সাবমেরিন উদ্বোধন করে কিম জানিয়েছেন, নৌবাহিনীকে পরমাণু অস্ত্রে সাজিয়ে তোলার পথে আরো এক ধাপ এগনো হলো।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার নতুন সাবমেরিন উদ্বোধনের খবর প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। গত বুধবার তারা যে সাবমেরিনের উদ্বোধন করেছে, তা পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে এবং এই সাবমেরিন থেকে তা উৎক্ষেপণও করা সম্ভব। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন জানিয়েছেন, এর ফলে দেশের নৌ বাহিনী আরো একটু শক্তিশালী হলো। পরমাণু অস্ত্রে সুসজ্জিত হওয়ার পথে তারা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।
মিসাইল প্রদর্শনের সামরিক মহড়ায় সকন্যা কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশাল সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়। পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কোয়ারে বুধবার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদর্শিত হয়। কিম-আমলের সবচেয়ে বড় সামরিক প্রদর্শনের ঝলক দেখুন ছবিঘরে..
ছবি: KCNA/REUTERS
সামরিক মহড়া
পিপলস আর্মির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সামরিক অনুশীলন সম্প্রসারণ ও আরো জোরদার করার প্রতিজ্ঞা করেছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
বিশাল মহড়া
পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে বিশেষ করে তাদের রেকর্ডসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ একাধিক দেশ। কিন্তু তাদের সমালোচনায় বিন্দুমাত্র পাত্তা দেয়নি কিম জং উনের দেশ। রীতিমতো জাঁকজমক করে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
প্রতিপক্ষকে জবাব?
গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ বিমান মহড়া করে। সেই মহড়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের তরফে পাল্টা জবাব ছিল এই সামরিক মহড়া। বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের প্রদর্শনের মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে তারা।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিমের সঙ্গে সামরিক কর্তারা
এই কুচকাওয়াজে শাসক কিমের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেশের দুই সামরিক কর্তাও। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণই শুধু নয় ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এক বৈঠকে কিম বলেছেন সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই এই কুচকাওয়াজ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ছবি: KCNA/REUTERS
বাহিনীর প্রস্তুতি
দেশের প্রতিটি বাহিনীর কর্তা ও কর্মীরা অংশ নিয়েছেন এই মেগা কুচকাওয়াজে। সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বিশ্বের প্রতিটি দেশের কাছে 'তুলে ধরতে' কিমের এই আয়োজন।
ছবি: KCNA/REUTERS
সাঁজোয়াতেও পিছিয়ে নেই
৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একাধিক সুবিশাল সাঁজোয়া যান এই সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। সেই ছবি ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরায়
ছবি: KCNA/REUTERS
মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র
সামরিক কুচকাওয়াজের সময় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রদর্শিত হয়েছে একাধিকবার।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিম কী চান
কিম তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারে "এক্সপোনেনশিয়াল ইনক্রিস"-এর আহ্বান জানানোর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই সর্ববৃহৎ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছবি: KCNA via REUTERS
বাহিনীর ক্ষমতা
বুধবার রাতের সামরিক কুচকাওয়াজে প্রায় এক ডজন উন্নত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করেছে উত্তর কোরিয়া, যাকে রাষ্ট্র-চালিত মিডিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের "পারমাণবিক হামলার ক্ষমতা" হিসাবে বর্ণনা করেছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
কিমের উল্লাস
সামরিক মহড়ার সময় কিম জং উনের চোখেমুখে ছিল হাসি। মহড়ায় প্রদর্শিত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, তাত্ত্বিকভাবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অনেকগুলোরই যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
উত্তরসূরি?
বুধবার রাতের কুচকাওয়াজের মহড়ায় কিমের সঙ্গে একটি বাচ্চা মেয়েকে দেখা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে সেই হলো কিমের মেয়ে জু আয়ে। তাকে সম্ভবত কিমের চূড়ান্ত উত্তরসূরি হিসাবে তৈরি করা হচ্ছে। কিমের মেয়ের স্পটলাইটে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ছবি: KCNA/REUTERS
11 ছবি1 | 11
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিম জানিযেছএন, দেশের স্থলবাহিনী এবং নৌবাহিনীকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে{ সকলেই যাতে পরমাণু অস্ত্র প্রযোজনে ব্য়বহার করতে পারে, সেই রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে{ বৃহস্পতিবার কিম আরো একবার সেবমেরিনটি দেখতে যান{ তার উপস্থিতিতে সাবমেরিন থেকে ক্রুজ মিসাইল ছোঁড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
সাবমেরিনটি নিয়ে যা জানা গেছে
৮৪১ নম্বরের এই সাবমেরিনটির নামকরণ করা হয়েছে কোরিয়ার ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব কিম কুন ওকের নামে। সমুদ্রের তলার যুদ্ধে এই সাবমেরিন অত্যন্ত আধুনিক বলে কিম জানিয়েছেন। এই সাবমেরিন পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে এবং প্রয়োজনে ছুঁড়তে পারে। দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল, অল্প দূরত্বের ব্যালেস্টিক মিসাইল, এমনকি ক্রুজ মিসাইলও এখান থেকে ছোঁড়া সম্ভব।
আপাতত উত্তর কোরিয়া থেকে জাপানের মধ্যবর্তী এলাকায় এই সাবমেরিনটি নৌবাহিনীর পেট্রোলিংয়ে অংশ নেবে।
নর্থ কোরিয়ার হাতে আরো সাবমেরিন আছে। সেই সাবমেরিন থেকে কিছুদিন আগে একটি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোঁড়া হয়েছিল। তবে নতুন সাবমেরিনটি আগের চেয়েও উন্নত বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন।