1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নকলের ‘রাজা' ইন্দোনেশিয়া

২৫ আগস্ট ২০১০

এশিয়ায় কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োগ সবচেয়ে কম ইন্দোনেশিয়ায়৷ যার মানে হলো, নকলে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে এই দেশটি৷ আর এর ঠিক উল্টো দিকে আছে সিঙ্গাপুর৷

ইন্দোনেশিয়ার বাজারে নকল ছেয়ে গেছেছবি: AP

মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োগ এশিয়ায় কোথায় কেমন, তা যাচাই করে দেখেছে হংকংভিত্তিক পরামর্শক সংস্থা পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রিস্ক কন্সালটেন্সি (পিইআরসি) ৷ এই জন্য একটি মাপকাঠি ঠিক করেছে তারা৷ তাতে বিভিন্ন পয়েন্টের ভিত্তিতে যে দেশের স্কোর সবচেয়ে কম, সে দেশে মেধাস্বত্ব আইনের প্রয়োগ সবচেয়ে কঠোর৷ আর যাদের স্কোর বেশি সেখানে অবস্থা শোচনীয়৷

পিইআরসির মাপকাঠিতে ইন্দোনেশিয়ার স্কোর ৮ দশমিক ৫৷ তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভিয়েতনাম, ৮ দশমিক ৪ স্কোর নিয়ে৷ এর অর্থ হলো, নকলবাজিতে কম যায় না তারাও৷ চীনের স্কোর ৭ দশমিক ৯, এর নিচে আছে যথাক্রমে ফিলিপাইন্স (৬ দশমিক ৮), ভারত (৬ দশমিক ৫), থাইল্যান্ড (৬ দশমিক ১৭) ও মালয়েশিয়া (৫ দশমিক ৮)৷

চীনে মাজন থেকে শুরু করে অনেক পণ্যের নকল বিক্রি হয়ছবি: AP

নকলকে প্রশ্রয় না দেওয়াদের দলে সিঙ্গাপুরের পাশেই আছে জাপান৷ সিঙ্গাপুরের স্কোর ১ দশমিক ৫, আর জাপানের ২ দশমিক ১৷ তাদের পেছনে আছে যথাক্রমে হংকং (২ দশমিক ৮), তাইওয়ান (৩ দশমিক ৮), তাইওয়ান (৩ দশমিক ৮) ও দক্ষিণ কোরিয়া (৪ দশমিক ১)৷

ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে মেধাস্বত্ব আইন প্রণয়ন করেছে৷ কোনো একটি বিশেষ ধারণার প্রকাশ বা তথ্য ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণকারী বিশেষ কিছু অধিকারের সমষ্টিগত নাম হলো মেধাস্বত্ব৷ যার মানে হলো, যিনি বিষয়টির আবিষ্কর্তা বা ধারণার প্রথম প্রকাশ ঘটালেন, তা ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ থাকবে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর৷ কেউ তা চাইলেই ব্যবহার করতে পারবে না৷

জার্মানির ‘মান’ কোম্পানির একটা গোটা বাস হুবহু নকল করা হয়েছেছবি: AP/NEOMAN Bus

ইন্দোনেশিয়ায় মেধাস্বত্ব আইন হলেও তা যে এখন পর্যন্ত কার্যকর নয়, তাই বলছে পিইআরসি৷ ইন্দোনেশিয়ার পাশাপাশি ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন্সের চিত্র তুলে ধরে তারা বলছে, সরকারগুলো পাইরেসি দমনের কথা বলে এলেও সেখানে এখনো পাইরেটেড সফটওয়্যার চলছে দেদারসে৷ হাল আমলের চলচ্চিত্রগুলোর পাইরেটেড কপিও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে৷

অভিযোগ রয়েছে, পাইরেসি বা নকলবাজির ক্ষেত্রে চীনের একটা বড় ভূমিকা আছে৷ বিশ্বের জনবহুল এই দেশের বিষয়ে আইপিআরসির বক্তব্য হল, চীনের কোম্পানিগুলোকে আরো নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে৷ কারণ চীন বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন প্রভাবশালী দেশ৷ আর সেখানকার অনেক কোম্পানিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের আধিপত্য নিতে আশ্রয় নিচ্ছে নকলবাজির৷ ইন্দোনেশিয়া বা ভিয়েতনামের কোম্পানিগুলো পাইরেসি করে বিশ্ব অর্থনীতির তেমন ক্ষতি করতে পারবে না, যতটুকু করতে পারবে চীনা কোম্পানিগুলো৷ আর বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও তাদের নিত্য নতুন প্রযুক্তি চীনাদের কাছে নিয়ে যেতে ভয় পায়৷ এই ভয় ভাঙানোর দায়িত্ব নিতে হবে চীন সরকারকেই৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ