1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিয়ানমারে নবযুগের সূচনা হতে পারে

২ জানুয়ারি ২০১২

এসে গেল নতুন বছর৷ পেছনে ফেলে আসা ‘আরব বসন্ত’ এখনো উঁকি দিচ্ছে কোনো কোনো দেশে৷ এদিকে, মিয়ানমারে নতুন যুগ শুরু হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে৷

Secretary of State Hillary Rodham Clinton and pro-democracy opposition leader Aung San Suu Kyi talk prior to dinner at the US Chief of Mission Residence in Rangoon, Myanmar, Thursday, Dec. 1, 2011. (AP Photo/Saul Loeb, Pool)
হিলারির মিয়ানমার সফর ছিলো ঐতিহাসিক ঘটনাছবি: dapd

শুরুটা টিউনিশিয়ায়৷ তারপর একে একে মিশর, লিবিয়া আর ইয়েমেন৷ এই চার দেশেরই নেতৃত্বে পরিবর্তন এনেছে আরব বসন্ত৷ এছাড়া মরক্কো, বাহরাইন, সৌদি আরব সহ আরও কয়েক দেশের শাসকরা বাধ্য হয়েছেন কমবেশি পরিবর্তন আনতে৷ সিরিয়ায় এখনো চলছে গণবিক্ষোভ ও তা দমনের পালা৷ বিশ্লেষকদের ধারণা, এ বছরেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মেয়াদ শেষ হতে পারে৷

কিন্তু যে উদ্দেশ্য নিয়ে আরব বসন্তের আগমন সেটা কী পূরণ হচ্ছে? টিউনিশিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে সরকার বদল হলেও মিশর আর ইয়েমেনে এখনো বিক্ষোভ, সংঘাত বন্ধ হয় নি৷ আর লিবিয়ায় ক্ষমতা ভাগাভাগিতে জাতিগত বিভেদ প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে৷

এই বিভেদের কারণে ইরাকে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে৷ মার্কিন সৈন্য চলে যাওয়ার পর এখন সেখানে প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চাইছে৷ বিশেষ করে সৌদি আরব আর ইরান৷

সু কির বাড়ির সামনে জনতার ভীড়ছবি: dapd

ইরাক মূলত শিয়া প্রধান দেশ৷ তারাই এখন সেখানকার ক্ষমতায়৷ তবে দীর্ঘদিনের শাসক সাদ্দাম হুসেন ছিলেন একজন সুন্নি৷ তাই তাদের প্রভাবও কম নয়৷ ফলে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব ক্রমেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে৷

এরই মধ্যে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকি তাঁর পুবের প্রতিবেশী শিয়া-প্রধান ইরানের দিকে ঘেঁষতে শুরু করেছেন৷ কেননা তিনি হয়তো মনে করছেন, তাঁর পশ্চিমের প্রতিবেশী সিরিয়ায় যদি আসাদের পতন হয় তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নিরা ক্ষমতায় চলে যেতে পারে৷ এদিকে সুন্নি-প্রধান সৌদি আরব ইরাকের সুন্নিদের সাহায্যে সে দেশটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে চাইছে৷ অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে অনেকদিন ধরে চাপা পড়ে থাকা জাতিগত বিভেদ এ বছর আবারও সামনে চলে আসতে পারে৷

এবার মিয়ানমার প্রসঙ্গ৷ দেশটিতে গত বছর থেকে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে৷ আরব বসন্ত এর একটা অন্যতম কারণ৷ তবে তার চেয়ে বড় কারণ হলো দেশের ভেতর নেতৃত্বের ইতিবাচক পরিবর্তন৷

গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন থিয়েন সেন৷ সাবেক শাসক জেনারেল থান শো'য়ে তাঁকে ঐ পদে বসিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়৷ কিন্তু ব্যক্তি থিয়েন সেন জেনারেল থান শো'য়ের মতো নন৷ তাই দায়িত্ব নেয়ার পরই থান শো'য়ে যেটা কোনোদিন করেননি সেটাই করেছেন থিয়েন সেন৷ তিনি বিরোধী গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচি'র সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেসময় সুচিকে তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি, মিয়ানমারের জনগণের হৃদয় হচ্ছেন আপনি''৷ এরপর সুচি প্রেসিডেন্টের কাছে কিছু দাবি তুলে ধরেন৷ এক এক করে প্রেসিডেন্ট সেগুলো পূরণ করছেন৷

পশ্চিমা বিশ্ব যেন মিয়ানমারের উপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সেজন্য প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেন এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন৷ তাঁর এসব উদ্যোগকে যে বাইরের বিশ্ব ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে সেটা বোঝা যায় কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে বড় বড় নেতার সফরের মধ্য দিয়ে৷ এদের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনও ছিলেন৷ বহুজাতিক কোম্পানি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যেন মিয়ানমারকে সহায়তা করে সে বিষয়ে তিনি কাজ করবেন বলে প্রেসিডেন্ট থিয়েন সেনকে আশ্বস্ত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ 

এ বছর মিয়ানমারের সংসদের ৪৮টি খালি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে৷ সুচি তাতে অংশ নেবেন৷ এর মাধ্যমে ২০১২ সালে বিশ্ব একটি নতুন মিয়ানমার দেখতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ