1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নদী ভাঙন রোধ ও টাকা পানিতে ফেলার গল্প

১ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশে নদী ভাঙন একটি নিয়মিত চিত্র৷ বিশেষ করে বর্ষাকালে এর ভয়াবহতার চরম প্রকাশ ঘটে৷ নদী ভাঙন রোধে ব্যবহার করা হয় বালুর বস্তা এবং ব্লক৷ এই প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘পানিতে টাকা ফেলা'৷ কিন্তু কেন?

ছবি: bdnews24.com

রাজবাড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান৷ তিনি খোলামেলা কথা বলেন ডয়চে ভেলের সঙ্গে৷ রাজবাড়িতে পদ্মার ভাঙন রোধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কথা৷ কিন্তু তাতে উঠে আসে ভাঙন রোধে দুর্নীতির কারণ এবং সুযোগের বিষয়৷ তাঁর সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা যায়, বর্ষাকালে নদীর ভাঙন শুরু হলে তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু হয়৷ এছাড়া তীব্র স্রোতের সময় ভাঙন রোধে নদীতে বালুর বস্তা ফেলাই একমাত্র পদ্ধতি বাংলাদেশে৷ যেহেতু তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু হয়, তাই ঠিকাদাররা প্রথমেই বেঁকে বসেন৷ কারণ, বিল পাবেন এক বছর পর৷ পরে অবশ্য অনুরোধে রাজি হয়ে নানা বাহানা শুরু করেন৷ মোটা বালু দেয়ার কথা থাকলেও দেন চিকন বালু৷ মোটা বালুর কথা বললে কাজ বন্ধ করে দেন৷ বলেন, মোটা বালু পেতে অনেক সময় লাগবে৷ তাই তখন চিকন বালু নেয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না৷ কারণ, ভাঙন মোটা বালুর অপেক্ষায় বসে থাকে না!

এরপর আসে সঠিক ওজনের বিষয়৷ দ্রুত বালুর বস্তা সরবরাহ করার অজুহাতে ব্যাগে বালু কম ভরা হয়৷ সেটা ধরলে তারা বলে তাহলে এত দ্রুত বালুর বস্তা সরবরাহ করা যাবে না৷ আবার জিও ব্যাগ না পাওয়ার অজুহাতে যেনতেন প্রকারে বস্তায় বালু ভরা হয়৷ আর বস্তায় বালু ভরার পর তা বিশেষ পদ্ধতিতে সেলাই করা হয়৷ সেলাইয়ের মেশিন এবং অপারেটর আনা হয় ঢাকা থেকে৷ সেলাইয়ের সুবিধার জন্যও নাকি ওজনের চেয়ে কম বালু ভরতে হয়৷

নিয়ম হলো, একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বালুভর্তি বস্তা পরীক্ষা করে সঠিক হলে বস্তায় লাল রঙের চিহ্ন দেবেন৷ সেই বস্তাই নদীতে ফেলা হয়৷ কিন্তু বস্তা পরীক্ষার জন্য সব সময় ম্যাজিস্ট্রেট এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের পাওয় যায় না৷ পাওয়া গেলেও তারা বেশিক্ষণ থাকেন না৷ কিন্তু ভাঙন তো আর তাদের অপেক্ষায় থাকে না৷ তাই ঠিকাদাররা তাদের ইচ্ছেমতো রেজিস্টারে এন্ট্রি করে বালু ফেলেন৷ তাই যা হওয়ার তাই হয়৷

নদীতে বস্তা ফেলার নৌকাও আসে দূর থেকে৷ সেগুলো আবার বিশেষ ধরনের নৌকা৷ বালু তো নৌকায় তোলা হলো৷ কিন্তু সব বস্তা ফেলা হলো কিনা – তা দেখার জন্য নৌকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক থাকার কথা থাকলেও প্রায়ই থাকেন না৷ এছাড়া এক নৌকায় কত বস্তা উঠল তার হিসাবও গুনে গুনে নয়, নৌকার ধারণক্ষমতা অনুযায়ী হিসাব করা হয়৷ কারণ, কাজ তো জরুরি৷ সময় নষ্ট করা যাবে না৷ তাই শিয়ালের কুমিরের ছানা দেখানোর গল্পটি এখানে প্রায়ই খেটে যায়৷

ভাঙন রোধে বালুর বস্তা তৈরি থেকে নদীতে বালু ফেলা পুরো কাজটাই এক প্যাকেজে হয়৷ এ জন্য আলাদা প্রশিক্ষিত শ্রমিক আছে৷ বালু ফেলার জন্য নৌকাও বিশেষ ধরনের৷ আর তা থাকে হাতে গোনা কয়েকজন ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে, পুরোটাই একটা সিন্ডিকেট৷ এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, ঠিকাদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, প্রশাসন সবাই জড়িত৷

একটি জিও ব্যাগে ২৫০ কেজি বালু থাকার কথা৷ তার জন্য সরকারের নির্ধারিত দাম হলো ৪৮০ টাকা ৯ পয়সা৷ এই টাকার মধ্যে বালু ভর্তি বস্তা নদীতে ফেলাও অন্তর্ভূক্ত৷ প্রতিবছর ভাঙনের একেক এলাকায় কয়েক লাখ বালুর বস্তা ফেলা হয়৷

সাধারণত বর্ষা মৌসুম শেষে শুস্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ঠিকাদারকে বিল দেয়ার আগে ওই বস্তা পরীক্ষা করতে যান৷ তখন শতকরা ৩০ ভাগের বেশি বস্তা খুঁজে পাওয়া যায় না৷ কিন্তু কমপক্ষে ৭০ ভাগ বস্তা থাকার কথা৷ তারপরও ঠিকাদাররা বিল পেয়ে যান৷

হাফিজুর রহমান

This browser does not support the audio element.

হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘সত্য কথা হলো, শতভাগ ঠিকমতো কাজ করা সম্ভব নয়৷ নানা সমস্যা আর জটিলতা আছে৷ প্রতিবছর নদী ভাঙন হলেও প্রতিবছরই জরুরি কাজ দেখিয়ে বিনা টেন্ডারে কাজ হয়৷ পরে অফিসিয়াল ফর্মালিটি শেষ করা হয়৷ তবে শুষ্ক মৌশুম হলে আলাদা কথা৷ এ বছর শুষ্ক মৌসুমে ১০ লাখ বালুর বস্তা ফেলার একটি প্রকল্প আছে আমাদের৷ সেখানে আগেই টেন্ডার দিয়ে কাজ হবে৷''

এই প্রতিবেদন তৈরিতে প্রতিবেদক বালু বস্তায় ভরা থেকে নদীতে ফেলার পুরো প্রক্রিয়া দেখা ও বোঝার চেষ্টা করেছে৷ তাতে যেটা স্পষ্ট হয়েছে, তা হলো: কাজের প্রায় পুরোটাই ঠিকাদারদের নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ নজরদারি বলতে তেমন কিছু নেই৷ আর একই প্রক্রিয়ায় বছরের পর বছর কাজ হচ্ছে৷ সরকারি টাকা পানিতে যায়, অথচ ভাঙন রোধে তেমন কাজে আসে না৷

রাজবাড়ির ভাঙন কবলিত এলাকার রফিক আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘‘বস্তার মধ্যে মোটা বালু দেয়ার কথা, কিন্তু ঠিকাদাররা দিচ্ছেন চিকন বালু৷ মোটা বালু দিলে নদীর মধ্যে যখন বস্তা ফেলতো, তখন তা শক্ত মজবুত হতো৷ কিন্তু চিকন বালু দেয়ার কারণে বালু নদীর পানিতে ভেসে যাবে৷''

মনি সরদার অভিযোগ করে বলেন, ‘‘যে পরিমাণ বস্তা ফেলার কথা, তা ফেলা হচ্ছে না৷ নদীর মধ্যে ট্রলারে করে দূর থেকে বস্তা ফেলে তীরের কাছে এসে শেষ করলে পাড় ঠেকতো৷ কিন্তু অল্প কিছু বস্তা ফেলে ফাঁকি দিয়ে কাজ চলছে৷''

নিশু দেওয়ান

This browser does not support the audio element.

এবারে শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় পদ্মার ভাঙন সবেচেয়ে আলোচিত৷ জুলাই থেকে যে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে এ পর্যন্ত নদীগর্ভে গেছে প্রায় ৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার বেশি৷ ভাঙন রোধে এখানে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে৷ এ পর্যন্ত এক লাখ ৬১ হাজার বস্তা ফেলা হয়েছে বলে খবর৷

নড়িয়ার কেদারপুর ইউনিয়নের মুলফতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী নিশু দেওয়ান৷ তাঁর তিনতলা ভবন নদী গর্ভে চলে গেছে৷ তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আমরা জানি, আমাদের এই এলাকায় প্রতিদিন ১০ হাজার বস্তা ফেলার কথা৷ কিন্তু বাস্তবে অনেক কম বস্তা নদীতে ফেলা হচ্ছে৷ ওজনেও কম দেয়া হচ্ছে৷ এছাড়া মোটা বালু দেয়ার কথা থাকলেও চিকন এবং মোটা বালু মিশিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ আমার মনে হয়, এখানে অবহেলা এবং মনিটরিংয়ের অভাব আছে৷''

শরিতপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন কবলিত জেলাগুলোতে কাজ করছেন৷ এখানে যোগদানের আগে তিনি প্রতিবেদনের শুরুতেই উল্লেখ করা রাজবাড়ি জেলায় কর্মরত ছিলেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘এ ধরনের জরুরি কাজে নানা সমস্যা হয়৷ আমরা তা দূর করার চেষ্টা করছি৷ নদীর তীব্র স্রোতে বালুর বস্তা ভেসেও যায়৷ সেখানে তো হিসাবের গড়মিল হতেই পারে৷ তাছাড়া এটা বিশেষ ধরনের কাজ৷ এরজন্য বালু, জিও ব্যাগ, নৌকা সহসাই জোগাড় করা যায় না৷''

তিনি বলেন, ‘‘যাতে ওজন, বালুর মান ও বস্তার সংখ্যা ঠিক থাকে, সেজন্য মনিটরিং বাড়িয়েছি৷ আমাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন এবং ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছেন৷ বালুর বস্তা লাল রং দিয়ে মার্কিং করা নিশ্চিত করেছি, যাতে একই বস্তা একাধিকবার কাউন্ট না হয়৷''

প্রকাশ কৃষ্ণ সরকার

This browser does not support the audio element.

তিনি আরো বলেন, ‘‘তারপরও জরুরি কাজে অনেক ছাড় দিতে হয়৷ ঠিকাদার পাওয়া যায় না৷ এ কারণে আমরা বালুর বস্তা একবারেই ফাইনাল কাউন্ট করছি৷ শুষ্ক মৌসুমে আবার গুনে ঠিকাদারদের বিল দেয়ার পদ্ধতি বাতিল করেছি৷ কারণ, এই পদ্ধতিতে ঠিকাদাররা কাজ করতে চান না৷''

বালুর বস্তা কম ফেলা, চিকন বালু দেয়া ও ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘শুরুতে বালু পাওয়াই যাচ্ছিল না৷ তাই এ রকম হয়ত হয়েছে৷ এখন আর এই সমস্যা নেই৷''

বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী জনপদই ভাঙনের শিকার হয় সবচেয়ে বেশি৷ এই ভাঙন বর্ষাকালে প্রায় নিয়মিত৷ নদীগুলোর গভীরতাও অনেক বেশি৷ অন্তত ১০০ মিটার৷ গত ৫১ বছরে প্রায় ৬৬৩ বর্গ কিলোমিটারের বেশি জমি বিলীন হয়ে গেছে পদ্মার গর্ভে৷ গেল একশ' বছরে ৭০ কিলোমিটার এলাকা ভেঙে গাইবান্ধা শহরের কাছাকাছি এসেছে ব্রহ্মপুত্র নদ৷ স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কয়েকশ' কোটি টাকা ব্যয় করেও ঠেকানো যায়নি নদী ভাঙন৷ আর সেখানেও একই অভিযোগ- অপরিকল্পিত কাজ, দুর্নীতি৷

শেখ রোকন

This browser does not support the audio element.

নদী বিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপল-এর মহাসচিব শেখ রোকন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের কিছু এলাকা আছে, যেখানে বছরের পর বছর নদী ভাঙন হচ্ছে৷ সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর, রামগতি, চিলমারী – এসব এলাকায় বছরের পর বছর নদী ভাঙন হচ্ছে, অথচ এর প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না৷ প্রশ্ন হচ্ছে, কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়? বলা হয়ে থাকে টাকা পানিতে ফেলা হয়৷''

তিনি জানান, ‘‘দুই জায়গায় দুর্নীতি হতে পারে৷ আপনি পানির নীচে কী ফেলছেন, সেটা মাপা কঠিন৷ দ্বিতীয়ত, যখন ভাঙন শুরু হয়, তখন তড়িঘড়ি করে ম্যাটেরিয়েলগুলো বানানো হয়৷ তখন আসলে চেক করার সুযোগ তেমন থাকে না৷ শুধু দাম বাড়িয়ে ধরা হয়৷ মান ও পরিমাণ ঠিক রাখা হয় না৷''

পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম ইমামুল হক ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আপদকালীন নদী ভাঙন প্রতিরোধে বড় বড় বালুর বস্তা ফেলা হয় নদীতে৷ নদীর তলদেশে যেখানে ভাঙনটা হয় সেখানে এই বালুর বস্তা ফেলে প্রতিরোধ তৈরি করা হয়, যাতে ভাঙন আর এগাতে না পারে৷ স্থায়ী প্রতিরোধের জন্য নদী তীর থেকে তলদেশ পর্যন্ত ঢাল তৈরি করে সেই ঢালে কংক্রিটের ব্লক দেয়া হয়৷ নদীর তীর বাধাই করে দেয়া হয়৷''

ম ইমামুল হক

This browser does not support the audio element.

তিনি বলেন, ‘‘বালুর বস্তা নদীর গভীরে চলে যায়৷ পানির নীচে যায়৷ ভেসেও যেতে পারে৷ তাই এই সুযোগে এক হাজার বালুর বস্তা ফেলে পাঁচ হাজারের হিসেব দেয়া অস্বাভাবিক কিছু না৷ এটা ব্লকের ক্ষেত্রেও হতে পারে৷ কারণ, ব্লক ফেলার আগে পানির নীচে বালুর বস্তা ফেলতে হয়৷ সেখানে বস্তার হিসাব করা কঠিন৷ তবে এই দুর্নীতির ভাগীদার একমাত্র ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড নয়৷ আমি যতদূর জানি, কিছু পুলিশ, কিছু সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ - সবাই ভাগ বসায়৷ অনেক সময় দুর্নীতি করতেও বাধ্য করা হয়৷ যে সরাসরি দুর্নীতি করে, সে হয়ত শতকরা ১০ ভাগ পায়৷ কিন্তু দুর্নীতি না করলে তার জীবন চলে যেতে পারে৷''

নদী ভাঙন বাংলাদেশে কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়৷ প্রতিবছরই বড় বড় নদী তীরবর্তী জনপদে ভাঙনে অনেক এলাকা বিলীন হয়৷ নড়িয়ার ভাঙনেরও আগাম সতর্কতা দিয়েছিল ব্র্যাক৷ তারপরও আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে প্রতিবছরই জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলা হয়৷ এর সুযোগে হয় দুর্নীতি৷ ম. ইমামুল হক বলেন, ‘‘প্রতিবছর সরকার এই জরুরি ভাঙন রোধে কোটি কোটি টাকা খরচ করে৷ আর ভঙন শুরু হওয়ার পর বরাদ্দ দিনে দৌড়-ঝাঁপ শুরু হয়৷ যারা বেশি ক্ষমতাশালী, তারা বেশি বরাদ্দ পায়৷ বলা বাহুল্য, এরমধ্যেও লাভের হিসাব আছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ