1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংহতির ডাক দিলেন ম্যার্কেল

ব্যার্ন্ড গেসলার/এসি৩১ ডিসেম্বর ২০১৫

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল তাঁর নববর্ষের ভাষণে উদ্বাস্তুদের আগমন ও তাঁদের জার্মান সমাজের অঙ্গ করে তোলার কাজটাকে ‘‘আগামীর সুযোগ'' বলে বর্ণনা করেছেন৷ তবে জলবায়ু সুরক্ষা, ইউরো সংকটের মতো বিষয় উঠে আসেনি তাঁর কথায়৷

Bundeskanzlerin Angela Merkel Neujahrsansprache
ছবি: Reuters/H. Hanschke

উদ্বাস্তু বা শরণার্থী সংকট সম্পর্কে ম্যার্কেলের বক্তব্য হলো, ২০১৬ সালে জার্মানির পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হবে: ‘‘আমাদের সংহতি''৷

ম্যার্কেল বলেছেন, ‘‘নিজেদের বিভক্ত হতে দিলে চলবে না – সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে বিভাজন নয়, বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে বিভাজন নয়, যাঁরা আসছেন আর যাঁরা এখানকার বাসিন্দা, তাঁদের মধ্যে বিভাজন নয়৷''

‘‘যাঁদের হৃদয়ে শৈত্য, এমনকি ঘৃণা বিরাজ করছে, যাঁরা বলেন যে, নিজেকে জার্মান বলার অধিকার শুধু তাঁদের এবং এভাবে অন্যদের প্রান্তিক করে তোলেন'', এমন সব মানুষদের অনুগামী হওয়া উচিত নয় – বলেন ম্যার্কেল, অবশ্য পেগিডা আন্দোলনের নাম না করেই৷ পেগিডা-র অর্থ হলো ‘প্রতীচ্যের ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী ইউরোপীয়'-দের সংগঠন৷

জার্মানদের আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা, সুবিবেচক ও বিশ্বজনীন হতে হবে, বলেন ম্যার্কেল৷ তাঁর মতে, বিদেশি-বহিরাগতদের সমাজে অন্তর্ভুক্তির জন্য জার্মানদের অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিখতে হবে৷ ম্যার্কেলের কথায়, ‘‘আমদের মূল্যবোধ, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের ন্যায়বোধ, ভাষা, আইন-কানুন'', এ সবই ‘‘এখানে যাঁরা থাকতে চান'', তাঁদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য৷

ম্যার্কেল বিশেষভবে উল্লেখ করেন যে, যে সমস্ত দেশ বহিরাগতদের সফলভাবে গ্রহণ করতে পেরেছে, সমাজের অঙ্গ করে তুলতে পেরেছে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তারা লাভবান হয়েছে৷ অপরদিকে ম্যার্কেল বলেন, জার্মানির চেষ্টা হলো, ইউরোপের বহির্সীমান্ত সুরক্ষা, বেআইনি অভিবাসনকে বৈধ অভিবাসনে পরিবর্তন ও উদ্বাস্তু সংকটের মূল কারণগুলির দূরীকরণ৷

যে সব স্বেচ্ছাসেবী ও সরকারি বা বেসরকারি কর্মী উদ্বাস্তুদের জন্য ‘‘বিমুগ্ধকর ও বাস্তবিকভাবে মর্মস্পর্শী কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্যের মনোভাব'' প্রদর্শন করেছেন, তাঁদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ অন্যদিকে তিনি অবশ্য এটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি যে, এত বেশি মানুষের আগমন ‘‘আমাদের উপর অনেক চাপ ফেলবে''৷

সবশেষে ম্যার্কেল তাঁর সুপরিচিত বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেন: ‘ভির শাফেন এস', আমরা পারব, কেননা জার্মানির সে শক্তি আছে৷ উদ্বাস্তুত্রাণে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে ম্যার্কেল বিদেশে নিয়োজিত জার্মান সৈন্যদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন, ‘‘যাঁরা আমাদের মূল্যবোধ, আমাদের নিরাপত্তা ও আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছে''৷

এ বছরের ভাষণে ম্যার্কেল জলবায়ু সুরক্ষা বা ইউরো সংকটের মতো চ্যালেঞ্জের উল্লেখ করেননি৷ পরিবর্তে তিনি বলেছেন ফ্রান্সে আগামী ইউরোপীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের কথা, যেখানে ‘‘আমাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হবার আশা রাখে''৷

বন্ধু, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নববর্ষের ভাষণ আপনার কেমন লাগলো? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ