ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের তরফে একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ ২০১৫ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ইরান তার সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছে, বলে রোহানি উল্লেখ করেন৷
বিজ্ঞাপন
বুধবার একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তি সম্পর্কে মার্কিন-ফরাসি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি এবং বলেন যে, তেহরান যে ২০১৫ সালের ‘যৌথ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি' অনুমোদন করেছে, তা থেকেই প্রমাণ হয় যে, তাঁর দেশ ‘‘গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র সংগ্রহের প্রচেষ্টা করছে না৷''
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ফরাসি সতীর্থ এমানুয়েল মাক্রোঁ তেহরানের সঙ্গে একটি ‘‘নতুন চুক্তির'' ডাক দেন৷
‘‘একটি ইউরোপীয় দেশের নেতার সঙ্গে ওরা বলছে: ‘আমরা একটি সাতপক্ষীয় চুক্তি সম্পর্কে একাই সিদ্ধান্ত নিতে চাই৷' কী কারণে? কোন অধিকারে?'' রোহানি একটি ভাষণে বলেন৷
ইরানের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভিযোগ করেন: ‘‘আপনি শুধু একজন ব্যবসায়ী....রাজনীতি, আইন অথবা আন্তর্জাতিক চুক্তির ব্যাপারে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই৷ আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্পর্কে আপনি কীভাবে রায় দেবেন?''
ইরানে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রোহানি
ইরানে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন হাসান রোহানি৷ চার কোটি ভোটার এবার ভোট দিয়েছেন৷ রুহানি পেয়েছেন ৫৭ ভাগ ভোট৷ অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ ভোট৷
ছবি: Reuters/President.ir
প্রধান দুই প্রার্থী
ইরানে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়৷ নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি অন্যজন এবরাহিম রাইসি৷
ছবি: Mizan
ভোটার বেশি, তাই সময় বাড়ানো
শুক্রবার ভোটদানের সময় আরও পাঁচ ঘণ্টা বাড়ানো হয়৷ চলে স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত৷ দেশটির ২০১৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও প্রায় একই রকম ভোট পড়েছিল, ওই নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেয়ে প্রথমবারের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন মধ্যপন্থি প্রার্থী হাসান রোহানি৷
ছবি: Getty Images/M. Saeedi
সমস্যা থেকে উত্তোরণ
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী রাইসির প্রতি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই সমর্থন জানানোয় অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন রুহানি৷ অবশেষে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিনি সফল হলেন৷
রক্ষণশীল বলে পরিচিত ইব্রাহিম রাইসি ভোটে কারচুপির অভিযোগ করেছেন৷
ছবি: Reuters/Tima
নরমপন্থি রোহানি
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৬৮ বছর বয়স্ক হাসান রোহানি বাস্তববাদী ও অপেক্ষাকৃত নরমপন্থি বলে পরিচিত৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায় একঘরে হয়ে থাকা দেশটিকে অনেকটাই উন্মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি৷ বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করায় ইরানের উপর অনেক নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হচ্ছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/D. Bockwo
পুনর্নির্বাচিত
রোহানিই প্রথমবার নন, সেই ১৯৮১ সাল থেকে ইরানে সব প্রেসিডেন্টই দ্বিতীয়বার পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন৷
ছবি: Mehr
6 ছবি1 | 6
শুধু পারমাণবিক কর্মসূচি নয়
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বহুবার ইরানের সঙ্গে যুগান্তকারী পরমাণু চুক্তির তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান ছাড়া ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন ও জার্মানি এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট৷ চুক্তিটি ইরানের পক্ষে বিশেষভাবে সুবিধাজনক, বলে ট্রাম্পের বিশ্বাস – যে কারণে তিনি চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে আসতে চান৷ কিন্তু মাক্রোঁ তাঁর মার্কিন সফরের অবকাশে বলেন যে, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি ‘‘নতুন চুক্তি'' সম্পর্কে কথা বলেছেন যে চুক্তির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও তার পরবর্তী বিকাশধারা সম্পর্কে ট্রাম্পের দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করবে৷
ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মাক্রোঁ প্রস্তাব দেন যে, নতুন চুক্তিটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ইরানকে সিরিয়া ও ইয়েমেনে তার গতিবিধি থেকে বিরত করা হবে৷
কার, কতগুলো পারমাণবিক বোমা আছে
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের নয়টি দেশের কাছে বর্তমানে ১৩,৪০০টি আণবিক বোমা আছে৷ তবে এ সব বোমার সংখ্যা কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/KCNA
রাশিয়ার কাছে সবচেয়ে বেশি
স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিপ্রি-র তথ্য অনুসারে রাশিয়ার কাছে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আণবিক বোমা রয়েছে৷ দেশটিতে এ ধরনের বোমার সংখ্যা ৬,৩৭৫টি৷ ১৯৪৯ সালে রাশিয়া প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা করেছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Kolesnikova
দ্বিতীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পারমাণবিক বোমা বানিয়েছে এবং একমাত্র দেশ যারা যুদ্ধেও এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে৷ দেশটির কাছে এখন ৫,৮০০ টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/H. Jamali
চীনও পিছিয়ে নেই
৩২০টি পারমাণবিক বোমা আছে চীনের৷ রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও দেশটি ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়াচ্ছে৷ যেমন ২০১৯ সালেই তাদের কাছে ২৯০ টি বোমা ছিল৷ স্থল, আকাশ বা সমুদ্রপথে সেগুলো ছোঁড়া সম্ভব৷
ছবি: Getty Images
সাবমেরিনে পারমাণবিক বোমা
ফ্রান্সের কাছে পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে ২৯০টি৷ এগুলোর অধিকাংশই রয়েছে সাবমেরিনে৷ দেশটির অন্তত একটি সাবমেরিন সবসময় পারমাণবিক বোমা নিয়ে টহল দেয়৷
ছবি: AP
যুক্তরাজ্যেরও আছে পারমাণবিক বোমা
২১৫টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে যুক্তরাজ্যের কাছে৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এই দেশটি ১৯৫২ সালে প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kaminski
দক্ষিণ এশিয়ায় এগিয়ে পাকিস্তান
ইতোমধ্যে তিনবার প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান৷ দেশটির আছে ১৬০টি আণবিক বোমা৷ সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি৷ অনেকে আশঙ্কা করেন, প্রতিবেশীর সঙ্গে দেশটির লড়াই কোন এক সময় পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নিতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/AP
থেমে নেই ভারত
পারমাণবিক বোমার সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারতও৷ দেশটি প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ১৯৭৪ সালে৷ সিপ্রির তথ্য অনুযায়ী, তাদের কাছে এখন ১৫০টি বোমা রয়েছে৷ ভারত অবশ্য জানিয়েছে, তারা আগে কোনো দেশকে আঘাত করবে না, আর যেসব দেশের পারমাণবিক বোমা নেই, সেসব দেশের বিরুদ্ধে তারা এ ধরনের বোমা ব্যবহার করবে না কোনোদিন৷
ছবি: Reuters
ইসরায়েল সম্পর্কে তথ্য কম
ইসরায়েল অবশ্য নিজের দেশের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেমন কিছু জনসমক্ষে প্রকাশ করে না৷ যদিও দেশটির নব্বইটি পারমাণবিক ‘ওয়ারহেড’ আছে বলে উল্লেখ করেছে সিপ্রি৷
ছবি: Reuters/B. Ratner
উত্তর কোরিয়া সবার নীচে
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করে উত্তর কোরিয়াও৷ এখন দেশটির কাছে থাকা বোমার সংখ্যা আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০টি৷
ছবি: Reuters
9 ছবি1 | 9
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও রাশিয়া সংশ্লিষ্ট নয়
মাক্রোঁর এই প্রস্তাবের পিছনে কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন নেই৷ ‘‘একটি চুক্তি ইতিমধ্যেই আছে, সেটি কাজ করছে এবং সেটিকে বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন,'' ইইউ-এর বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোঘেরিনি ব্রাসেলসে সিরিয়া সম্মেলনের অবকাশে বলেছেন৷ ‘‘(এই চুক্তি) ইরানকে একটি পারমাণবিক সমরাস্ত্র বিকাশ থেকে বিরত থাকতে এবং কোনো পারমাণবিক সমরাস্ত্র বিকাশ না করার নিঃশর্ত প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য করেছে,'' বলে মোঘেরিনি যোগ করেন৷
রাশিয়াও ট্রাম্প-মাক্রোঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে৷ ‘‘(২০১৫ সালের চুক্তির) কোনো বিকল্প নেই, বলে আমাদের বিশ্বাস,'' ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন৷ ‘‘আমরা যৌথ পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচিকে তার বর্তমান রূপে বজায় রাখার সপক্ষে,'' বলে পেস্কভ যোগ করেন৷ ‘‘প্রশ্ন হলো, বর্তমান পরিস্থিতিতে ও ধরণের সফল উদ্যোগ কি সম্ভব?''
ট্রাম্পকে আগামী ১২ মে তারিখের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷
ইরান আন্দোলনে বিদেশি ইন্ধন?
গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইরানে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন৷ ইরান কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, সে আন্দোলনে বাইরে থেকে ইন্ধন ছিল৷
ছবি: Reuters
হতাশার বিক্ষোভ
২৮ ডিসেম্বর শুরু হয় আন্দোলন৷ মূলত কর্মহীনতা, মুদ্রাস্ফীতি এবং ধনী-গরিবের বিভাজনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তেহরানের রাজপথে৷ কিন্তু দ্রুত সেই আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নেয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
গরিবের বিক্ষোভ
মূলত ইরানের গরিব মানুষেরা এই বিক্ষোভে যোগ দেন৷ দেশের সব প্রদেশ থেকেই দলে দলে মানুষ তেহরানে এসে ভিড় জমান৷ প্রদেশগুলিতেও বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
বিক্ষোভের মন্ত্র
আন্দোলনের নেতা কে, সে বিষয়ে ধন্ধে ছিল সরকার৷ রাজনৈতিক মহলের মতে এটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন৷ বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, ইরান সরকার লেবাননের হিজবুল্লাহ জঙ্গিদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করুক৷ সিরিয়া এবং ইরাকের রাজনীতিতে নাক গলানো বন্ধ করে বরং অভ্যন্তরীন বিষয়ে মন দিক ইরান সরকার৷
ছবি: twitter_arteshbood
বিক্ষোভ বিরোধিতা
বিক্ষোভের পাঁচদিনের মাথায় প্রথম মুখ খোলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি৷ অভিযোগ করেন, ‘ইরানের শত্রু’রা বিক্ষোভকারীদের হাতে অর্থ, অস্ত্র এবং আন্দোলনের নানাবিধ হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে৷ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের স্থিতিশীলতা টলিয়ে দেওয়ার জন্যই এই কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Anadolu Agency/Salampix
বিক্ষোভ দমন
বিক্ষোভ দমন করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷ প্রায় ৪৫০ জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্ততপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে৷ ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্বের পর ইরানের রাজপথ এত বড় বিক্ষোভ দেখেনি৷
ছবি: Getty Images/AFP
বিক্ষোভ আলোচনা
ইরানের বিক্ষোভ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশ৷ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা ইরানের বিক্ষোভ এবং সরকারের ভূমিকার পক্ষে-বিপক্ষে মত প্রকাশ করে৷ রক্তক্ষয়ের বিষয়টি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করে বিভিন্ন মহল৷
ছবি: dolatebahar
পাল্টা বিক্ষোভ
আন্দোলনের ১ সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুলিশ ঘোষণা করে, আন্দোলন বন্ধ হয়েছে৷ আয়াতুল্লাহ খামেনির পক্ষেও বিশাল মিছিলের আয়োজন হয়৷ তবে বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ এখনও অব্যাহত৷