নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ
৩ এপ্রিল ২০১২দিল্লিতে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৭০০ কোটি টাকার ঋণ চুক্তিতে সই করেন আরইসি-এর চেয়ারম্যান রাজীব শর্মা এবং জার্মান সরকারের উন্নয়ন ব্যাঙ্ক কেএফডাব্লিউ-এর কান্ট্রি ডায়রেক্টর ওস্কার ফন মাল্টৎসান৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পি. সাক্সেনা৷
গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণের জাতীয় উদ্যোগে রাজীব গান্ধী গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ যোজনা রূপায়নের শীর্ষ সংস্থা হলো আরইসি৷ এই উদ্যোগ আন্তঃআঞ্চলিক স্বচ্ছ বিদ্যুৎ সরবরাহে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে৷ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ঘাটতি এবং কার্বন নিঃসরণের দ্বৈত সমস্যার মোকাবিলায় নামমাত্র সুদে এই ঋণ সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে৷
পশ্চিমবঙ্গের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তাব্যক্তি শান্তিপদ গন চৌধুরি এই প্রসঙ্গে ডয়চে ভেলেকে বললেন, ২০ হাজার মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুত উৎপাদন হয়৷ কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ৫০০ মেগাওয়াটও পৌঁছায়না৷ শহর পাচ্ছে কিন্তু গ্রাম পাচ্ছেনা৷
সেখানে বিদ্যুৎ যায়নি৷ তাই পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে এই ঋণের টাকা দিয়ে যদি আরইসি লো-কার্বন প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, তাহলে ভালো হয়৷ গ্রামাঞ্চলে কাঠ বা কয়লার ব্যবহার বেশি৷ যেমন, রান্নার কাজে এবং হিমালয় অঞ্চলে ঘর গরম করার কাজে৷ ফলে কার্বন নিঃসরণ প্রচুর৷
ভারত-জার্মান আর্থিক সহযোগিতার অঙ্গ হিসেবে এই ঋণচুক্তি৷ পারস্পরিক দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার প্রতীক৷ জার্মানির আর্থিক সহযোগিতা চালিত হয় কেএফডাব্লিউ উন্নয়ন ব্যাঙ্কের মাধ্যমে৷ ১৯৫০ থেকে কেএফডাব্লিউ ভারতকে ৯০০ কোটি ইউরো দিয়েছে৷ স্বচ্ছ বিদ্যুৎ, পরিবেশ সুরক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে৷ বর্তমানে জার্মানির আর্থিক সাহায্য-পুষ্ট ১৫টি গ্রিন এনার্জি প্রকল্প রূপায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে আছে৷ জার্মান সরকারের লক্ষ্য ভারতের সার্বিক বিকাশ, দারিদ্র মোচন ও মিলেনিয়াম উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ