার বিভাগীয় কমিশন বসিয়ে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ দমনে আইন-কানুন ঢেলে সাজানো হয়৷ শাস্তির বিধান আরো কঠোর করা হয়৷ কিন্তু তাতে যৌন অপরাধের সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে৷
ছবি: picture alliance/abaca
বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার
বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১১ সালে ৬২০ জন, ২০১২ সালে ৮৩৬ জন, ২০১৩ সালে ৭১৯ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ছ’মাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি এবং এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৮২ জন৷ তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণ করে ধর্ষণ এবং পরে হত্যার ঘটনাও অনেক বেড়েছে৷
ছবি: DW
নারীর পোশাকই কি ধর্ষণের জন্য দায়ী?
বাংলাদেশের একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘বাংলাদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়াভাবে, বেপর্দায় চলাফেলার কারণে ধর্ষণের শিকার হন৷’’ পুলিশের কর্মকর্তার দাবি, ধর্ষণের দায় প্রধানত নারীদের৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘বখাটে ছেলেরা তো ঘোরাফেরা করবেই৷’’ এ কথা শুধু পুলিশ কর্মকর্তার নয়, ভারত-বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থাই এরকম৷ ধর্ষণ বন্ধ করতে এই মধ্যযুগীয় চিন্তা, চেতনার পরিবর্তন প্রয়োজন৷
ছবি: AFP/Getty Images/M. Uz Zaman
ছোট বেলা থেকে সচেতন করতে হবে
ধর্ষণ সম্পর্কে ছোটবেলা থেকে সঠিক ধারণা দিলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষণের সংখ্যা কমবে৷ তাছাড়া পাঠ্যপুস্তকেও বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ ধর্ষিতা নারীকে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার শিকার হতে হয়, সে সম্পর্কেও সচেতনতা দরকার৷ অনেকে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷ গোটা সমাজও নারীকেই দোষ দিয়ে থাকে৷ ডাক্তারি বা মনস্তাত্ত্বিক সাহায্য ছাড়াও প্রয়োজন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও সমাজের বন্ধুবৎসল আচরণ৷
ছবি: Advocate Tanbir ul Islam Siddiqui
11 ছবি1 | 11
ধর্ষণ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে আপনার মনে হয়? লিখুন নিচের ঘরে৷