1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধিক্কার জানিয়ে নিজেরাই লজ্জায়!

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেনের মধ্যে এক ব্যক্তির শেভ করার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে৷ শুরু হয়ে যায় ওই ব্যক্তিকে ধিক্কার জানানো৷ গালমন্দ করতেও ছাড়েননি অনেকে৷ পরে আড়ালের সত্য বেরিয়ে আসায় ধিক্কার জানানো লোকদেরই পড়তে হয়েছে লজ্জায়৷

অ্যান্থনি টোরেসছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Rourke

এ ঘটনায় #রিয়েলিটিচেক নামে এক ক্যাম্পেইনও চালু হয়েছে৷

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, ‘শেমিং দ্য শেমারস: সারপ্রাইজিং টেল বিহাইন্ড ভাইরাল ভিডিও’৷

ঘটনা সম্পর্কে মার্কিন গণমাধ্যম লিখেছে, অ্যান্থনি টোরেস নামের এক ব্যক্তির থাকার জায়গা নেই৷ কয়েক সপ্তাহ ধরে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন ও আটলান্টিক সিটির মধ্যে ঘোরাঘুরি করেছেন তিনি৷ ঘরহীনদের আশ্রয় কেন্দ্র ও সেতুর নীচে ঘুমিয়ে রাত পার করেছেন৷

এভাবে থাকতে গিয়ে দুই শহরেই তার ছিনতাই হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ নিউ ইয়র্কে যে আশ্রয়ে তিনি ছিলেন, সেখানে তার জন্য জায়গা না থাকায় গেল সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নিউ জার্সিতে ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ এজন্য ভাইয়ের কাছ থেকে টাকাও চেয়ে নেন৷

নিউ জার্সির পথে ট্রেন ছাড়ার পর কয়েক সপ্তাহের ধকল বুঝতে পারছিলেন বলে জানান টোরেস৷ তিনি ছিলেন ক্ষুধার্ত৷ গোসলের সুযোগ পাননি, কয়েক দিন দাড়িও কামানো হয়নি৷

‘‘নিজেকে নোংরা লাগছিল,’’ বলেন তিনি৷

ভাইয়ের পরিবারের সামনে যাতে একটু ভালো চেহারা নিয়ে উপস্থিত হতে পারেন সেজন্যই ট্রেনে নিজের সিটে বসে মুখে ফোম লাগিয়ে শেভ করে নেন টেরেস৷

আর সেই দৃশ্যই মোবাইলে ধারণ করে কে একজন টুইটারে পোস্ট করে দেন৷ কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ সেটা রিটুইট করে নানা আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন৷ ভিডিওটা একদিনেই দেখা হয়ে যায় ২৯ লাখ বার৷

আর টোরেসকে ‘একটি পশু’, ‘নোংরা’ ও ‘অশ্লীল ব্যক্তি’ এসব বলে অনেকে টেরেসকে অপদস্থ করায় নিউ জার্সির একটি সংবাদমাধ্যম লেখে, ‘‘নিউ জার্সি ট্রানজিট ট্রেনে শেভ করা অবস্থায় ধরা পড়েছেন এক ব্যক্তি এবং আমরা এটা দেখতে পারছি না৷’’

পরে সোমবার এক ভাতিজা টোরেসকে ওই ভিডিও দেখালে তিনি লজ্জাবোধ করেন৷ আর কোনো দিন ট্রেনে চড়বেন না বলে স্বজনদের জানিয়ে দেন তিনি৷

ওই ভিডিও দেখার পর বার্তা সংস্থা এপিকে ঘটনা খুলে বলেন টোরেস৷ এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব টিভি পর্দায় উঠে আসে এই ঘটনা৷

টুইটারে প্রথম ভিডিও পোস্টকারীও আরেকটি টুইটে পরে দুঃখপ্রকাশ করেন৷

‘‘আমি কখনোই এই ভিডিও ধারণ বা পোস্ট করে তার কোনো ক্ষতি করতে চাইনি,’’ লিখেছেন তিনি৷

এএইচ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ