1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধর্ষণ, নির্যাতন: এর শেষ কোথায়?

৩১ জুলাই ২০১৭

বগুড়ায় ধর্ষণের পর মা-মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনায় ফুঁসছে বাংলাদেশ৷ একের পর এক এমন ঘটনায় রাস্তায় আন্দোলনের আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকেই৷ আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছেন ঠিকই৷ কিন্তু বিচার হবে কিনা, সে নিয়েও সংশয়ের কথা জানাচ্ছেন কেউ কেউ৷

Symbolbild Protest gegen Vergewaltigung
ছবি: picture-alliance/Pacific Press/E. McGregor

ধর্ষণের অভিযোগে বগুড়া শ্রমিক লীগের সভাপতি তুফান সরকার ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন তার স্ত্রী আশা, স্ত্রীর বড় বোন পৌরসভার কাউন্সিলর রুমকি, শাশুরি রুমি খাতুনসহ ১০ জন৷

ধর্ষণের ঘটনা ধাপাচাপা দিতে ঐ ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তুফানের স্ত্রী ও স্ত্রীর বড় বোনের বিরুদ্ধে৷

প্রভাবশালী হলেও দ্রুততার সাথে আসামিদের গ্রেপ্তার করায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকেই৷ কিন্তু সেই সাথে রয়েছে সংশয়ও৷ কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে তনু ধর্ষণ ও হত্যা এবং বনানীর হোটেলে ধর্ষণ মামলার মতো বিভিন্ন ঘটনার উদাহরণ দেখাচ্ছেন অনলাইন অ্যাকটিভিস্টিরা৷

ফেসবুকে ফড়িং ক্যামেলিয়া মহিলা পরিষদের একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন৷ ২০০৮ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত আট বছরে ধর্ষণের শিকার ৪ হাজার ৩০৪ জনের মধ্যে ৭৪০ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে৷ এর মধ্যে বিচার হয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি মামলার৷ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ 

ছবি: Getty Images/AFP/M. Sharma

নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার দেশ মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন৷ এজন্য তিনি দায়ী করছেন আওয়ামী লীগকে

কিছু কিছু গণমাধ্যমে ধর্ষিতা ও তার মায়ের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে৷ অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে এরও প্রতিবাদ করছেন অনেকে৷ প্রশ্ন তুলছেন সাংবাদিকতার নৈতিকতা না মানার৷

বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্টার মফিদুল আলম খান তপু এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‌‘‌যেসব নিউজ‌পোর্টাল নির্যাত‌নের ‌শিকার মা মে‌য়ের চেহারা ছে‌পে‌ছে, সাংবা‌দিকতার নৈ‌তিকতা বিব‌র্জিতভা‌বে, প্লিজ তা‌দের বিরু‌দ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা ক‌রেন৷ এরা য‌দি সাংবা‌দিক হয়, আর সেটা য‌দি বিনা প্রতিবাদে মে‌নে নেই, তাহ‌লে নী‌তি নৈ‌তিকতা, প্রেস কাউন্সিল না‌মের শব্দগুলা শব্দ‌কোষ থে‌কে বাদ দেয়া উচিত৷''

বগুড়ায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন, দ্রুত বিচারের দাবি নিয়ে নেমেছেন রাস্তায়৷ প্রতিবাদ চলছে দেশের অন্যান্য এলাকাতেও৷

এ ধরনের প্রায় প্রতিটি ঘটনাতেই বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে দায়ী করেন সবাই৷ এবারও ব্যতিক্রম নয়৷ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনাগুলোর দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে এমন ঘটনা অনেকটাই কমে যেতো বলে মনে করছেন অনেকে৷

সংকলন: অনুপম দেব কানুনজ্ঞ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

এ বিষয়ে আপনি কী ভাবছেন? মন্তব্য করুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ