1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নদীর প্রাপ্য জল থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়: মোমেন

২ মার্চ ২০২৩

দিল্লিতে এসে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বললেন, কোনো দেশকে তার প্রাপ্য নদীর জল থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।

ছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

জি২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসাবে দিল্লি এসেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীএ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার রাতে তিনি দিল্লির বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানেই মোমেন বলেছেন, ''জলসহ সব প্রাকৃতিক বিষয়ের সুবিধা পাওয়ার অধিকার সকলের আছে। একটা দেশকে তার ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, ঘরোয়া রাজনীতির স্বার্থে অন্য দেশের সংখ্য়াগরিষ্ঠ মানুষের মনোভাবে আঘাত দেয়া উচিত নয়। ''

মোমেনকোনো নাম উচ্চারণ করেননি, কিন্তু কাকে লক্ষ্য করে তিনি কথাগুলো বলেছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে তিস্তার জল চাইছে। তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেয়ার ক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার রাজি। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি করেননি।

আপত্তিটা এসেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছ থেকে। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তিস্তার জল দিলে উত্তরবঙ্গের প্রভূত ক্ষতি হবে। তাই তিনি কোনোভাবেই তিস্তা চুক্তি মানবেন না। তার জায়গায় তিনি অন্য কিছু নদীর জল দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। মমতার আপত্তিতেই বাংলাদেশকে  তিস্তার জল দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আর এগোয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। মোমেন এটাকেই ঘরোয়া রাজনীতির বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।

তিস্তার ধারে তিস্তা বিতর্ক

16:47

This browser does not support the video element.

বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে মোমেনের বলার বিষয় ছিল, 'প্রোমোটিং কালচার অফ পিস ফর শেয়ারড প্রসপরিটি: আ ভিশন ফর সাউথ এশিয়া'। সেখানেই ভাষণের একেবারে শেষে মোমেন নদীর জলবন্টনের বিষয়টি তোলেন। ভাষণের শেষে মোমেন বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াবার জন্য তার কিছু প্রস্তাব আছে। মোট পাঁচটি প্রস্তাব দিয়েছেন মোমেন। তার মধ্যে একটি হলো নদীর জল-সহ প্রাকৃতিক সম্পদের বন্টন নিয়ে।

ভারত-চীন আলোচনা

জি২০ দেশগুলির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে আলাদা একটি বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং।  লাদাখে সংঘর্ষ পরবর্তী সময়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়েছে।  সেই পরিপ্রেক্ষিতে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ।

জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে এবং সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জিএইচ/এসি (মোমেনের ভাষণ, টুইটার)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ