1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল

২৪ মে ২০১২

প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত বিরোধী দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত সিরিয়ান ন্যাশনাল কাউন্সিল এসএনসি’র প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা বুরহান গালিউনের৷ নতুন নেতার খোঁজে এসএনসি৷ আর সরকারি বাহিনীর হামলা অব্যাহত৷

ছবি: Reuters

এসএনসি'র প্রধান হিসেবে এতোদিন দায়িত্ব পালন করেছেন মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থিত উদারপন্থী সমাজতাত্ত্বিক বুরহান গালিউন৷ বিগত কয়েক দশক ধরে ফ্রান্সে বসবাস করেন ৬৭ বছর বয়সি গালিউন৷ গত বছরের আগস্ট মাসে তাঁকে প্রধান করে ইস্তানবুলে গঠন করা হয় ৩১৩ সদস্য বিশিষ্ট সিরীয় জাতীয় পরিষদ৷ তবে চলতি মাসের ১৫ তারিখে রোমে পরিষদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকে গালিউনকে তৃতীয় মেয়াদে তিন মাসের জন্য আবারও প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হলে পরিষদের ভেতরেই অসন্তোষ দেখা দেয়৷ পরিষদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সিরিয়ার এক সাবেক প্রেসিডেন্টের নাতি আদিব শিশাকলি পদত্যাগের হুমকি দেন৷ এছাড়া মাঠ পর্যায়ে বিরোধীদের জোট স্থানীয় সমন্বয়কারী পরিষদ এলসিসি'ও এসএনসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়৷

সিরিয়ায় সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্রছবি: dapd

এর দু'দিন পরই গালিউন পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন৷ তবে ঠিক এই মুহূর্তেই নয়, বরং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজন নেতা খুঁজে পেলেই তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন৷ তবে প্রধানের পদ নিয়ে এমন অভ্যন্তরীণ জটিলতা বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে বেশ সংকটে ফেলেছে৷ কারণ তাদের এমন একজন নেতা দরকার যাঁকে পশ্চিমা গোষ্ঠীর কাছেও গ্রহণযোগ্য হতে হবে৷ এ অবস্থায় এসএনসি'র ১২ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিষদের সাচিবিক পরিষদে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের৷ তাই আগামী ১১ ও ১২ই জুন ৫০ সদস্য বিশিষ্ট সচিবদের নিয়ে গঠিত পরিষদের সভায় নতুন প্রধান প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

দামেস্কে জতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলছবি: picture-alliance/dpa

গত সপ্তাহের নির্বাচনে গালিউনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা উদারপন্থী নেতা জর্জ সাবরা পরিষদের পরবর্তী প্রধান হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে৷ কারণ সাবরা গত নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ ভোট পান৷ আর গালিউন ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন৷ তবে সাবরার ব্যাপারে ঐকমত্যে আসা এসএনসি'র জন্য কঠিন হবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের৷

এদিকে, সিরিয়ার হোমস প্রদেশের রাস্তান'সহ বেশ কিছু শহরে বৃহস্পতিবার সরকারি সেনাদের হামলায় অন্তত পাঁচ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস৷ অন্যদিকে, জাতিসংঘের এক বিশেষ প্রতিবেদনে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী - উভয় বাহিনীর বিরুদ্ধে সেখানে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়েছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই (এপি, রয়টার্স)
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ