মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এমন খবর দিচ্ছে৷ তারা বলছে, যেসব গ্রামগুলো রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ছিল, সেখানে এখন সেনা ঘাঁটি ও রাস্তা তৈরি করছে তারা৷
বিজ্ঞাপন
একইসঙ্গে আদৌ রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবার ব্যাপারে মিয়ানমারের কোনো আগ্রহ আছে কি না সে ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেছে সংগঠনটি৷ সোমবার এমন মত প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি৷
‘রাখাইন রাজ্যের পু্নর্গঠন' নামে নতুন এক রিপোর্টে অ্যামনেস্টির বিশ্লেষকরা জানান যে, মিয়ানমার সেনারা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে নতুন ঘাঁটি, হেলিপ্যাড ও রাস্তা তৈরি করছে৷
এই বিবৃতির সমর্থনে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করেছে অ্যামনেস্টি, যেখানে দেখা যাচ্ছে মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া গ্রামগুলোতে সামরিক অবকাঠামো গড়ে উঠছে৷
রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতার চিত্র
মিয়ানমারের রাখাইনে সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে৷ রয়টার্সের আলোকচিত্রীর ছবিতে সেইসব নৃশংসতার ছবি ফুটে উঠেছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
একবছরের শিশু
মনকে নাড়া দেয়া ব্যান্ডেজে মোড়ানো তুলতুলে ছোট্ট এই দু’টি পা শহিদের৷ বয়স মাত্র এক বছর৷ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর হামলা থেকে বাঁচতে দাদি তাহেরা যখন পালাচ্ছিলেন, তখন তাঁর কোল থেকে পড়ে যায় ছোট্ট শহিদ৷ ছবিটি কক্সবাজারে রেডক্রসের এক হাসপাতালে ২৮ অক্টোবর তোলা৷
ছবি: Reuters/H. McKay
কালাবারো, ৫০
রাখাইনের মংদুতে তাঁদের গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেয় সেনা সদস্যরা৷ এতে স্বামী, মেয়ে ও এক ছেলেকে হারান কালাবারো৷ তাঁর ডান পায়ে আঘাত করা হয়৷ যেখানে পড়ে গিয়েছিলেন সেখানেই কয়েক ঘণ্টা মারা যাওয়ার ভান করে ছিলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
সেতারা বেগম, ১২
নয় ভাই-বোনের মধ্যে একজন সে৷ সেনারা যখন তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, তখন বাকি আটজন বের হয়ে যেতে পারলেও সে আগুনের মধ্যে আটকা পড়ে গিয়েছিল৷ পরে তাকে উদ্ধার করা হয়৷ তবে পা পুড়ে যায়৷ এই অবস্থায় বাংলাদেশে পৌঁছেছে সে৷ বাংলাদেশেই তার চিকিৎসা করা হয়৷ এখন তার দুই পা থাকলেও নেই কোনো আঙুল৷
ছবি: Reuters/J. Silva
নূর কামাল, ১৭
নিজের ঘরে লুকিয়ে ছিল সে৷ সেখান থেকে সৈন্যরা তাকে খুঁজে বের করে প্রথমে রাইফেলের বাট, পরে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে৷ ছবিতে সেটিই দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
আনোয়ারা বেগম, ৩৬
ঘরে আগুনের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পালাতে গিয়েছিলেন তিনি৷ তবে এর মধ্যেই পুড়ে যাওয়া ছাদ তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে৷ ফলে শরীরে থাকা নাইলনের কাপড় গলে হাত পুড়িয়ে দেয়৷ ‘‘আমি মনে করেছিলাম, মরে যাব৷ তবে আমার সন্তানদের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি,’’ রয়টার্সকে বলেন তিনি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মমতাজ বেগম, ৩০
সেনারা তাঁর বাড়িতে ঢুকে মূল্যবান জিনিসপত্র দিতে বলেছিল৷ তখন মমতাজ তাঁদের দারিদ্র্যের কথা জানালে সৈন্যরা বলেছিল, ‘‘যদি তোমার কোনো অর্থ না থাকে, তাহলে আমরা তোমাকে হত্যা করব৷’’ এই বলে, সৈন্যরা তাঁকে ঘরে বন্দি করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল৷ কোনোরকমে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে বের হয়ে দেখেন তাঁর তিন ছেলে মৃত, আর মেয়েকে প্রহার করা হয়েছে, তার রক্ত ঝরছে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
ইমাম হোসেন, ৪২
মাদ্রাসায় পড়িয়ে ফেরার পথে তিন ব্যক্তি ছুরি নিয়ে তাঁর উপর হামলা করেছিল৷ পরের দিনই তিনি তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন৷ এরপর তিনিও কক্সবাজারে পৌঁছান৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মোহাম্মদ জাবাইর, ২১
গ্রামের বাড়িতে এক বিস্ফোরণে তার শরীরের এই অবস্থা৷ ‘‘আমি কয়েক সপ্তাহ অন্ধ ছিলাম৷ কক্সবাজারের এক সরকারি হাসপাতালে ২৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলাম,’’ বলেছে সে৷
ছবি: Reuters/J. Silva
8 ছবি1 | 8
‘‘ছবিগুলোই বলে দিচ্ছে যে, মিলিটারিরা ব্যাপকহারে জমি দখল করছে৷'' বলেন অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান৷
গত মাসে আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও একই রকমের একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে৷ সেই রিপোর্টে তারা বলে যে, ধ্বংসপ্রাপ্ত রোহিঙ্গা গ্রামগুলো বুলডোজার দিয়ে মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে৷
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া মুসলিম রোহিঙ্গাদের ফের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাখাইন প্রদেশে ঘরে ফেরা রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প তৈরির কাজ শুরু করেছে মিয়ানমার সরকার৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters
রোহিঙ্গা ক্যাম্প
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রক ক্যাম্প তৈরির কাজ করছে৷ পুরো অঞ্চলটিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতার দিয়ে৷ ক্যাম্পে জাতিসংঘের তরফ থেকে এইড দেওয়া হবে৷ তবে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তাদের এইড প্রদানকারী সংস্থাকে ক্যাম্পে ঢোকার সমস্ত ব্যবস্থাপনা করে দিতে হবে৷ খবর, ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্যাম্পে থাকতে পারবেন৷
ছবি: Reuters
অতন্দ্র প্রহরা
ইতিমধ্যেই ক্যাম্পের বাইরে মিয়ানমার সরকার পুলিশ মোতায়েন করেছে৷ ক্যাম্পে যাতে নতুন করে কোনো সমস্যা না হয়, তার দিকে নজর রাখার জন্যই নাকি অতন্দ্র প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
ছবি: Reuters
শেষ পর্যায়ের কাজ
ক্যাম্প তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে৷ বাংলাদেশের শিবির থেকে রোহিঙ্গারা ফিরলেই তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷
ছবি: Reuters
অভিবাসন দফতরের উপস্থিতি
মিয়ানমারের অভিবাসন দফতরের কর্মীরাও নিয়মিত যাচ্ছেন ক্যাম্পে৷ রোহিঙ্গারা ফিরতে শুরু করলে তাঁদের সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত করার জন্য অভিবাসন দফতরের অফিসও তৈরি হয়েছে ক্যাম্পে৷
ছবি: Reuters
কাজ চলছে পুরোদমে
শেষ পর্যায়ের কাজে হাত লাগিয়েছেন রাখাইন প্রদেশের সাধারণ মানুষও৷ দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বহু শ্রমিককে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ক্যাম্পে৷
ছবি: picture-alliance/AP/T. Zaw
জেলখানার মতো
বলা হচ্ছে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে ক্যাম্পে৷ যদিও কেউ কেউ বলছেন, বাইরে থেকে ক্যাম্পটিকে দেখতে লাগছে জেলখানার মতো৷
ছবি: Reuters
হেলিকপ্টার দর্শন
ইতিমধ্যেই ক্যাম্প তৈরির কাজ দেখে গিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার রক্ষার সংস্থাগুলি৷ হেলিকপ্টারে করে তাদের এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয়েছে৷
ছবি: Reuters
7 ছবি1 | 7
তবে মিয়ানমার এই অভিযোগ বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছে৷ তাদের এক সরকারি মুখপাত্র বলেন যে, তারা বুলডোজার দিয়ে পুড়ে যাওয়া গ্রামগুলো পরিষ্কার করছিলেন৷ কিন্তু কোনো সামরিক ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে না৷
সেখানে গ্রামবাসীর পুনর্বাসনের জন্য ঘর তৈরি করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে৷
গত বছর আগস্টে রাখাইন রাজ্যে একটি জঙ্গি হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক ভয়াবহ অপারেশন শুরু করে মিয়ানমার সেনারা৷
তাদের এই অভিযান সারা বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত হয়৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো একে ‘জাতি নিধন' বলে আখ্যায়িত করে৷
রোহিঙ্গাদের ইতিহাস
একটা সময় ছিল যখন কয়েকজন রোহিঙ্গা মিয়ানমার সংসদে সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন৷ আর এখন রোহিঙ্গাদের ভোট দেয়ারই অধিকার নেই৷
ছবি: DW/M.M. Rahman
স্বাধীনতার আগে
বর্তমানে মিয়ানমার নামে পরিচিত দেশে ১২ শতক থেকে মুসলমানরা বাস করছে বলে দাবি অনেক ইতিহাসবিদ ও রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমার যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীন (১৮২৪-১৯৪৮) ছিল তখন বর্তমানের ভারত ও বাংলাদেশ থেকে অনেকে শ্রমিক হিসেবে সেখানে গিয়েছিল৷ তবে তারা যেহেতু ব্রিটিশ আমলে এসেছে তাই স্বাধীনতার পর মিয়ানমার তাদের অবৈধ হিসেবে গণ্য করে৷ প্রতিবেদন পড়তে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Reuters/Z. Bensemra
রোহিঙ্গা সাংসদ
বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সংসদকে জানান, বার্মায় ১৯৫১ সালের নির্বাচনে পাঁচজন ও ১৯৫৬ সালে ছ’জন রোহিঙ্গা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন৷ সব মিলিয়ে মিয়ানমার সংসদে মোট ১৭ জন রোহিঙ্গা সাংসদ ছিলেন বলে জানান তিনি৷ এর মধ্যে দুজন ছিলেন নারী৷
ছবি: Getty Images/AFP/R. Gacad
অভ্যুত্থান
১৯৬২ সালে বার্মায় সামরিক অভ্যুত্থান হয়৷ এরপর সব নাগরিকদের জাতীয় নিবন্ধন কার্ড করতে বলা হলেও রোহিঙ্গাদের দেয়া হয়েছিল বিদেশি পরিচয়পত্র৷ ফলে রোহিঙ্গাদের জন্য চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়৷ ছবিটি ১৯৬২ সালের ৪ মার্চ তৎকালীন বার্মার রাজধানী রেঙ্গুন থেকে তোলা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AFP
প্রথমবার বিতাড়ন
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে তাড়াতে ১৯৭৭ সালে নির্যাতন শুরু করা হয়৷ ফলে ১৯৭৮ সালের মে মাসের মধ্যে প্রায় দু’লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল৷ এরপর জুলাইতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ জাতিসংঘও মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল৷ ফলে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিল মিয়ানমার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/K. Huda
‘গোপন’ চুক্তি
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়া ঐ চুক্তির উপর ‘সিক্রেট’ অর্থাৎ ‘গোপন’ শব্দটি লেখা ছিল৷ ২০১৪ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়টি চুক্তিটি প্রকাশ করে৷ এতে দেখা যায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে যাঁদের পরিবারের একসময় জাতীয় নিবন্ধন কার্ড ছিল তাঁদের মিয়ানমার সরকার ‘বার্মার বৈধ বাসিন্দা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ চুক্তিটি পড়তে উপরে (+) চিহ্ন ক্লিক করুন৷
ছবি: http://dataspace.princeton.edu
রাষ্ট্রহীন
১৯৮২ সালে পাস হওয়া নতুন নাগরিকত্ব আইনে রোহিঙ্গাদের বস্তুত রাষ্ট্রহীন করে দেয়া হয়৷ ঐ আইনে মিয়ানমারের ১৩৫টি জাতিগত গোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়া হয়, যার মধ্যে রোহিঙ্গাদের নাম নেই৷ এই আইনের কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য পড়াশোনা, চাকরি, ভ্রমণ, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া ইত্যাদি সীমিত হয়ে যায়৷ এছাড়া রোহিঙ্গাদের ভোটের অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
দ্বিতীয় পর্যায়ের বিতাড়ন
১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে আবার রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমার৷ ফলে প্রায় আড়াই লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল৷ এরপর তাদের ফিরিয়ে নিতে দুই দেশ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছিল৷ বিবৃতিতে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমারের বাসিন্দা’ এবং ‘মিয়ানমার সমাজের সদস্য’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল৷
সবশেষ ঘটনা
গত আগস্টের এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে অভিযান শুরু করে৷ ইতিমধ্যে এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ৷ নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ছয় লক্ষ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে৷ তবে তাদের ফিরিয়ে নিতে দু’দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে৷