1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নগরায়নে ইঁদুরের বিবর্তন

২৮ জুলাই ২০২০

অ্যামেরিকার নিউইয়র্কে একটি পার্কে কিছু ইঁদুরের বিবর্তন ঘটছে৷ তারা ঠিক শহুরে হয়ে উঠছে৷ তাদের জিনে হচ্ছে পরিবর্তন৷ এ নিয়ে কাজ করছেন এক বিবর্তন বিজ্ঞানী৷

Urbane Evolution, Projekt Zukunft
ছবি: SWR

মেট্রোপলিটন সিটি নিউইয়র্ক৷ সেখানকার শহুরে জীবন বদলে দেয় সবাইকে, এমনকি কিছু প্রাণী প্রজাতিকেও৷ বিবর্তন বিজ্ঞানী জেসন মুনসি-সাউথের গবেষণা এলাকা সেন্ট্রাল পার্কে৷ তিনি সাদা পায়ের ইঁদুরদের নিয়ে গবেষণা করছেন৷

১৮৭৩ সালে এই পার্কটি খুলেছে৷ এখানে এখনো প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যারা শহর তৈরির আগে থেকে থাকে এখানে৷

জেসন বলেন, ‘‘এই পার্কটা যেন দ্বীপপুঞ্জ৷ কনক্রিট, রাস্তা আর দালানকোঠার সাগরের মাঝে এই দ্বীপগুলোর অবস্থান৷ ৮৫ লাখ মানুষ থাকেন এখানে৷ তাই ইঁদুরের মতো প্রজাতিরা জঙ্গল ছেড়ে বেরিয়ে দালান কোঠা, রাস্তা এসবের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না৷ ফলে তারা ঘুরে বেড়াতে বা ছড়িয়ে পড়তে পারে না৷ অন্যদের মাঝে তাদের জিন ছড়িয়ে দিতে পারে না৷ তাই একবার তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানে ছোট গ্যালাপ্যাগোসের মতো আচরণ করা এবং সম্ভবত অনেক প্রজাতির বিবর্তন ত্বরান্বিত করা, যেগুলো সেখানে আটকে আছে৷’’

এই জীববিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখছেন, সাদা পায়ের ইঁদুরগুলো একেক পার্কে একেক রকম হয়ে বেড়ে উঠছে কিনা৷

জঙ্গলটি বিগ অ্যাপল নামে পরিচিত নিউইয়র্ক শহর দিয়ে পরিবেষ্টিত৷ শহুরে ইঁদুরগুলো কি এই ভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে? তারা কি তাদের অন্য বন্ধুদের থেকে অনেক আলাদা? নিউইয়র্কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তরে একটি গ্রাম্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে বসে জেসন তুলনা করছেন৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এদের ডিএনএ৷

‘‘আমাদের জিনের নমুনা দরকার৷ অতি শহুরে এলাকা ও কম বসতি এলাকায় কেমন করে এ ইঁদুরগুলো ভিন্ন তা জানা দরকার,’’ বলেন জেসন৷

জেসনের জিনগত গবেষণা বলে দেয়, কোন দিক থেকে ইঁদুরটি পরিবর্তিত হচ্ছে৷

জেসন বলেন. ‘‘তাই আপনি যদি সেন্ট্রাল পার্কের একটি ইঁদুর থেকে কিছু জিন নেন তাহলে দেখবেন এর কিছু জিন গ্রামের সেই পার্কের ইঁদুরের থেকে ভিন্ন৷  বিশেষ করে হজম ও পরিপাকের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনগুলো৷ আর এর কারণ খাবারের প্রাপ্যতার ভিন্নতা ও মানুষের বিপুল বর্জ্য৷’’

তিনি যোগ করেন, তাই আমরা এখন পর্যন্ত আমরা যা জেনেছি তা হলো শহরে এদের পরিপাকের সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের জিন বদলে যাচ্ছে৷ এই সাদা পায়ের ইঁদুরগুলো এমন কিছু জিনিস খাচ্ছে, যেগুলো তাদের হজমও করতে হচ্ছে এবং এ থেকে পুষ্টি উপাদান আলাদা করতে হচ্ছে৷ আমরা জানি, এটিই হলো বিবর্তন৷ কারণ বিবর্তনের মানে, ডিএনএতে এমন পরিবর্তন হওয়া, যা বংশ পরম্পরায় চলবে৷’’

জেসন বলেন যে, দেখে মনে হচ্ছে সেন্ট্রাল পার্কের ইঁদুরগুলো ফাস্টফুড হজম করতে শিখে গেছে৷

তিনি বলেন, ‘‘এগুলো বড় কিছু প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে যে, আমরা প্রজাতি হিসেবে আমাদের প্রয়োজন মেটাতে পৃথিবীর বাসস্থানকে কেমন করে বদলে দিচ্ছি৷ আমরা কেমন করে অন্য প্রজাতির ভবিষ্যৎ বদলে দিচ্ছি? আমরা তাদের ক্ষতিই শুধু করছি না, বরং তারা ভবিষ্যতে কেমন হয়ে বেড়ে উঠবে তাও বদলে দিচ্ছি৷’’

ডিয়র্ক নয়মান/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ