1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাডভেঞ্চার ও নিরাপত্তা

১৯ এপ্রিল ২০১৩

সাদা ধপধপে বরফের উপর দিয়ে স্কি-ইং অথবা ট্র্যাকিং করা – স্বপ্নের মতো হলেও কষ্ঠসাধ্যও বটে! তার ওপর তুষার ধসের কবলে পড়লে তো কথাই নেই৷ জীবনের আশঙ্কাও থাকে সেক্ষেত্রে৷ তবে সেই বিপদ এড়াতে উঠে পড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা৷

ছবি: dapd

বরফের উপর খেলাধুলার মজাই আলাদা৷ কিন্তু বিপদও কম নয়৷ তুষার ধসের কবলে পড়লে মৃত্যুও হতে পারে৷ একবার ধস নামলে ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বেগে তা ধেয়ে আসতে পারে৷ তখন আর মানুষের কিছুই করার থাকে না৷

সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা পাহাড়ে বরফের একটা বড় অংশ সাফ করে দেখেছেন, সেখানে তুষার ধসের ঝুঁকি কতটা৷ ভালো করে দেখলে এখানে সহজেই চোখে পড়ে, উপরের স্তর মাঝারি শক্ত, বেশিদিন আগে জমেনি৷ বাতাস বরফ এখানে উড়িয়ে নিয়ে এসেছে৷ তারপর এখানে একটা আবরণ রয়েছে৷ উত্তাপ ও কিছুটা বৃষ্টির কারণে এটা তৈরি হয়েছে৷ নীচেটা বেশ নরম৷ তার মানে এই জায়গাটা বেশ নাজুক৷

বরফ হয়ে উঠতে পারে চরম বিপদছবি: Getty Images/AFP

ঝুঁকি আসলে কতটা, তা জানতে বরফের ক্রিস্টাল ভালো করে পরীক্ষা করা হয়৷ কারণ ধস তখন নামে, যখন মসৃণ নয় – বরফের এমন কণার দুর্বল স্তর তৈরি হয়৷ তার উপরের স্তর তখন পিছলে যায়৷ খালি চোখে তা বোঝার উপায় নেই৷ এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত৷ সামান্য চাপ এলেই হুড়মুড় করে ধস নামতে পারে৷

তাই একটা ছোট জায়গা জুড়ে লাফিয়ে পরীক্ষা করা যায়৷ বরফ ভেঙে গেলেই ধসের বিপদ রয়েছে৷ উপরের স্তরের নতুন বরফ বা দক্ষিণের বাতাসে বয়ে আনা বরফের স্তর পরীক্ষা করে বোঝা যায় অবস্থাটা আসলেই কতটা নাজুক৷

কেউ ধসের নীচে চাপা পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে৷ কারণ মিনিট দশেকের মধ্যেই মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে৷ সেই পরিস্থিতি এড়াতে উদ্ধারকারী দল হালের প্রযুক্তির জিপিএস যন্ত্র ও অন্য একটি খোঁজার যন্ত্র ব্যবহার করে৷ তবে যারা স্কি করছেন, তারাও মোবাইল ফোন সহ কিছু জিনিস সঙ্গে রাখতে পারেন, যা বিপদে কাজে আসবে৷ নিরাপত্তা প্রশিক্ষক স্টেফান কস বিষয়টি বুঝিয়ে বললেন৷

সব সময় মানুষ খোঁজার যন্ত্র, একটা কোদাল ও পাইপ সঙ্গে রাখা আজকাল নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ডাক্তার ডাকতে সঙ্গে একটা মোবাইল ফোনও থাকতে হবে৷ তবে সব রকম প্রস্তুতি সত্ত্বেও আল্পস পর্বতে ধসে চাপা পড়ে বছরে গড়ে ২৫ জনের মৃত্যু হয়৷ তাই সাহায্যকারীরা গ্রীষ্মকালেও কাজ করেন৷ তাঁরা অনেক জায়গা বিশাল জাল দিয়ে মুড়ে দেন৷ যেখানে গাছপালা কম, সেখানে এই জাল বরফের ধস আটকাতে পারে৷

কিন্তু শীত এলেই বরফের মতিগতি আর বোঝা যায় না৷ তাপমাত্রার সামান্য ফারাক ঘটলেই ধস নামতে পারে৷ তখন আর পালানোর পথ থাকে না৷

এসবি/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ