1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ধূমপানের কারণে বাড়ি ছাড়া!

৩০ জুন ২০১৪

সিগারেটের কটূগন্ধে বিরক্ত প্রতিবেশীরা মামলা ঠোকার পর এক বৃদ্ধকে বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ডুসেলডর্ফের একটি আদালত৷ রায়ে বলা হয়েছে, নিজের বাসায় ধূমপানের ক্ষেত্রে আইনে কোনো সমস্যা নেই৷ তাহলে?

Raucher Friedhelm Adolfs in seiner Wohnung in Düsseldorf 31.07.2013
ছবি: picture-alliance/dpa

ফ্রিডহেল্ম আডল্ফস কিন্তু তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে বসেই সিগারেট খেয়েছিলেন৷ সমস্যা হলো, সিগারেটের ধোঁয়া হলওয়েতে যাওয়া ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি৷ আর সেটাই তাঁর অপরাধ৷ তাই এবার, বাড়িওয়ালির নোটিস মেনে নিয়ে তাঁকে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে দিতে হবে৷

৭৫ বছর বয়সি আডল্ফসের দিন কাটে সরকারের অবসর ভাতার টাকায়৷ গত চার দশক ধরে তিনি ওই বাসায় বসবাস করে এলেও প্রতিবেশীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতবছর তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে যান তাঁর বাড়িওয়ালি৷

জার্মানির পাবলিক ভবন, পরিবহনসহ বিভিন্ন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৭ সালেছবি: picture-alliance/dpa

এ মামলার শুনানিতে বাড়িওয়ালির আইনজীবী আদালতকে বলেন, বার বার অনুরোধ করার পরও আডল্ফস ধোঁয়া বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাপার্টমেন্টের জানালা খুলতে অস্বীকৃতি জানান৷ এমনকি নিয়মিত অ্যাশট্রে পরিষ্কার করতেও তাঁর ছিল দারুণ অনীহা৷ ২০১২ সালে বাড়িওয়ালি মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয়ার পরও বৃদ্ধ তাতে কান দেননি৷

বাড়ি ছাড়ার জন্য আডলফসকে এ বছরের শেষ পর্যন্ত সময় দিয়েছে ফেডারেল আদালত৷ অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন৷

জার্মানির ধূমপায়ী-অধূমপায়ী দু'পক্ষই গত এক বছর ধরে সমান আগ্রহ নিয়ে এ মামলার খোঁজ খবর রেখেছেন৷ ধূমপায়ীদের কারো কারো আশঙ্কা, আদালতের এই রায়ের ফলে নিজের বাড়িতে বসে ধূমপানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ তৈরি হতে পারে৷

আদালতের রায় ঘোষণার পরপরই জার্মানির অ্যাসোসিয়েশন অফ রেন্টার্সের পরিচালক লুকাস জিবেনকোটেন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘নিজের অ্যাপার্টমেন্টে বসে ধূমপানে কোনো বিধিনিষেধ দেয়া চলে না৷ ফেডারেল আদালত গত বছরই বলে দিয়েছে, একজন ভাড়াটে বাসা নেয়ার সময় যে চুক্তি করেছেন, সে অনুযায়ী ধূমপানের বিষয়টি নির্ধারিত হবে৷''

এ মামলার বিচার চলাকালে আডল্ফস দাবি করেন, সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট স্মিটের পরে তিনিই জার্মানির সবেচেয়ে বিখ্যাত ধূমপায়ী৷ তাছাড়া অন্য ধূমপায়ীদের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক সহায়তা দিয়েই তিনি নাকি এ মামলা চালিয়েছেন৷

জার্মানির পাবলিক ভবন, পরিবহনসহ বিভিন্ন স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয় ২০০৭ সালে৷ অধিকাংশ বার ও রেস্তোরাঁতেও ধূমপান নিষিদ্ধ৷

এক সময় অক্টোবর ফেস্টের মতো বিয়ার উৎসবে ধূমপান করা গেলেও ২০০৭ সাল থেকে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা চলছে৷ হেলমুট স্মিটই সম্ভবত জার্মানির সর্বশেষ ব্যক্তি, যিনি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারের মধ্যেও সিগারেট ধরানোর মতো স্বাধীনতা ভোগ করেছেন৷

জেকে/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ