1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘‘সাইবার-হিন্দু''

আরাফাতুল ইসলাম (রয়টার্স)৪ ডিসেম্বর ২০১৩

নতুন দিল্লির একটি বারে আড্ডা মারছেন চার ব্যক্তি৷ না, তারা সাধারণ আড্ডাবাজ নন৷ তাদের পরিচয় ভিন্ন৷ ভারতের আলাদা আলাদা প্রান্ত থেকে দিল্লিতে জড়ো হওয়ার উদ্দেশ্য একটাই, নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানো৷

ছবি: Indranil Mukherjee/AFP/Getty Images

এই চার ব্যক্তির পরিচয় টুইটারে৷ তাদের পারিবারিক ইতিহাস ভিন্ন৷ কাজের পরিধিও ভিন্ন৷ কিন্তু চাওয়া একটাই৷ নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের শীর্ষ পদে বসাতে হবে৷ ক্ষমতায় আনতে হবে কট্টরপন্থি ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপিকে৷ এই উদ্দেশ্য পূরণে ইন্টারনেটে মোদির পক্ষে প্রচারণা চালান তারা৷ তাদের পরিচয় তাই ‘‘সাইবার-হিন্দু৷'' ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইন্টারনেটভিত্তিক এসব কর্মীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে৷

‘‘সাইবার-হিন্দুর'' সদস্যরা নিজেদের খরচেই নিয়মিত মিলিত হন৷ এরপর নিজেদের জীবন, সমাজ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন৷ মোদির প্রতি সমর্থন আদায়ে, তাঁর বিপক্ষে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদে, সর্বোপরি মোদির ইমেজ বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়াদি থাকে তাদের আলোচনায়৷ এদেরই একজন নিতিন কাশ্যপ৷ আর্থিক খাতে কর্মরত এই ব্যক্তি ছয়মাসের ছুটি নিয়েছেন৷ মোদির পক্ষে ইন্টারনেটে প্রচারণা চালাতে এই ছুটি নিয়েছেন তিনি৷ কাশ্যপ বলেন, ‘‘আমি মনে করি, মোদি নিজেকে প্রমাণ করেছেন৷ তিনি এমন সব কাজ করেছেন যা ভারতে আরো বহু আগে করা উচিত ছিল৷''

কাশ্যপের পাশে বসা ব্রান্ড বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চাইলেন না৷ তাঁর টুইটার আইডি ‘‘কেশর৷'' পাছে ব্যবসায় ক্ষতি হয় এজন্য পরিচয় গোপন রেখে টুইটার নিক নেম ব্যবহার করেই মন্তব্য করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, একজন টি-বয় থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছাতে অনেক পরিশ্রম করেছেন মোদি৷

তাঁরা চান নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের শীর্ষ পদে বসাতেছবি: Reuters

প্রসঙ্গত, ২০০১ সাল থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গায় কমপক্ষে এক হাজার মানুষ নিহত হন যার মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান৷ অভিযোগ রয়েছে, মোদি এই দাঙ্গা দমনের বদলে তাতে উৎসাহ জুগিয়েছেন৷ তাই কট্টরপন্থি হিন্দু রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে৷ তবে জরিপ বলছে, আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের তুলনায় বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ ফলে মোদির প্রধানমন্ত্রী পদ পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল৷

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি নিজেকে ‘প্রযুক্তি-প্রেমী' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন৷ টুইটারে তাঁর ত্রিশ লাখের মতো অনুসারী রয়েছে এবং গত বছর হলোগ্রাফিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একসঙ্গে চারটি জনসমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি৷ কংগ্রেসের তুলনায় তাঁর দল ইন্টারনেটে বেশি সক্রিয়৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ সাইট এবং ব্লগ ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে৷ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ইসলামপন্থি দল জামায়াতে ইসলামী অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালিয়ে থাকে৷ বিশেষ করে নিজ নিজ দল এবং রাজনীতিবিদদের বিরোধী খবরের প্রতিবাদে তারা বেশ সরব৷ আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে এই দুই দলের মুখোমুখি অবস্থান ইন্টারনেটেও স্পষ্ট৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ