1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নতুন বছরে ইউরোজোনের চিন্তা: ডিফ্লেশন, গ্রিস

৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

২০১৪ সালের শেষ কয়েক মাস ধরে ইউরোজোনের অর্থনীতিতে ‘ডিফ্লেশন’ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে৷ কারণ মুদ্রাস্ফীতির বর্তমান হার এখন ০ দশমিক ৩ শতাংশ, যেটা ২ শতাংশের মতো হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

Symbolbild - EZB
ছবি: Getty Images/A. Dedert

পরিস্থিতির উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ যেমন সুদের হার কমানো, ব্যাংকগুলোর জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি৷ কিন্তু এতে কাজ না হওয়ায় বিশ্লেষকরা এখন ‘কিউই' (কোয়ান্টিটিভ ইজিং) কর্মসূচি চালুর পরামর্শ দিচ্ছেন৷ এর মানে হচ্ছে বন্ড কেনা৷

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ইসিবি-র নীতিনির্ধারকদের অনেকেই এই কর্মসূচির পক্ষে তাঁদের সমর্থনের কথা বলেছেন৷ কেননা ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র সহ অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুফল পেয়েছে৷

ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাগিছবি: Reuters/Yves Herman

তবে এর বিরোধিতাও রয়েছে৷ বিশেষ করে জার্মানি এই কর্মসূচির পক্ষে নয়৷ জার্মান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ইয়েন্স ভাইডমান মনে করেন, কর্মসূচি শুরুর পর সেটা নিয়ে যে হতাশা নেমে আসবে সেটা নিশ্চিত৷ ‘‘এর ফলে সমস্যার আসল রূপ চাপা পড়ে যেতে পারে'', বলে মনে করেন তিনি৷

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানের সঙ্গে একমত জার্মান অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে৷ তিনি বলেন, ‘‘অবস্থার উন্নতি করতে কাঠামোগত সংস্কারের বিকল্প নেই৷''

এছাড়া ব্রিটেন আর যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোজোনের অর্থনৈতিক ও আইনগত কাঠামোটা ভিন্ন হওয়ায় ইউরোপও যে বন্ড কেনা কর্মসূচি থেকে সুফল পাবে, সেটা মনে করার কারণ নেই বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক৷

অবশ্য বিরোধিতা সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নয়নে ইসিবি নতুন বছরের শুরুতে কিংবা তার পর বন্ড কেনা কর্মসূচি চালু করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ জানুয়ারির ২২ কিংবা মার্চের ৫ তারিখে ইসিবি-র বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে৷

প্রসঙ্গ গ্রিস

পর পর তিনবার চেষ্টা করেও একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পারেনি গ্রিস৷ তাই জানুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী৷ ঐ নির্বাচনে বামপন্থি সিরিজা দল ক্ষমতায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আইএমএফ-এর ব্যয়সংকোচ নীতির বিরোধী৷ তাই দলটি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে গ্রিসে যে হারে সংস্কার চলছে, সেটা ধীর হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ