নোয়াখালীর নারকীয় ধর্ষণের ঘটনার দগদগে ক্ষত শুকানোর আগেই আমাদের স্তব্ধ করে দিয়েছে ৫ ও ৭ জানুয়ারির তিনটি ধর্ষণের ঘটনা৷ আমরা আসলেই স্তব্ধ, তাই ফুঁসে উঠিনি বিচারের দাবিতে৷
বিজ্ঞাপন
গত ৫ তারিখে ২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়৷ আমি আবার লিখছি– দুই বছরের কন্যা শিশু৷ বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকতো শিশু আয়েশা৷ সেদিন বিকালেও খেলতে বের হয় শিশুটি৷ সন্ধ্যার দিকে টিনশেড বস্তির পাশের চার তলা বাড়ির সামনে আয়েশার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়৷
আর ৭ তারিখের ঘটনাটি নিশ্চয়ই আপনি পড়ে ফেলেছেন৷ ডেমরায় বাবা-মা কাজে ছিল, তখন দুই শিশুকে সাজিয়ে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও পরে হত্যা করে৷ চিৎকারের মুখে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে প্রথমে একজনকে গলা টিপে এবং পরে আরেকজনকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়৷ শিশু দু'টি নার্সারিতে পড়তো৷ স্কুল শেষে এলাকায় দুজনে ঘোরাঘুরি করছিল৷ ঠিক সেই সময়ই তাদের সাজিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরে ডেকে নেয়া হয়৷
এই ঘটনাগুলো পড়ার পর আপনাদের অনুভূতি কী জানি না৷ আমি শুধু নিজের স্তব্ধ অনুভূতি নিয়েই বসে আছি৷ আপনার অনুভূতি জানার সুযোগ ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্লগ বা অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে৷ কিন্তু অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, ভীষণ নিশ্চুপ সব সময় খইয়ের মতো ফুটতে থাকা অনলাইন প্লাটফর্ম৷ ভীষণ ক্ষোভে কয়েকজন স্ট্যাটাস দিয়েছেন৷ কোন উপায়ে ধর্ষণ বন্ধ করা যেতে পারে, শাস্তি কী হতে পারে এই নিয়েই বেশি আলাপ ছিল, তবে সেটি ‘দায়সারা কার্যক্রম’ বলা চলে৷ শিশু ধর্ষণ ও হত্যার মতো একটি ঘটনা নিয়ে কেন আমরা রাজপথে নই– এই প্রশ্ন নিজেকেই করছি বারবার৷
ছোট পোশাক পরাই কি ধর্ষণের কারণ?
ভারতে প্রতিদিন অন্তত ৯২ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন৷ যখনই এ ধরনের কোন মামলা আদালতে উঠেছে তখন প্রথম যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে তা হলো, ধর্ষণের শিকার ঐ নারী কি ধরনের পোশাক পরেছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যুগের সাথে পোশাক
যুগে যুগে পোশাকের ধরনে পরিবর্তন এসেছে৷ আদিমকালে ছিল পশুর চামড়া, গাছের ছাল আর এখন রয়েছে নানা ধরনের পোশাক৷ বর্তমানে দেশ, সংস্কৃতি, সমাজ ব্যবস্থা, কাজের ধরন, অনুষ্ঠান, পছন্দ ও ফ্যাশানের ভিত্তিতে বহু ধরনের পোশাক পরে থাকেন নারীরা৷
ছবি: AP
শরীর প্রদর্শন মানেই কি ধর্ষককে আমন্ত্রণ?
ভারতে বেশিরভাগ ধর্ষণ মামলায় দেখা গেছে, ধর্ষিতা সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি পরেছিলেন৷ অর্থাৎ যাকে বলা হয় ভারতীয় নারীর আদর্শ পোশাক, সে ধরনের পোশাকই তাঁরা পরেছিলেন৷ অর্থাৎ এ জরিপ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, শরীর প্রদর্শন না করে বা তথাকথিত ‘আধুনিক’ পোশাক না পরেও শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন নারীরা৷
ছবি: Reuters
আইনের ভয় নেই
২০১৩ সালে এক জরিপে দেখা গেছে যে, এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন পুরুষ জীবনে অন্তত একবার কোনো নারীকে ধর্ষণ করেছে৷ এর মধ্যে বেশিরভাগ পুরুষকেই কোনো আইনি ঝামেলা পোহাতে হয়নি৷
ছবি: Fotolia/DW
ধর্ষণ যখন বিনোদনের মাধ্যম
ভারতের উত্তর প্রদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ এর কারণ হিসেবে পুলিশ নারীদের উপর পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব, মেয়েদের মোবাইল ব্যবহার ও ছোট পোশাক পরিধানকে উল্লেখ করেছে৷ নারীদের নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ পুলিশ বলেছে, সেখানকার পুরুষরা তাদের বিনোদনের অভাব পূরণ করছে ধর্ষণের মাধ্যমে৷
ছবি: dapd
নারীদের দাবিয়ে রাখার হাতিয়ার
রাস্তা, অফিস বা যে কোনো পাবলিক প্লেসে পুরুষের যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা৷ বিশেষ করে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ হওয়ায় নারীদের দাবিয়ে রাখতে পুরুষরা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে৷
ছবি: UNI
পরিচিতদের দ্বারাই বেশি ধর্ষণ
২০১৩ সালে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, সে বছর ১০০ জন ধর্ষণের শিকার নারীর মধ্যে ৯৮ জন এমন ব্যক্তিদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন, যারা তাঁদের পরিচিত৷ আদালতে যেসব মামলা ওঠে, বা গণমাধ্যমে যেসব ঘটনা প্রকাশ পায় সেগুলো বেশিরভাগই বাইরের লোকের হাতে৷ ফলে পরিচিত ব্যক্তি দ্বারা ধর্ষণের ব্যাপারটি ধামাচাপা পড়ে যায়৷
ছবি: Reuters/Ahmad Masood
যৌন নিগ্রহ সর্বত্র
ভারতে জন্মের আগে ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ বেআইনি হলেও, খুব সাধারণ ঘটনা৷ ফলে পৃথিবীর আলো দেখতে পাওয়া মেয়েদের সংখ্যা এত কম যে, সমাজে নারী-পুরুষের অনুপাতে হেরফের হয়৷ এছাড়া বাল্যবিবাহ, কম বয়সে মা হওয়া, সন্তান জন্ম দিতে গিয়েও মৃত্যুবরণ করছেন নারীরা৷ পরিবারের ভেতরেও চলে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণ৷ এরপরও কি আপনারা ধর্ষণের জন্য পোশাককে দায়ী করবেন?
ছবি: picture-alliance/dpa
7 ছবি1 | 7
এটা হতে পারে আমি গত ৫ ও ৭ তারিখের ধর্ষণ ঘটনা আজকে ৫ দিন পর খুঁজছি বলে থিতিয়ে গেছে আমাদের অনুভূতি৷ তবে আদৌ কি থিতিয়ে যাওয়ার কথা ছিল? আমাদের নিত্যদিনকার আলাপে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি নেই৷ কেন নেই?
অথচ ৩১ ডিসেম্বর রাতে নোয়াখালীর ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ছেলে-বুড়ো সবাই বেশ সরব ছিলেন৷ এখনো এই বিষয়ে বিশ্লেষণ এবং আলোচনা-সমালোচনা চলমান৷
তবে কি ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হতে গেলে অনেকগুলো বিষয় সামনে রেখে এগুতে হবে? আমাদের মানবমন কোন পথে হাঁটছে?
স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক যে-কোনো ঘটনা নিয়ে আমরা বেশ সরব হই৷ কারণ, এখানে পক্ষ-বিপক্ষ, দোষ, অপবাদ দেওয়ার মতো ঘটনা সহজ হয়৷ আমাদের রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক সচেতনতা অন্য যে-কোনো দেশের মানুষের চেয়ে বেশি৷ আর সরকার বা বিরোধীপক্ষের কঠোর সমালোচনার সুযোগও আমরা কেউ হাতছাড়া করতে চাই না৷ সে কারণে নোয়াখালীর ভোট নিয়ে নারী ধর্ষণের ঘটনায় আমরা সরব ছিলাম বলে দাবি করতেই পারি৷
আবার মনে হয়, ধর্ষণের বিষয়ে সরব হতে গেলে সামাজিক স্ট্যাটাসও মাথায় রাখার একটি বিষয় আসে৷ তনুর মতো শিক্ষিত নাট্যকর্মী মেয়েকে নিয়ে আমরা যতটা সরব হয়েছিলাম, টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর নিম্নবিত্ত পরিবারের রূপাকে হত্যা নিয়ে আমাদের আগ্রহ সমান ছিল না৷ আমরা এখনো প্রসঙ্গক্রমে তনুর নির্মম মৃ্ত্যু নিয়ে আলাপ তুলি৷ নিজেদের রাজনৈতিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতেই তুলি, কারণ, এর বিচার হয়নি বলে প্রশাসনকে প্রশ্ন করা যাবে৷ কিন্তু রূপার হত্যাকারী বা তাঁর পরিবার নিয়ে আপাত দৃষ্টে আমাদের মাথাব্যথা একটু কমই৷ এমন করে এই তিন শিশুর ধর্ষণের ঘটনা ভুলে যাবো৷ কিন্তু আমাদের মাথা থেকে পারুল কিংবা পূর্ণিমা শীলের ঘটনা মুছে যাবে না৷ অন্তত একটি রাজনৈতিক দলের ওপর ক্ষোভ প্রশমিত করতে আমরা তাদের ‘ধর্ষক’ বলে গালি দিতে পারবো৷
আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলেদের কাণ্ড নিয়েও আমরা বেশ সরব হয়েছিলাম৷ এর পেছনে কি ‘ধনীর দুলাল’, উচ্চবিত্ত সমাজের প্রতি ক্ষোভ, ‘হোটেলকাণ্ড’– এসব ভাবনা কাজ করেছে?
আসলে ‘ধর্ষণ' শব্দটিই ভীষণ নারকীয়৷ তাই যখন যেখানেই একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তার সঙ্গে যুক্ত হয় হত্যাকাণ্ড, তখন আমার মধ্যবিত্ত মন কি বিবেচনা করে সেটিই মূল ভাবনা৷ আমাদের মধ্যবিত্ত মন শুধু ভাবে, ‘‘এতে আমার কী ক্ষতি, আমি তো ভালো আছি৷ এসব নিয়ে আমাকে বলতে হবে কেন!’’ এভাবেই আমরা ভয়ঙ্কর সব ঘটনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি৷ আজ নিম্নবিত্ত শিশুদের নাগাল পাওয়া সহজ বলে তাঁদের সন্তানদের ধর্ষণ ও হত্যা করে বেশ পার পেয়ে যাচ্ছি৷ কিন্তু কাল আমার বলয় থেকে আমার শিশুটি বেরিয়ে গেলে ভীষণ অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে৷ তাই আমাদের বোধহয় শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেই নয়, ধর্ষণের বিষয়ে সর্বত্রই সচেতন, সতর্ক ও সোচ্চার হতে হবে৷
যৌন হয়রানির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শিশুকে
শিশুরা বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে সহজে ভোলানো যায় তাদের৷ অনেক সময় শিশুরা বুঝতে পারে না, চিনতে পারে না পিশাচের থাবা৷ আর বুঝলেও করতে পারে না প্রতিবাদ, প্রতিরোধ৷ শুধু একটা অস্বস্তি থেকে যায় সারাটা জীবন৷
ছবি: picture alliance/abaca
ভয়াবহ অবস্থা ভারতে
ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্ধেকেরও বেশি বাচ্চা যৌন নিগ্রহের শিকার৷ তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য হলো, নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পরিবারের মধ্যে, পরিবারেরই কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত সদস্যের হাতে৷ তাই সে সব ঘটনা পুলিশের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, হচ্ছে না কোনো ডাইরি অথবা মামলা৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
এভাবে প্রতিদিন বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যাচ্ছে অগুন্তি শৈশব৷ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা বুঝে উঠতে পারছে না, বলে উঠতে পারছে না তাদের অমানবিক সেই সব অভিজ্ঞতার কথা৷ তাই শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত, বিকৃত মানুষগুলো থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে৷ সমাজবিদরা বলছেন, এ জন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুলের৷ শিশুকে দিতে হবে তার প্রাপ্য শৈশব৷
ছবি: Fotolia/Kitty
যেভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
সহজ ভাষায় খেলা বা গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে একটা ধারণা গড়ে তোলা যেত পারে৷ বাচ্চাদের বলতে হবে যে, তাদের শরীরটা শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ কেউ যেন তাদের ‘গোপন’ জায়গায় হাত না দেয়৷ তাই কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, কেউ তাদের জোর ঘরে কোনো ঘরে নিয়ে গেলে, খেলার ছলে চুমু দিলে বা শরীরের কোথাও হাত দিলে – তা যেন মা-বাবাকে জানায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিনিয়ে দিন যৌনাঙ্গ
অনেক বাবা-মা নিজ সন্তানের সঙ্গে যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন৷ কিন্তু এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং খুব ছোটবেলাতেই ছবি এঁকে অথবা গল্পে-গানে বাচ্চাকে তার শরীরের অন্য সব অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ, লিঙ্গ ইত্যাদি চিনিয়ে দিতে হবে৷ এমনটা করলে কেউ যদি তাদের সঙ্গে পিশাচের মতো ব্যবহার করে, তাহলে শিশুরা সহজেই বলতে পারবে কে, কখন, কোথায় হাত দিয়েছিল৷
ছবি: DW/S.Rahman
শিশুর কথা শুনুন, তার পক্ষ নিন
শিশু যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, বন্ধুর মতো সবকিছু খুলে বলতে পারে – সেটা নিশ্চিত করুন৷ আপনার বাচ্চা যদি পরিবারের কাউকে বা আপনার কোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে এড়িয়ে যেতে শুরু করে অথবা আপনাকে খুলে বলে বিকৃত সেই মানুষের কৃতকর্মের কথা, তবে সময় নষ্ট না করে শিশুটির পক্ষ নিন আর তিরস্কার করে বাড়ি থেকে বার করে দিন ঐ ‘অসুস্থ’ লোকটাকে৷
ছবি: Fotolia/pegbes
স্কুলেরও দায়িত্ব আছে
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়৷ তাই যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায়৷ তবে স্কুলের মধ্যে, বিদ্যালয় চত্বরেও ঘটতে পারে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ তাই স্কুল থেকে ফেরার পর বাচ্চা যদি অতিরিক্ত চুপচাপ থাকে, একা একা সময় কাটায় বা পড়াশোনা করতে না চায়, তাহলে ওর সঙ্গে কথা বলুন৷ জানতে চান কী হয়েছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানান৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ছেলে-মেয়ে সমান!
আমাদের সমাজে ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়৷ মেয়ে হলেই হাতে একটা পুতুল আর ছেলে হলে ধরিয়ে দেয়া হয় বল বা খেলনার পিস্তল৷ ছেলের পাতে যখন তুলে দেয়া হয় মাছের বড় টুকরোটা, তখন মেয়েটির হয়ত এক গ্লাস দুধও জোটে না৷ এ বৈষম্য বন্ধ করুন৷ বাবা-মায়ের চোখে ছেলে-মেয়ে সমান – সেভাবেই বড় করুন তাদের৷ তা না হলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে কীভাবে? কীভাবে কমবে শিশু নির্যাতন?