অনেক মানুষ অ্যালার্জিতে ভোগেন, সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার পথ খুঁজে পান না৷ অথচ কম বয়সে অ্যালার্জি শনাক্ত হলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব হতে পারে৷ বাসার পরিবেশে কিছু রদবদল করেও উপকার পাওয়া যায়৷
বিজ্ঞাপন
স্ট্রোমব্যার্গ শহরের স্যুস্কে ব্লাই ধুলার অ্যালার্জিতে ভুগছে৷ বছরখানেক আগে পাঁচ বছর বয়সি মেয়েটির এই রোগ ধরা পড়েছিল৷ তখন থেকেই সে আর তার তিন যমজ বোনের জীবন বদলে গেছে৷
অনুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায়, এমন এক ধরনের মাকড়সা সেই অ্যালার্জির উৎস৷ আমাদের বাসায় ধুলার মধ্যে লাখ লাখ এমন প্রাণী লুকিয়ে থাকে৷ বাসার ধুলার মধ্যে মাইট পোকার মলের কারণেও অনেক মানুষের অ্যালার্জি হয়৷ অদৃশ্য এই প্রাণী বিশেষ করে আমাদের বিছানায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে৷
অ্যালার্জি ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড. স্টেফান শাইশার এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘হাউস ডাস্ট অ্যালার্জির জন্য বিছানা এত আকর্ষণীয়, কারণ আমরা সেখানে শুতে যাই বলে প্রথমত খোরাক হিসেবে ত্বকের ঝরে পড়া অংশ পাওয়া যায় এবং সেখানকার পরিবেশও মাইটের জন্য বড় মনোরম৷ বিছানা উষ্ণ থাকে, আমাদের ঘামের কারণে কিছুটা আর্দ্রতাও থাকে৷ ফলে মাইট খুবই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে৷’’
ধূলিকণার অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায়
আপনার কি প্রায়ই নাকবন্ধ থাকে বা চোখ চুলকায় কিংবা রয়েছে হাঁপানির সমস্যা? এ সব হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ ধূলিকণা থেকে অ্যালার্জি৷ তবে একটু সচেতনতাই কিন্তু এ কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে৷ জেনে নিন কিভাবে৷
ছবি: DW/A. Islam
চাই পরিষ্কার বিছানা
মাঝে মাঝেই নাক বন্ধ থাকে অথবা ঠান্ডা লাগে৷ তার ওপর এর জন্য কোনো ওষুধ খেয়েও লাভ হয় না৷ এমনকি বিছানায় শুয়ে থেকেও ঠিকমতো বিশ্রাম হয় না, বরং উল্টোটাই হয়৷ কারণ বিছানায় রয়েছে ধুলোবালি, ছারপোকা, যা সাধারণ চোখে সেভাবে দেখা যায় না৷ তাই যতক্ষণ এগুলো পুরোপুরি পরিষ্কার না হবে, ততক্ষণ অ্যালার্জির কষ্ট থাকবেই৷
ছবি: Fotolia/fotogestoeber
ধূলিকণার অ্যালার্জি
ধূলিকণার অ্যালার্জি জার্মানিতে আনুমানিক শতকরা ১০ জন মানুষের রয়েছে ধূলিকণার অ্যালার্জি৷ তথ্য জার্মানির অ্যালার্জি এবং হাঁপানি অ্যাসোসিয়েশনের৷ এতে করে সবসময় সর্দি ভাব থাকে, চোখ দিয়ে পানি পড়ে৷ সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো, এটা বেশ নিয়মিতভাবে হয় এবং কখনই একেবারে সেরে যায় না৷ ঘরের ভেতরে থাকলে এতে বেশি কষ্ট হয়, যা পরে এক সময় হাঁপানিতেও পরিণত হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাড়ির পর্দা পরিষ্কার রাখুন
ধূলিকণার অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত বাড়ির দরজা, জানালার পর্দা ধুতে হবে৷ সম্ভব হলে পর্দা তৈরির জন্য এমন কাপড় কিনতে হবে, যা সহজে ধোয়া যায়৷ তাছাড়া পর্দার কাপড় হওয়া চাই সেরকম, যাতে ধুলোবালি আটকে থাকতে না পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jens Wolf/
কাপড়ের খেলনা
ছোট্ট-মিষ্টি কাপড়ের খেলনাগুলো দেখলেই কেমন যেন আদর করতে ইচ্ছে করে, তাই না? এ সব খেলনা অনেক শিশুই হাতে রাখে বা বিছানায় সাথে নিয়ে ঘুমায়৷ যত আদরের খেলনাই হোক না কেন, এগুলোতে কিন্তু অনেক ধুলো আটকে থাকে৷ তাই মাঝে মাঝেই শিশুদের প্রিয় কাপড়ের এই খেলাগুলোকে ‘ডিপফ্রিজে’ কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন, যাতে এতে বসে থাকা ছারপোঁকাগুলো মরে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সোফার ধুলোবালি
আমরা সবাই জানি যে, চামড়ার সোফা ছাড়া বেশিরভাগ সোফার কাপড়ে ধুলো আটকে থাকে৷ তাই যাঁদের অ্যালার্জি আছে তারা হয় চামড়ার সোফাসেট ব্যবহার করুন, নয় তো সোফা পরিষ্কার ও সোফার ঢাকনা নিয়মিত পাল্টান৷
ছবি: Fotolia/Minerva Studio
চাদর বালিশ, লেপ, কম্বল
যাঁদের এ ধরনের অ্যালার্জি আছে, তাঁরা নিয়মিত পর্দা, বিছানা, সোফা – ইত্যাদি পরিষ্কার রাখুন৷ এগুলোর মধ্যে ধুলোবালি বা ছারপোঁকা থেকে গেলে কিন্তু কোনো লাভ নেই৷ কারণ ওরা অতি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে৷ বলা বাহুল্য, ছারপোঁকার সবচেয়ে আরামের জায়গা হচ্ছে তোষক৷ আর তার ওপরই মানুষ অনেকটা সময় কাটায়৷ তাই সবচেয়ে ভালো হয় পুরনোগুলো ফেলে দিয়ে, নতুনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে পারলে৷
ছবি: Gina Sanders - Fotolia
স্বাস্থ্য আগে, সৌন্দর্য নয়!
অনেক মা-বাবাকেই বলতে শোনা যায় যে, তাঁদের বাচ্চাদের কার্পেট থেকে অ্যালার্জি হয়৷ কিন্তু বিছানার ম্যাট্রেসের কথা অনেকে হয়ত লক্ষ্যই করেন না৷ যাই হোক, যে বাড়িতে বাচ্চার অ্যালার্জি আছে, সেখানে ছোট কার্পেট রাখা যেতে পারে৷ তবে খুব ভালো করে নিয়মিত কার্পেটটি শ্যাম্পু করতে হবে৷ গরমের দেশে বাড়িতে কার্পেট শুধু সৌন্দর্য বাড়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগে না৷ তাই সেটা না রাখাই ভালো৷
ছবি: Irna
ডাক্তারি পরীক্ষা
জার্মানির গ্যোটিংগেন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ বলেন, যাদের সর্দি, নাকবন্ধ, চোখ দিয়ে জল পড়া, হাঁপানি, শুকনো কাশি নিয়মিতভাবে হয়, তাদের অবশ্যই অ্যালার্জি পরীক্ষা করা জরুরি৷ একমাত্র তখনই ঠিকমতো চিকিৎসা সম্ভব৷ অ্যালার্জি টেস্ট যে কোনো ডাক্তারের কাছেই করা সম্ভব৷ তবে ডাক্তার যদি অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আরো ভালো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ছারপোঁকার প্রবেশ নিষেধ
জার্মানিতে অ্যালার্জি রোগীদের জন্য পাওয়া যায় বিশেষ ধরণের তোষক, বালিশ এবং লেপ৷ এগুলোতে ছারপোঁকা সহজে বাসা বাঁধতে পারে না৷ তবে স্বাভাবিকভাবেই এ সবের দাম একটু বেশি হয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/R. Koenig
বাইরের ধূলিকণা
বাইরে না গিয়ে মানুষের উপায় থাকে না৷ তাই বাইরে থেকে এসে, অর্থাৎ বাড়িতে ঢুকেই ভালোভাবে স্নান করে নেবেন৷ অর্থাৎ চুল, নাক, মুখ, চোখ, হাত, মুখের ভেতর – এগুলোকে গুরুত্ব দেবেন৷ ওপরের বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখলে অ্যালার্জির রোগীরা অনেকটাই অ্যালার্জি মুক্ত জীবন উপভোগ করতে পারবেন৷ জীবন হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়!
ছবি: DW/A. Islam
10 ছবি1 | 10
অন্যান্য অ্যালার্জির তুলনায় এ ক্ষেত্রে সারা বছরই উপসর্গ থেকে যায়৷ স্যুস্কের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছিল৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে স্যুস্কের মা সোনিয়া ব্লাই বলেন, ‘‘হাউস ডাস্ট অ্যালার্জির কারণে শুরুতে স্যুস্কের চোখ থেকে পানি বের হতো, তারপর চোখ শুকিয়ে যেতো৷ সর্দিকাশিও লেগে থাকতো৷ আমরা ভাবতাম ঠাণ্ডা লেগেছে৷ তারপর ইএনটি স্পেশালিস্টের কাছে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে জানা গেল যে, সত্যি হাউস ডাস্ট অ্যালার্জি হয়েছে৷ আমার স্বামীরও অ্যালার্জি আছে৷’’
রক্তের সঙ্গে সঙ্গে সহজ অ্যালার্জি পরীক্ষা করালেও বিষয়টা স্পষ্ট হয়৷ রোগীর হাতের উপর অ্যালার্জেনের বিন্দু ফেলে তার নীচের ত্বকে হালকা খোঁচা মারা হয়৷ জায়গাটা লাল হয়ে গেলে বোঝা যায় যে, অ্যালার্জি আছে৷ তখন যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করা জরুরি৷ ড. শাইশার বলেন, ‘‘মাইটের কারণে হাউস ডাস্ট অ্যালার্জির সবচেয়ে খারাপ পরিণতি হলো অ্যাস্থমা বা হাঁপানি রোগ, কারণ ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে৷ অর্থাৎ বন্ধ নাক ও হাঁচির কারণে কোনো এক সময়ে শ্বাসনালীর উপরও কুপ্রভাব পড়ে৷ নাকের মিউকাস মেমব্রেনের প্রদাহ ফুসফুসে চলে যায়৷’’
মেয়ের উপর মারাত্মক প্রভাব এড়াতে স্যুস্কের বাবা-মা বাসায় কিছু পরিবর্তন করেন৷ স্যুস্কের মা সোনিয়া ব্লাই বলেন, ‘‘ইএনটি বিশেষজ্ঞ শোবার ঘর সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন৷ অর্থাৎ, তিনটি বিছানার তোষক, মাথার বালিশ, বিছানার চাদরে ‘এনকেসিং’ বা মোড়ক দিয়ে গোটা পরিবেশ মাইটের জন্য অনাকর্ষণীয় করে দিতে বলেছিলেন৷’’
এনকেসিং এমন এক মোড়ক, যার সাহায্যে মাইট অ্যালার্জি-সৃষ্টিকারী সূক্ষ্ম ধুলা আর বাইরে বের করতে পারে না৷ প্রত্যেক দুই-এক সপ্তাহ পর পর বিছানার চাদর বদলে ফেলতে হয় এবং কমপক্ষে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাচতে হয়৷
ব্লাই পরিবারের বাসার পরিবেশ মাইটের জন্য বৈরি হয়ে ওঠার পর স্যুস্কের অ্যালার্জির উপসর্গের অনেক উন্নতি হয়েছে৷ তার পরেও সমস্যা হলে নোজ স্পে, চোখের ড্রপ ও অ্যান্টি অ্যালার্জি ওষুধ কাজে লাগে৷ এই সব ওষুধ সমস্যা কিছুটা কমাতে পারলেও অ্যালার্জি দূর করতে পারে না৷ ড. স্টেফান শাইশার মনে করেন, ‘‘তথাকথিত ডিসেন্সিটাইজেশনই হলো একমাত্র কার্যকর থেরাপি৷ আজকের ভাষায় আমরা সেটিকে সুনির্দিষ্ট ইমিউন থেরাপি বলবো৷ এর আওতায় শরীরে অ্যাালর্জেন ঢুকিয়ে অভ্যস্ত করে তোলা হয়, যাতে আর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা না যায়৷ সেটাই হলো লক্ষ্য৷’’
যদি কেউ মাইটের কারণে হাউস ডাস্ট অ্যালার্জির শিকার হয়, তাকে বাসার পরিবেশ মাইটের জন্য বৈরি করে তুলতে হবে৷ সেই অ্যালার্জি যত দ্রুত শনাক্ত হবে, চিকিৎসায় তত ভালো কাজ হবে৷
ইয়ুলিয়া ইয়াকোবুস/এসবি
শিশুর অ্যালার্জি রোধে গর্ভবতী নারীর যা করণীয়
আজকাল কথায় কথায় নানা ধরনের অ্যালার্জির কথা শোনা যায়৷ তবে গর্ভবতী নারী কিছুটা সতর্ক হলে সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব৷
ছবি: Colourbox/Serhii Bobyk
সতর্ক হতে হবে শিশুর জন্মের আগেই!
জার্মানির ত্বক ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞদের করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, সন্তান জন্মের পর অনেক মা-বাবাই অ্যালার্জি সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন৷ এতে অবশ্য তেমন কোনো উপকার হয় না৷ কারণ সন্তানের অ্যালার্জির ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুর জন্মের আগেই মা এবং বাবাকে সতর্ক হতে হবে৷ শিশুর জন্মের পরে নয়!
ছবি: Fotolia/Subbotina Anna
মা-বাবা
বাবা-মায়ের যদি অ্যাজমা, ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জি বা হে ফিভার, ধূলোবালি বা বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে স্বাভাবিকভাবে তার সন্তানেরও সেই সব অ্যালার্জি হতে পারে৷ এছাড়া শিশুর মা এবং বাবা – দু’জনেরই যদি অ্যালার্জি থাকে, তাহলে তাঁদের সন্তানের অ্যালার্জি হওয়ার আশংকা থাকে আরো বেশি৷ জানান জার্মান বিশেষজ্ঞ এরহার্ড হাকলার৷
ছবি: BildPix.de/Fotolia
ধূমপান
গর্ভবতী হওয়ার সাথে সাথেই শিশুর মা এবং বাবার ধূমপান করা উচিত নয়৷ তাছাড়া জন্মের পর শিশু যতদিন মায়ের দুধ পান করে, এমনকি তার পরেও বাবা-মায়ের ধূমপান থেকে দূরে থাকা উচিত৷ বাড়িতে কেউ ধূমপান করলে তা শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে বাধাগ্রস্ত করে৷ কারণ তখন অ্যাজমা বা শ্বাসনালীর মতো অন্যান্য অ্যালার্জি হওয়ার ঝুঁকি শিশুর মধ্যে বেশি থাকে৷
ছবি: Fotolia/ Gina Sanders
বিভিন্ন বাদাম, বেগুন, মাংস...
শিশু যতদিন মায়ের দুধ পান করে, অন্তত ততদিন শিশুর মাকে সুসম খাবার খেতে হবে৷ বাদাম, বেগুন বা গরুর মাংসের মতো খাবারে যদি মায়ের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে সে সমস্ত খাবার থেকে মাকে দূরে থাকতে হবে অবশ্যই৷
ছবি: COLOURBOX
পোষা জীবজন্তু
যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা থাকে, সেখানে পোষা জীবজন্তু রাখা ঠিক নয়৷ বিশেষ করে বেড়াল৷ কারণ বেড়াল শিশুর অ্যালার্জির জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ৷ পাখিও ঝুঁকিমুক্ত নয়৷ তবে কুকুরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা গেলে, তারা তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা৷
ছবি: Fotolia/otisthewolf
বেবির ঘর
নতুন অতিথীর জন্য অনেক বাড়িই নতুন ফার্নিচার ও জিনিসপত্র দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়৷ জার্মানিতে বেশিরভাগ পরিবারেই মেয়ে শিশু হলে তার জন্য সবকিছু গোলাপি আর ছেলের জন্য নীল রঙের জিনিস দিয়ে সাজানো হয়৷ অথচ কাঠের নতুন ফার্নিচার থেকেও শিশুর অ্যালার্জি হতে পারে৷ তাই ফার্নিচার কেনার সময় বিষয়টা পরিবারের সকলকে মনে রাখতে হবে, জানান ড. এরহার্ড হাকলার৷
ছবি: Colourbox/pitrs
ঘরে নতুন রং
শিশুর ঘর মনের মতো করে সাজাতে অনেকেই ঘরে নতুন রং করেন৷ কিন্তু রঙের মধ্যে থাকে নানা রকম ক্ষতিকর উপাদান, যা থেকে শিশুর অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ তাই ঘরে যদি রং করতে হয়, তবে অবশ্যই পরিবেশবান্ধব রং ব্যবহার করা উচিত৷
ছবি: picture alliance/Denkou Images
মুক্ত বাতাস
দিনে তিনবার দশ মিনিট করে শিশুর ঘরের জানালা বড় করে খুলে দিতে হবে, যাতে ঘরে কোনোরকম গন্ধ না থাকে বা ফাঙ্গাস না পড়ে৷ এছাড়া বিছানার চাদর, বালিশ নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে৷ শিশুর মা-বাবা এবং পরিবারের সকলে এই নিয়মগুলো মেনে চললেই একমাত্র অ্যালার্জির ঝুঁকি থেকে শিশুকে দূরে রাখা সম্ভব৷