1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেরির প্রথম বিদেশ সফর

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

এশিয়া নয়, ইউরোপ৷ নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তাঁর প্রথম আনুষ্ঠানিক বিদেশ সফরে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে যাবেন৷ এ লক্ষ্যে রবিবার তিনি লন্ডন পৌঁছেছেন৷ এই সফরে কেরি বলার চেয়ে শোনার কাজটাই বেশি করবেন বলে জানা গেছে৷

ছবি: Getty Images

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রথম শাসনামলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তাঁর প্রথম বিদেশ সফরে জাপান ও তার আশেপাশের দেশগুলোতে গিয়েছিলেন৷ আর কেরি যাবেন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে৷ লন্ডন থেকে কেরি যাবেন বার্লিন, প্যারিস, রোম হয়ে আংকারা, কায়রো, রিয়াধ, আবুধাবি ও দোহায়৷

বার্লিনে জার্মানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা ছাড়াও নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা হবে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে৷ সিরিয়া সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মস্কোর সঙ্গে ওয়াশিংটনের মতের যে ভিন্নতা রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করবেন কেরি ও লাভরভ৷

এই বৈঠক সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, ‘‘লাভরভের সঙ্গে এর আগেও কেরি অনেকবার বৈঠক করেছেন৷ তবে সেটা মার্কিন সেনেটর হিসেবে৷ এবারই প্রথম তাঁরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় বসবেন৷ এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক ছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অনেক বিষয়েই কথা হতে পারে৷ এর মধ্যে সিরিয়া, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার বিষয়ও আসতে পারে৷''

এই সফরে কেরি সিরিয়া নিয়ে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেনছবি: Reuters

এছাড়া বার্লিন সফরের সময় জন কেরি তাঁর ছোটবেলার কিছু স্মৃতি রোমন্থন করবেন বলেও জানান নুল্যান্ড৷ কেননা কেরির বাবা রিচার্ড কেরি কাজ করতেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে৷ সেই সুবাদে কেরির ছোটবেলার একটা অংশ কেটেছে বার্লিনে৷

এগারো দিনে নয় দেশের এই সফরে কেরি সিরিয়া নিয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ এর মধ্যে রোমে ‘ফ্রেন্ডস অফ সিরিয়া'র বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন৷

জাতিসংঘের হিসেবে সিরিয়ায় গত দুই বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলনে প্রায় ৭০ হাজার লোক নিহত হয়েছে৷ অস্ত্রের অভাবে বিরোধীরা সিরিয়ার শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে পেরে উঠছে না বলে দিন দিন হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে৷ তাই বিরোধীরা পশ্চিমা বিশ্বের কাছে অস্ত্র সহায়তা চাইলেও প্রেসিডেন্ট ওবামা এখনো পর্যন্ত সেটা দিতে রাজি হননি৷ তবে ইদানিং যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবে পরিবর্তনের একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ কেরির এই সফরের মধ্য দিয়ে সেটা স্পষ্ট হবে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিশ্লেষকরা৷

রোম ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের যে দেশগুলোতে কেরি যাবেন সেখানেও সিরিয়া নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি৷

এছাড়া ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংকট, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

প্রেসিডেন্ট ওবামা গত মাসে তাঁর দেয়া ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' বক্তৃতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছেন৷ এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ইউরোপের নেতা সহ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন জন কেরি৷

এই সফর সম্পর্কে মার্কিন থিংক ট্যাঙ্ক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের ব্রুস রিডেল বলেছেন, সৌদি বাদশা আব্দুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও ইরান বিষয়ে জন কেরির কাছ থেকে নতুন কোনো কথা শুনতে চাইবেন৷ কেরির এই সফরে যে মধ্যপ্রাচ্য সংকটের একটা সমাধান হবে, কিংবা ইরান যে তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসবে, বা প্রেসিডেন্ট আসাদ যে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন, তেমন কোনো উচ্চ প্রত্যাশা নেই৷

জেডএইচ / এসি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ