1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নজরদারির পরিণতি মারাত্মক হতে পারে

আন্দ্রেয়া কাসিকে/এসবি২৮ এপ্রিল ২০১৭

স্মার্টফোন চালু রয়েছে, ফেসবুকে লাইক করা হচ্ছে, অ্যাপ ডাউনলোড করে তাতে নিজের সম্পর্কে অনেক তথ্য জমা দিতে হচ্ছে৷ ফলে আমরা নিজেরাই নিজেদের নজরদারির পথ সুগম করে দিচ্ছি৷ কিন্তু এর পরিণাম কী?

Deutschland Cebit Hannover 2017
ছবি: DW/M. Rohwer-Kahlmann

২০১২ সালে চীনা শিল্পী আই ওয়েইওয়েই যখন বেইজিং শহরে গৃহবন্দি হয়েছিলেন, কর্তৃপক্ষ ১৫টি ক্যামেরা বসিয়ে তাঁর উপর নজর রাখতো৷ পরে তিনি নিজে সেই ক্যামেরাগুলির কয়েকটি কিনে নিয়ে ২৪ ঘণ্টা ধরে নিজের গতিবিধির ছবি তুলেছেন৷ তারপর নিজের উপর নজরদারির সেই ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে বিষয়টির প্রতি তাচ্ছিল্য দেখিয়েছেন৷ ফটোগ্রাফি মিউজিয়ামের কিউরেটর ইয়ুকিকো ইয়ামাগাটা বলেন, ‘‘আসলে দৈনন্দিন জীবনে ক্যামেরার অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, বিশেষ করে জাতীয় নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে৷ এই মাত্রার নজরদারির সপক্ষে যুক্তি খাড়া করা হয়৷ এই প্রদর্শনিতে দর্শকদের অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে নজরদারির পরিণতি সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করার আহ্বান জানানো হয়৷'' 

আজকাল ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ছবি তোলা হচ্ছে৷ বেসামরিক সংস্থা বা সামরিক বাহিনী সেগুলি পরিচালনা করে৷ সেই ছবির ভুল মূল্যায়ন মারাত্মক পরিণতি এনে দিতে পারে৷ যেমনটা ২০১১ সালে ইয়েমেনে ঘটেছিল৷ এক মার্কিন ড্রোন হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছিল৷ সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে তাদের উপর হামলার পর জানা গেল, তারা আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে একত্র হয়েছিল৷

এই ‘কোলল্যাটারাল ড্যামেজ' বিষয়টির উপর ভিত্তি করে বেলজিয়ামের শিল্পী টোমাস ফান উটরিয়েভ একটি ইনস্টলেশন গড়ে তুলেছেন৷ তিনি নিজের এক ক্যামেরা লাগানো ড্রোন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভ্রমণ করেছেন৷ তাঁর তোলা ছবিগুলি কিন্তু মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়৷ একদল মানুষ খেলাধুলা করছে অথবা প্রার্থনা করছে, নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় তাদের দেখা যাচ্ছে৷ পাকিস্তান বা ইয়েমেনে যেমন মার্কিন ড্রোন হামলায় ভুলে মানুষ নিহত হয়, ঠিক সেরকম পরিস্থিতি দেখানো হচ্ছে৷

তবে সব ক্ষেত্রে বিষয়টি জীবন-মরণের প্রশ্ন নয়৷ শিল্পীরা ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আরও নিপুণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করছেন৷ যেমন পাওলো চিয়েরো গুগল স্ট্রিট ভিউ-এর ছবি ব্যবহার করেন৷ মানুষের ছবি স্ক্যান করে তিনি আসল জায়গায় সেই সব ছবির পোস্টার লাগান৷ সেগুলিকে তিনি ‘স্ট্রিট গোস্ট' বলেন৷ গোটা বিশ্বের অনেক বড় শহরে সেগুলি শোভা পাচ্ছে৷ ইন্টারনেটের ছবির মতো সেগুলি ‘অমর' হয়ে থাকে না, কাগজ দিয়ে তৈরি বলে নষ্ট হয়ে যায়৷ সি ও বার্লিনের কিউরেটর আন-ক্রিস্টিন ব্যারট্রঁ বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে, নজরদারি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার উপর থাবা বসাচ্ছে৷ স্মার্টফোন, সব সময়ে শেয়ার করার প্রবণতা, অ্যাপ ডাউনলোড করে আমরা নিজেদের সম্পর্কে তথ্য পাঠিয়ে চলেছি৷ আমার মনে হয়, নজরদারি এর মধ্যে আমাদের দৈনন্দিন সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠেছেএবং অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন নয়৷''

প্রতিদিন আমরা কীভাবে নজরদারির কোপে পড়ছি, এই প্রদর্শনী তা স্পষ্ট করে দেখিয়ে দিচ্ছে৷ এবং এ বিষয়ে আমরা সচেতন নই৷ কিন্তু ‘বিগ ডেটা' সম্পর্কে আমাদের ভয় থাকা উচিত বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ