1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াত কি টিকে থাকবে?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১১ মে ২০১৬

জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করার পর দলটির ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে৷ এর আগেও জামায়াতের তিনজন নেতার ফাঁসি কার্যকর হয়৷ এছাড়াও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে কারাগারে আছেন আরো অনেকে৷

জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকরা
ছবি: picture-alliance/ZUMA Press/Z.H. Chowdhury

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইসলামি রাজনৈতিক দল জামায়াতের ভবিষ্যত নিয়ে মিশ্র চিন্তা করছেন বিশ্লেষকরা৷ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. তারেক শামসুর রহমান মনে করেন, ‘‘জামায়াতের হাল ধরবে তরুণ নেতৃত্ব৷ তবে জামায়াত নামটি আর থাকবে না৷ আমার মন হয়, তারা হয়ত এবার নতুন নামে দল করবে৷''

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার মনে করেন, ‘‘জামায়াত আবার ঘুরে দাঁড়ালে বিস্মিত হওয়ার কিছু থাকবে না৷ কারণ অতীতেও জামায়াত নিষিদ্ধ হয়েছিল৷ তবে এটা নির্ভর করবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর৷''

শান্তনু মজুমদার

This browser does not support the audio element.

যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর সময় জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির ব্যাপক তৎপর ছিল৷ তারা হরতাল ডেতে মাঠে থাকত এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করত৷ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর, তারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা এবং তাণ্ডব চালায়৷ কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের আন্দোলন এখন প্রতিবাদ এবং কর্মসূচি দেয়ার মধ্যেই সীমবাদ্ধ হয়ে পড়েছে৷^

ড. তারেক শামসুর রহমানের কথায়, ‘‘জামায়াতের তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে উপলব্ধি এসেছে৷ তারা বুঝতে পারছে য, যুদ্ধাপরাধের দায় মাথায় নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা যাবে না৷ জামায়াতের একাত্তর পরবর্তী প্রজন্ম জামায়াতের একাত্তরের দায় নিতে চাইছে না৷'' তাই তিনি মনে করেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামী নামে সংগঠনটি থাকবে না৷ কারণ জামায়াতের নিবন্ধন ইতমধ্যেই বাতিল হয়েছে৷ অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নতুন নামে দল করতে হবে৷''

তারেক শামসুর রহমান

This browser does not support the audio element.

জামায়াতে ইসলামী অতীতে জাতীয় সংসদে উল্লেখযোগ্য সংখক আসন পেয়েছে৷ তাদের দু'জন নেতা মন্ত্রীও হয়েছেন৷ বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোট বেধে নির্বাচন করলে বিএনপি এবং জামায়াত উভয়েই লাভবান হয়৷ সেই প্রেক্ষাপটে জামায়াতের নতুন নেতৃত্বে যারা আসবেন, তাদের মাথায় কি এ কথা থাকবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ড. তারেক বলেন, ‘‘যদি জামায়াত নতুন নামে আত্মপ্রকাশ করে, তাহলে তাদের রাজনীতির শত্রু-মিত্র কারা হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না৷

জামায়াতের ভবিষ্যৎ প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জামায়াত নামে দলটি টিকে না থাকলেও তাদের যে ভাবাদর্শ, তা সহজে যাবে বলে মনে হয় না৷ কারণ বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধীতা বা যুদ্ধাপরাধের পক্ষে সামাজিক উপাদান আছে৷''

তবে তাঁর কথায়, ‘‘জামায়াতের ভবিষ্যৎ অনেকটাই তাদের বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা এবং সমর্থনের ওপর নির্ভর করে৷ এখন যা অবস্থা, তাতে অভ্যন্তরীণ শক্তি দিয়ে জামায়াতের দাঁড়ানো কঠিন৷''

জামায়াতের এই অবস্থায় আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বা ভোটের হিসেবে কতটা লাভবান হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে ড. মজুমদার বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচারে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন৷ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একক কোনো দলের নয়৷ এটা করতে পারলে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা তো বাহবা পাবেনই৷''

বন্ধু, শীর্ষ নেতাদের প্রায় কেউই নেই৷ এ অবস্থায় জামায়াত কি টিকে থাকবে? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ