একমাত্র জীবনই এ ধরনের রূপকথা রচনা করতে পারে৷ ঠিক এক সপ্তাহ আগে ‘গার্ল অন ফায়ার' গেয়ে বিচারক ক্রিস হার্ডউইক-এর কাছ থেকে ‘গোল্ডেন বাজার' পায় অ্যাঞ্জেলিকা৷ যাঁরা সেই পার্ফর্মেন্স এখনও দেখেননি, অথবা যাঁরা অ্যাঞ্জেলিকার জীবনসংগ্রাম সম্পর্কে কিছু জানেন না – তাঁদের জন্যই এই ভাইরাল ভিডিও৷
ভাইরাল তো বটেই – পোস্ট করার প্রথম পাঁচ দিনে দেখেছেন ৬০ লাখ দর্শক৷ কিন্তু তাঁদের দেখার – বা শোনার কারণটা শুধু এই ন'বছরের মেয়েটির আশ্চর্যরকম জোরালো কণ্ঠ নয় – সাধে কি আর সে বলেছে যে, সে ভবিষ্যতে হুইটনি হিউস্টন হবার আশা রাখে৷ ওদিকে মঙ্গলবার ‘গার্ল অন ফায়ার' গাইবার আগে অ্যাঞ্জেলিকা আরেক বিচারক, জার্মানির প্রখ্যাত মডেল হাইডি ক্লুমকে বলে, সে নাকি আগেরবারের চেয়ে একটু বেশি নার্ভাস!
কে এই মেয়ে? কী তার পটভূমি? চার বছর বয়সে ডাবল নিউমোনিয়া হয়ে প্রাণ যেতে বসেছিল তার; শরীরে সেপটিক হয়ে নষ্ট হয়ে যায় কিডনি৷ অ্যাটলান্টার হাসপাতালে হার্ট অ্যান্ড লাং বাইপাস দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়৷ আইসিইউ-তে কাটে বেশ কয়েক সপ্তাহ, হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৮০ দিন৷
শুরু হয় অ্যাঞ্জেলিকাকে কিডনি দিতে পারে, এমন কোনো ‘ডোনার'-এর খোঁজ৷ অ্যাঞ্জেলিকার ক্ষেত্রে বেশিদূর খুঁজতে হয়নি – অ্যাঞ্জেলিকাকে যিনি পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন, দেখা যায় সেই মহিলাই হলেন তার পার্ফেক্ট ম্যাচ৷ হ্যাঁ, আর কেউ নন – অ্যাঞ্জেলিকার মা৷
আর গান? অ্যাঞ্জেলিকা দু'বছর বয়স থেকে বাবা-মায়ের গাড়িতে গান গায়৷ আজ না হয় গোটা অ্যামেরিকা আর আধা বিশ্ব তাকে নিয়ে উত্তাল৷
কথায় বলে: ট্যালেন্ট শো৷ মনে হলো: জীবন যেন তার নিজের ট্যালেন্ট প্রদর্শন করছে, বলছে, আশা ছেড়ো না, দ্যাখোই না কী হয়...!
এসি/ডিজি
কিডনি ভালো রাখার আটটি উপায়
কিডনি রক্ত ফিলটার করে, মূত্রের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, হর্মোন উৎপাদন করে৷ এই সব ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিলে তার অর্থ, কিডনি ঠিকমতো কাজ করছে না৷ কিডনি ভালো রাখার পন্থাগুলো দেখা যাক৷
ছবি: Colourbox
সচল থাকুন! সক্রিয় থাকুন!
খেলাধুলা, হাঁটাচলা, এক্সারসাইজ হল ব্লাড প্রেসার কমিয়ে রাখার এবং ডায়াবেটিস রোখার শ্রেষ্ঠ পন্থা৷ ডায়াবেটিস থেকেই কিডনি’র সমস্যা দেখা দেয়৷ ডায়ালিসিস পেশেন্টদের ৩০ শতাংশ হল ডায়াবেটিসের রোগী৷
ছবি: Colourbox/Vincent Hazat/6PA/MAXPPP
ব্লাড সুগার চেক করান!
ব্লাড সুগারের লেভেল স্টেডি থাকা চাই৷ উচ্চ ব্লাড সুগার কিডনির ভেতরের ব্লাড ভেসেল’গুলোর ক্ষতি করে, ফলে ঠিকমতো রক্ত পরিশোধন হয় না৷ ব্লাড সুগার ঠিক থাকলে, কিডনিও ভালো থাকে৷
ছবি: Colourbox/E. Wodicka
ব্লাড প্রেসারের খেয়াল রাখুন!
উচ্চ রক্তচাপ কিডনি ফেইলিওর-এর দ্বিতীয় প্রধান কারণ৷ দীর্ঘমেয়াদে হাই ব্লাড প্রেসার ব্লাড ভেসেলগুলোর ক্ষতি করতে পারে৷ কিডনির কর্মক্ষমতা অক্ষত রাখার জন্য রক্তচাপ ১৪০/৯০-এর বেশি হলে চলবে না৷ রক্তচাপ কম রাখার জন্য দরকার পড়লে ওষুধ খেতে হবে৷
ছবি: Colourbox
স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন!
কথায় বলে ‘ব্যালেন্সড ডায়েট’, মানে ফলমূল, শাকসবজি, ফাইবার ইত্যাদি খেয়ে ওজন ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ বেশি মোটা হওয়ার সঙ্গে রক্তের উচ্চচাপ এবং ডায়াবেটিস, উভয়েরই যোগ আছে৷ যতো কম সম্ভব লবণ খাওয়া উচিত, কেননা অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ কিডনির ক্ষতি করে৷
ছবি: Colourbox
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাবেন!
শরীর থেকে হানিকর পদার্থ ফিলটার করে বার করার জন্য কিডনির পানি লাগে৷ কাজেই দিনে দেড় থেকে দু’লিটার পানি খাওয়া উচিত৷ ক্রীড়াবিদদের আরো বেশি পানি লাগবে৷ ডায়ালিসিস-এর পেশেন্টদের অনেক কমেই কাজ চলে যায়৷
ছবি: Colourbox
ধূমপান ছাড়ুন!
ব্লাড ভেসেল-এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ধূমপান৷ এছাড়া সাধারণভাবেই ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর৷
ছবি: Colourbox
পেইনকিলার বেশিদিন নেবেন না!
বহুদিন ধরে ব্যথা কমানোর ওষুধ খেলে কিডনির ক্ষতি হয়৷ আগে থেকেই কিডনির ক্ষতি হয়ে থাকলে, বাজারে কেনা যায়, এমন পেইনকিলার নেওয়াটাও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াতে পারে৷ সর্বক্ষেত্রেই ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করে দেখা ভালো৷
ছবি: Colourbox/J. Pavlinec
প্রতি বছর কিডনি চেক করান!
বিশেষ করে যাঁরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন: যাঁদের বয়স ষাটের বেশি; যাঁদের ডায়াবেটিস কিংবা হাই ব্লাড প্রেসার আছে; যাঁদের মেদ বেশি অথবা যাঁদের পরিবারের কারুর কিডনি ফেইলিওর হয়েছে৷