চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বুধবার সকালে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান জার্মানির চারজন সোশ্যাল মিডিয়া তারকাদের সঙ্গে – এদের মধ্যে তিনজন আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন৷
বিজ্ঞাপন
১৯ বছরের লিজা, সমবয়সি ইওহানা আর ১৮ বছর বয়সি কিলিয়ান স্বীকার করলেন যে, তারা এখনও ঠিকমতো জানেন না, কী করে ভোটপত্রে চিকে দিতে হয়৷ এ ধরনের প্রথমবারের ভোটারদের মন কাড়ার জন্যই আঙ্গেলা ম্যার্কেল ইউটিউবে অবতীর্ণ হলেন ও এই চারজন সফল ভিডিও ব্লগারের প্রশ্নের উত্তর দিলেন৷ আসলে এদের বিশেষত্ব রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, ফ্যাশন, লাইফস্টাইল ও সেক্স সংক্রান্ত পরামর্শ অবধি৷
প্রথমে ব্লগার ‘ইটসকোলস্ল'-র পালা৷ ইনি ম্যার্কেলকে প্রশ্ন করলেন শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা বর্জিত পরিবারবর্গের সন্তান-সন্ততিদের জন্য সমান সুযোগ ও সমলিঙ্গ বিবাহের প্রতি ম্যার্কেলের ‘না' সম্পর্কে৷
Merkel answers YouTubers' questions
02:32
‘ইটসকোলস্ল' অভিযোগ করলেন যে, জার্মানিতে স্কুল পর্যায়ের ইতিহাস পাঠক্রমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে বড় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় – যা শুনে ইওহানা বলেন, ‘খুব সত্যি৷' ম্যার্কেলকে যখন জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি গোটা দেশে স্কুলশিক্ষার মান, পাঠক্রম ও পরীক্ষাপ্রণালী অনুরূপ করার জন্য কিছু করবেন কিনা, তখন ম্যার্কেলের জবাব হলো, শিক্ষা বিষয়টি রাজ্য সরকারের দায়িত্বে৷
শুনে লিজার মনে হয়েছিল যে, ম্যার্কেল ও ঐ তরুণ ব্লগারের মধ্যে বোঝাবুঝিতে কিছু ঘাটতি ছিল৷ দু'জনেই পরস্পরকে কিছুটা অবজ্ঞা করেছেন, বলে লিজার মনে হয়েছে৷ কিন্তু তিন প্রথমবারের ভোটারই এ ব্যাপারে একমত যে, ম্যার্কেল পরিস্থিতি বেশ ভালোভাবে সামলে নিয়েছেন৷
ডিজেল কেলেঙ্কারির ছায়া?
পরের ব্লগার ছিলেন ‘আলেক্সিবেক্সি', যিনি একজন সাংবাদিক, প্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্লগার ও একটি বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির মালিক৷ তিনি তথাকথিত ‘ডিজেলগেট' কেলেঙ্কারি ও ইলেক্ট্রোমোবিলিটি বা ই-মোবিলিটি অর্থাৎ বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে ম্যার্কেলের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন৷ ম্যার্কেল নিজে একজন ডক্টর উপাধিপ্রাপ্ত পদার্থবিদ, কিন্তু বোঝা গেল যে বিষয়টি তাঁর ঠিক পেটোয়া নয় – অন্তত ম্যার্কেল বৈজ্ঞানিক খুঁটিনাটিতে না গিয়ে, শুধু বললেন যে, তিনি আগামী ৪ঠা সেপ্টেম্বর তারিখে বর্ধিত কার্বন ডাইঅক্সাইড এলাকাগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করবেন৷
‘‘আসল সমস্যা হলো, গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করার মতো পর্যাপ্ত স্টেশন নেই'', বললেন কিলিয়ান৷ সরকারের সদস্যরা একবার একটা – বিদ্যুৎ-চালিত – টেসলা গাড়ি নিয়ে বেরোলেই সেটা বুঝতে পারবেন, বলে তাঁর ধারণা৷ কিন্তু ‘আলেক্সিবেক্সি' যে নিখর্চায় গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে শুধু ইওহানারই আপত্তি নেই – স্বয়ং চ্যান্সেলরও বললেন যে, বৈদ্যুতিক গাড়ির চালকদের প্রথাগত গাড়িচালকদের মতোই তাদের জ্বালানির মূল্য দেওয়া উচিত৷
‘‘প্রথমদিকে চ্যান্সেলর যা বলেছেন, তার থেকে এটা অনেক ভালো'', কিলিয়ান বললেন; ‘‘অনেক বেশি তথ্যপূর্ণ৷ আমি ই-মোবিলিটির ব্যাপারে আগ্রহী৷'' আর ‘আলেক্সিবেক্সি' যখন ম্যার্কেলকে প্রশ্ন করলেন, চ্যান্সেলরের প্রিয় ইমোজি-টা কি, তখন অন্যরা চোখ ঘুরিয়ে তাদের বিরক্তি প্রকাশ করলেন৷
বিউটি এক্সপার্ট ও ব্লগার
‘ইশতার ইসিক' তাঁর ব্লগে বিউটি আর ফ্যাশন টিপস দিয়ে থাকেন, কিন্তু তাঁর কাছ থেকেই কিছু চোখা চোখা প্রশ্নের সম্মুখীন হন ম্যার্কেল৷ যাঁরা বাস্তবিক ভোট দিতে যান, তাঁদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে, এ কথা উল্লেখ করে ‘ইশতার ইসিক' ম্যার্কেলের কাছ থেকে জানতে চান যে, ম্যার্কেল এ ব্যাপারে কী করছেন৷ উত্তরে ম্যার্কেল তাঁর পডকাস্ট ও তাঁর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজগুলির কথা বলেন – কিন্তু বোঝা যায় যে, ৬৪ বছর বয়সি ম্যার্কেলকে তথাকথিত নিউ মিডিয়ার ডিজিটাল নেটিভ বলা চলে না৷
জার্মান নির্বাচনের প্রচারণা প্ল্যাকার্ড
আসল? বিদেশিবিদ্বেষী? সেকেলে? জার্মানির নির্বাচনের জন্য তৈরি পোস্টারে এ রকম আরো অনেক শব্দ দেখা যাচ্ছে৷ ভোটারদের দলে ভেড়াতে বড় দলগুলোর পোস্টারে কী দেখা যাচ্ছে দেখে নেই চলুন৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ)
টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকা জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নির্বাচনি পোস্টারে এখন আর কোনো অপরিচিত মুখ নন৷ তাঁর দল সিডিইউ ২০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে গোটা জার্মানিতে ২২,০০ প্ল্যাকার্ড বসাচ্ছে৷ এতে জার্মান চ্যান্সেলরের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে জার্মান পতাকা ব্যবহারে করে দলটির দেশপ্রেম বোঝানো হয়েছে৷ আর স্লোগানে প্রাধান্য পেয়েছে নিরাপত্তা, পরিবার এবং কাজের মতো বিষয়৷
ছবি: picture alliance/dpa/B.Pedersen
সামাজিক গণতন্ত্রী (এসপিডি)
সামাজিক গণতন্ত্রীরা তাদের দীর্ঘদিনের লাল আর বর্গাকারের লোগোকে পোস্টারে প্রাধান্য দিয়েছে৷ তাদের পোস্টারে শিক্ষা, পরিবার, পেনশন, বিনিয়োগ এবং বেতন বৈষম্যের মতো বিষয়াদি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ ২৪ মিলিয়ন ইউরোর নির্বাচনি প্রচারণার পর নির্বাচনের ঠিক আগে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নাকি একটি বোমা ফাটাতে পারে এসপিডি, তবে সেসম্পর্ক কিছু এখনো জানা যায়নি৷
মুক্তগণতন্ত্রী দল (এফডিপি)
মুক্তগণতন্ত্রীদের নির্বাচনি প্রচারণায় খরচ হচ্ছে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার৷ সাদাকালো ফটোশুটের মাধ্যমে পোস্টারে আধুনিক মার্কেটিংয়ের ছাপ ফুটিয়ে তুলেছে সেদেল৷ তাদের পোস্টারে শোভা পাচ্ছেন একজন: ক্রিস্টিয়ান লিন্ডার৷ তবে পোস্টারে ছোট করে লেখা নানা কথা পড়তে ভোটারদের বেশ কষ্টই করতে হবে৷ ‘অস্থিরতাও একটা গুণ’, লেখা হয়েছে পোস্টারে৷
সবুজ দল
সবুজ দল তাদের দলীয় নীতিকেই নির্বাচনের পোস্টারে তুলে ধরছেন৷ সেদলের স্লোগানে জায়গা করে নিয়েছে পরিবেশ, ইন্টিগ্রেশন এবং শান্তির মতো বিষয়৷ তাদের স্লোগান হচ্ছে, ‘‘পরিবেশই সবকিছু নয়, তবে পরিবেশ ছাড়া সবকিছুই অর্থহীন৷’’
জার্মানির জন্য বিকল্প (এএফডি)
তবে আসন্ন নির্বাচনের সবচেয়ে বিতর্কিত প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছে ডানপন্থি এএফডি পার্টি৷ আপাত দৃষ্টিতে এই পোস্টারটি দেখলে মনে হবে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হাসছেন৷ কিন্তু স্লোগান কী বলছে জানেন? ‘‘নতুন জার্মান? তাদের আমরাই তৈরি করবো৷’’ দলটির আরেক পোস্টারে বিকিনি পরা তিন নারীকে দেখা গেছে৷ আর তাতে লেখা: ‘‘বোরকা? আমরা বিকিনি পছন্দ করি৷’’
বামদল
বামদলের পোস্টারে বিভিন্ন ফস্টের বর্ণিল উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে৷ ‘‘[বর্নিল] মানুষ৷ স্পষ্টভাবে ডানপস্থি ঘৃণার বিরোধী’’, বলছে তাদের স্লোগান৷ দলটির নির্বাচনি প্রচারণায় গুরুত্ব পাচ্ছে সাশ্রয়ী ভাড়া, আরো স্বচ্ছ পেনশনের নিশ্চয়তা এবং অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের মতো বিষয়৷
6 ছবি1 | 6
‘ইশতার ইসিক' তারপর জানতে চান, পুরুষ অধ্যুষিত পরিবেশে কাজ করতে তাঁর কেমন লাগে ও তিনি পরবর্তী মন্ত্রীসভায় ৫০ শতাংশ মহিলা সদস্য রাখার প্রস্তাব সমর্থন করবেন কিনা৷
উত্তরে ম্যার্কেল বলেন: ‘‘আমরা খুব সম্ভবত একটি জোট সরকারে থাকব, কাজেই আমি অপরপক্ষের হয়ে কিছু বলতে পারব না৷ কিন্তু আমি নিশ্চিত করব যে, মন্ত্রীসভায় মহিলাদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব থাকবে৷''
সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে ম্যার্কেলের অস্বস্তি ও তিনি নারীবাদ সংক্রান্ত প্রসঙ্গগুলি মোটামুটি এড়িয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনজন প্রথমবারের ভোটারের ধারণা যে, বিভিন্ন প্রশ্নে ম্যার্কেলের প্রতিক্রিয়া বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে, বিশেষ করে ‘হেট স্পিচ' প্রসঙ্গে৷
সবশেষে বিশ্বরাজনীতি
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ‘মিস্টারউইসেনটুগো' এর্দোয়ান ও ট্রাম্পের প্রতি জার্মানির মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ তাঁর ব্লগের ফলোয়ারদের মধ্যে অনেকেই উত্তর কোরিয়া নিয়ে চিন্তিত: এক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগ্নিগর্ভ টুইটগুলো সম্পর্কে চ্যান্সেলরের অভিমত জানতে চান ‘মিস্টারউইসেনটুগো'
‘‘আমি সে ভয় দেখি না'', বলেন ম্যার্কেল৷ ‘‘উত্তেজনা বৃদ্ধি করে,আমরা সে ধরনের যাবতীয় উক্তি ব্যবহার করার বিরোধী৷ এই সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই৷ আমরা সেটা বলবো ও অন্যরা দেখবে যে, তা সত্যি৷ কথাবার্তা সাধারণত উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়৷ আমি তা রোধ করার জন্য সর্বসাধ্য প্রয়োগ করব৷ সেটাই হবে আমাদের অবদান, আমরা যা ইতিমধ্যেই করছি৷''
‘‘(‘মিস্টারউইসেনটুগো') ওনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলানোর চেষ্টা করছে৷ কিন্তু উনি সেদিকে যাচ্ছেন না'' – এই হলো লিজার মন্তব্য৷ ‘‘উনি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিরূপ করতে চান না, সেটা পুরোপুরি বোধগম্য৷''
‘‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদেশ৷ ওনার ব্যক্তিগত অভিমত সম্ভবত আলাদা, কিন্তু উনি চ্যান্সেলর'' – যা ইওহানারও জানা, কাজেই ‘মিস্টারউইসেনটুগো'-র প্রশ্নগুলো তার কাছে সমস্যাকর বলে মনে হয়েছে৷
প্রথম ভোটারদের তিনজনই বার্লিনের ইংরেজি-জার্মান জন এফ কেনেডি স্কুলের সাবেক পড়ুয়া৷ ম্যার্কেলের সাথে ইউটিউব আলাপচারির ফলে তাদের রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ না বদলালেও, ম্যার্কেল যে একটি ‘সলিড পার্ফর্মেন্স' দিয়েছেন, সে বিষয়ে তারা একমত৷ আগামী নির্বাচনে ম্যার্কেল যে জিতবেন, সে ব্যাপারেও তাদের বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই৷ শুধু ইওহানার দুঃখ রয়ে গেল যে, ম্যার্কেলকে একটি প্রশ্ন করা হয়নি: উদ্বাস্তুদের সম্পর্কে তিনি ব্যক্তিগতভাবে কী ভাবেন?
এসি/জেডএইচ
জার্মান নির্বাচন নিয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷
জার্মানির জাতীয় নির্বাচন ২০১৭: কবে, কী হচ্ছে
তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের পাশাপাশি জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০১৭ সালে৷ চলুন জেনে নেই জাতীয় নির্বাচনের টাইমলাইন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
জার্মানির বড় নির্বাচনের বছর
জার্মানিতে চলতি বছর আয়োজন করা হচ্ছে একের পর এক নির্বাচন৷ একদিকে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল চতুর্থবারের মতো চ্যান্সেলর পদে লড়ছেন, অন্যদিকে পপুলিস্ট পার্টি অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) অভিবাসীবিরোধী অবস্থানের কারণে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এটা নিশ্চিত যে, ২০১৭ সালের শেষে জার্মানির রাজনৈতিক অবস্থা এখনকার মতো থাকবে না৷
ছবি: Getty Images
জুন ১৯: দলের মনোনয়ন জমা দেয়ার দিন ছিল
জার্মানির সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল জুন ১৯৷ সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আগ্রহী দলগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আবেদন জানাতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Burgi
জুলাই ৭: কোন কোন দল লড়ছে?
সংসদ নির্বাচনে কোন কোন দল অংশ নিতে পারবে তা ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ যদি কোন দল নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পরবর্তী চারদিনের মধ্যে জার্মানির সাংবিধানিক আদালতে নালিশ করতে পারবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck
জুলাই ১৭: কারা কারা থাকছেন?
চলতি বছরের ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের কোন কোন প্রার্থী কোন কোন এলাকায় লড়বেন, তা চূড়ান্ত করতে হবে৷ জার্মানিতে একসঙ্গে দু’টি ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে৷ প্রথমটি প্রার্থীকে, দ্বিতীয়টি দলকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Berg
জুলাই ২৭: ব্যালটে নাম উঠানোর লড়াই
যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবিধানিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে, তাদের বিষয়ে রায় ঘোষণা করা হবে এই দিনে৷ ২০১৩ সালে এই পন্থা চালু করা হয়েছিল৷ সেবছর এগারোটি দল আদালতের স্মরণাপন্ন হলেও কেউই মামলা জেতেনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
আগস্ট ১৩: আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা
জার্মানিতে নির্বাচন শুরুর ছয় সপ্তাহ আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণার পোস্টার বা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে না৷ চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর তারিখ ১৩ আগস্ট৷ এই দিন থেকে দলগুলো তাদের প্রচারণায় কোনো ঘাটতি রাখবে না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Balk
আগস্ট ২০: কে ভোট দিতে পারবেন?
নির্বাচনের মাসখানেক আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তালিকা চূড়ান্ত হবে৷ ভোটার লিস্ট ঘোষণা করবে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ৷ জার্মানিতে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি যে কোনো জার্মান নাগরিক ভোট দিতে পারবেন৷ সে হিসেবে চলতি বছর ভোটারের সংখ্যা সাড়ে ৬১ মিলিয়ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K.-D. Gabbert
সেপ্টেম্বর ৩: তিন সপ্তাহ বাকি
এই সময়ের মধ্যে সকল ভোটার পোস্টে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে ভোট দেয়ার সার্টিফিকেট পাবেন৷ যারা তখন অবধি ভোটার লিস্টে নিজেদের নাম পাননি, তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন৷ আর যারা পোস্টের মাধ্যমে ভোট দিতে চান, তারা ব্যালট পেপার চাইতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/R. Goldmann
সেপ্টেম্বর ২৪: নির্বাচনের দিন
অবশেষে সেই মহেন্দ্রক্ষণ৷ জার্মানির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৪ সেপ্টেম্বর৷ সেদিন সকাল আটটায় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হবে, চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত৷ ভোটগণনা সেদিনই শেষ হবে এবং নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ রাতে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেপ্টেম্বর ২৫: বিজয়ী এবং বিজিত
সকল প্রতিনিধি এবং দলগত ভোট গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা দেয়া হবে ২৫ সেপ্টেম্বর৷ যদি কোনো প্রার্থী তাঁর নির্বাচনী এলাকায় জিততে ব্যর্থ হন, তা সত্ত্বেও দলগত জয়ের কারণে তিনি সংসদে একটি আসন পেতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
অক্টোবর ২৪: নতুন সাংসদরা সংসদে
নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নতুন সাংসদদের সংসদে মিলিত হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ এ বছর সেই দিনটি হচ্ছে অক্টোবর ২৪৷ সেদিন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে জার্মানির পরবর্তী চ্যান্সেলর নির্বাচিত হবেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নভেম্বর ২৪: সবকিছু কি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয়েছে?
যদি কেউ জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চান, তাহলে তার হাতে সময় থাকে নির্বাচন পরবর্তী দুই মাস৷ ভোটাররাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যে কেউ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার রাখেন এই সময়ের মধ্যে৷