এক লেবানিজ বংশোদ্ভূত সুইস ব্যবসায়ী নিলামে হিটলারের টুপি কিনেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, নব্য নাৎসিদের হাত থেকে এই টুপি বাঁচাতেই এমনটা করেছেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
২০ নভেম্বর জার্মানির মিউনিখ শহরের হারমান হিস্টোরিকায় নিলাম করা হয় নাৎসি পার্টি ও তৎকালীন জার্মান রাষ্ট্রপ্রধান আডল্ফ হিটলারের একটি ‘টপহ্যাট'৷ কেতাদুরস্ত টুপিটি ৫০ হাজার ইউরো (৪৭ লাখ বাংলাদেশি টাকা) দিয়ে কেনেন লেবানিজ বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী আবদাল্লাহ চাটিলা৷
একটি ইমেলে তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘হিটলার যে অসম্ভব বেদনাদায়ক ইতিহাসের অঙ্গ, সেই সময়ের জিনিসপত্র যাতে ভুল হাতে না পৌঁছায়, সেটা অত্যন্ত জরুরি৷'' সুইডারল্যান্ডের জেনেভা শহরে ৪৫ বছর বয়সি এই ব্যবসায়ীর নিজস্ব হিরার ব্যবসা রয়েছে৷
ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর কিছু স্বৈরশাসক
কিছু স্বৈরশাসক সামরিক শক্তি দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকেন, কেউ আবার টিকে থাকেন তথাকথিত গণতন্ত্রের আবরণে৷ আজকের ছবিঘরে থাকছে ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর কয়েকজন স্বৈরশাসকের কথা৷
নিষ্ঠুরতার তালিকায় নিঃসন্দেহে সবার আগে থাকবে জার্মানির আডল্ফ হিটলারের নাম৷ হিটলারের অপরাধের তালিকাও বেশ বড়৷ এক কোটিরও বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ এর মধ্যে ৬০ লাখই ছিলেন ইহুদি৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তার কারণেই শুরু হয়, সে যুদ্ধে প্রাণ হারান সাত কোটি মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/AP
মাও সে তুং
মাও-কে বলা যেতে পারে আধুনিক চীনের রূপকার৷ তার বিরুদ্ধেও রয়েছে বহু মানুষকে হত্যার অভিযোগ৷ ১৯৫৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের অনুসরণে অর্থনৈতিক মডেল দিয়ে উন্নয়নের কথা বলেন৷ হত্যা করা হয় সাড়ে চার কোটি মানুষকে৷ ১০ বছর পর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে আরো প্রায় তিন কোটি মানুষকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে মাও-এর বিরুদ্ধে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/EPA/AFP
জোসেফ স্টালিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা ভ্লাডিমির লেনিনের মতে স্টালিন ছিলেন অনেক কঠোর স্বভাবের মানুষ৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার নেতৃত্বে হিটলারের জার্মানিকে হারাতে ভূমিকা রাখে সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ কিন্তু স্টালিন নিজেও ছিলেন স্বৈরাচারী৷ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদেরই নয় শুধু, তার ৩১ বছরের শাসনামলে হত্যা করা হয় অন্তত ২০ লাখ মানুষকে৷
ছবি: picture-alliance/United Archives/TopFoto
বেনিতো মুসোলিনি
ফ্যাসিজমের প্রণেতা হিসেবে মনে করা হয় ইটালির এই স্বৈরশাসককে৷ ১৯২২ সালে ফ্যাসিস্ট শক্তি কিংডম অব ইটালির ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিতো মুসোলিনি৷ তার থেকেই জার্মান ফ্যাসিস্ট শাসক হিটলার অনুপ্রেরণা পান বলে ধারণা করা হয়৷ ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে ক্ষমতাচ্যূত হন মুসোলিনি৷ ১৯৪৫ সালে স্পেনে পালানোর সময় তাকে হত্যা করা হয়৷
ছবি: AP
ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো
স্পেনের গৃহযুদ্ধে জয়ী হয়ে ১৯৩৯ সালে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো৷ গৃহযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে অন্তত দেড় লাখ বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ যুদ্ধের পরও কমপক্ষে ২০ হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যার অভিযোগও রয়েছে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অক্ষশক্তির অন্যসব শাসকের পতন ঘটলেও ফ্রাঙ্কো ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৭৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
পল পট
কম্বোডিয়ার খেমার রুজ আন্দোলনের নেতা ছিলেন পল পট৷ ক্ষমতায় আরোহণের পরবর্তী ১০ বছরে ৪০ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় তাকে৷ বেশিরভাগের মৃত্যু হয় শ্রম ক্যাম্পে অনাহারে অথবা কারাগারে নির্যাতনের ফলে৷ ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কম্বোডিয়ার বনে পল পট গেরিলাদের উপস্থিতি ছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/T. Chhin Sothy
ইয়াহিয়া খান
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দায়িত্ব পান ইয়াহিয়া খান৷ সে বছরই স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের কাছ থেকে পাকিস্তানের শাসনভার গ্রহণ করেন তিনি৷ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ হত্যা ও দুই লাখ নারীকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানি বাহিনী৷ পরবর্তীতে ‘বাংলাদেশ গণহত্যা’ নামে পরিচিত এই নৃশংস ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় তাকে৷
ছবি: imago/ZUMA/Keystone
ফ্রাঁসোয়া দুভেলিয়ে
১৯৫৭ সালে হাইতির ক্ষমতায় বসেন দুভেলিয়ে৷ হাজার হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীদের হত্যার নির্দেশ দেন তিনি৷ কালো জাদু দিয়ে মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখেন, এমন দাবিও করতেন তিনি৷ হাইতিয়ানদের কাছে ‘পাপা ডক’ নামে খ্যাত ছিলেন এই স্বৈরশাসক৷ ১৯৭১ সালে মৃত্যুর পর তার ১৯ বছর বয়সি ছেলে জ্যঁ ক্লদ দুভেলিয়ে স্বৈরশাসক হন৷
ছবি: picture-alliance / United Archives/TopFoto
অগাস্তো পিনোশে
চিলির সামরিক বাহিনীর প্রধান অগাস্তো পিনোশে দেশটির সমাজতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করেন ১৯৭৩ সালে৷ ক্ষমতায় আসার পর দেশ থেকে বামপন্থা নির্মূলের লক্ষ্যে হাজার হাজার বিরোধী কর্মীকে হত্যা নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে পিনোশের বিরুদ্ধে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Llanquin
সাদ্দাম হোসেন
কুর্দি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের ঘৃণা কারো অজানা ছিল না৷ ১৯৭৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে তিন লাখ কুর্দিকে ইরাকে হত্যা করা হয়৷ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও ছিল সাদ্দামের বিরুদ্ধে৷ মার্কিন বাহিনী ইরাক দখলের পর সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ২০০৬ সালে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়৷
ছবি: Getty Images/INA
ইদি আমিন
আফ্রিকার দেশ উগান্ডার ক্ষমতায় সাত বছর ছিলেন ইদি আমিন৷ তার বিরুদ্ধে আড়াই লাখ মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে৷ জাতিগত নিধন, হত্যা ও নির্যাতনের এক অধ্যায় রচনা করেছিলেন ইদি আমিন৷ ‘উগান্ডার কসাই’ আখ্যাও পেয়েছিলেন তিনি৷ উৎখাত হওয়ার পর সৌদি আরবে পালিয়ে গিয়ে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিলাসী জীবনযাপন করেছেন এই একনায়ক৷
ছবি: Getty Images/Liaison
মেঙ্গিস্তু হাইলে মারিয়াম
ইথিওপিয়ার এই সমাজতান্ত্রিক স্বৈরশাসক বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ নির্যাতন চালান৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৮— এই এক বছরেই পাঁচ লাখ মানুষ হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর গণহত্যার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ তবে মারিয়াম পালিয়ে যান জিম্বাবোয়েতে৷
ছবি: AP
কিম ইল সুং
উত্তর কোরিয়ার এই নেতাই দেশটিতে কিম বংশের শাসন চালু করেন৷ ১৯৫০ সালে উত্তর কোরিয়া দখল করে দক্ষিণ কোরিয়ায় অভিযান চালালে শুরু হয় কোরিয়ান যুদ্ধ৷ এই যুদ্ধে মার্কিন সেনা এবং জাতিসংঘের সেনারাও জড়িয়ে পড়ে৷ এ যুদ্ধে উভয় পক্ষে মারা যান ১০ লাখেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: AP
মুয়াম্মার গাদ্দাফি
৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লিবিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি৷ হাজার হাজার মানুষকে, বিশেষ করে গণতন্ত্রকামীদের নির্বিচারে হত্যা ও নারীদের ধর্ষন, যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার শাসনামলে৷ ২০১১ সালে এক অভ্যুত্থানে তাকে উৎখাত ও হত্যা করা হয়৷ তারপর থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটিতে৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Simon
14 ছবি1 | 14
একই দিনে হিটলারের এই টুপি ছাড়াও নিলামে উঠেছিল নাৎসি আমলের আরো বেশ কয়েকটি জিনিস৷ কিন্তু এই টুপি ছাড়া বাকি কিছুই চাটিলা নিলামে কিনতে পারেননি৷ উল্লেখযোগ্য জিনিসের মধ্যে ছিল হিটলারের আত্মজীবনী ‘মাইন কাম্পফ’ বইটির একটি কপি, যা নাৎসি নেতা হারমান গ্যোরিঙের ব্যক্তিগত সংগ্রহ থেকে নেয়া৷ এই বইটি বিক্রি হয় এক লাখ ত্রিশ হাজার ইউরোয় (এক কোটি বাইশ লাখ বাংলাদেশি টাকা)৷
কেন নাৎসি স্মারক কেনার আগ্রহ?
হিটলারের টুপিটি চাটিলা নিজের ব্যক্তিগত সংগ্রহের জন্য কেনেননি৷ বরং, তা দান করেছেন ইসরায়েলের কেরেন হায়েসোড সংস্থাকে, যাতে করে টুপিটি সযত্নে ইসরায়েলের কোনো হলোকস্ট মিউজিয়ামে রাখা হয়৷ চাটিলা বলেন, ‘‘এমন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কোনো মিউজিয়ামে থাকা উচিত৷ অন্য কারো হাতে যাওয়ার চেয়ে তা ভালো৷’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘বর্তমান সময়ে ইউরোপে ইহুদিবিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদ বাড়ছে৷ আমার যা সামর্থ্য রয়েছে, তা দিয়ে আমি এই প্রবণতার বিরুদ্ধে একটা উদাহরণ তৈরি করতে চাই৷''
ইউরোপিয়ান ইহুদি সংঘের প্রধান ব়্যাবাইমেনাখেম মারগোলিন বলেন যে, চাটিলার এই উদাহরণ আসলেই তাঁর উদার ও সংবেদনশীল মনের পরিচয় দেয়৷ কিন্তু নাৎসি আমলের সাথে সম্পর্কিত কোনো জিনিসের আকাশছোঁয়া মূল্যে নিলাম হওয়ার তিনি বিরোধিতা করেন৷ মারগোলিনের মতে, এই জিনিসগুলির ‘‘গায়ে রক্ত লেগে আছে, যা জার্মানির মাটিতে বিক্রি করা অনৈতিক''৷
ওয়েসলি রান/এসএস
হিটলারের বিরোধিতা করা নায়কেরা
১৯৩৩ সালে জার্মানির ক্ষমতায় আসেন আডল্ফ হিটলার৷ তাঁর কার্যক্রমের বিরোধিতা করে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন, অনেককে দেশও ত্যাগ করতে হয়েছে৷ কেউ কেউ হিটলারকে হত্যার চেষ্টাও করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
হত্যা চেষ্টা
হিটলারকে হত্যা করতে ১৯৪৪ সালের ২০ জুলাই তাঁর ‘ওল্ফস লেয়ার’ সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে বৈঠক করে ফেলায় বোমা ফাটলেও বেঁচে গিয়েছিলেন হিটলার৷ তবে চারজন নিহত হয়েছিলেন৷ হামলার সঙ্গে কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন৷ পরবর্তীতে চাঁদের ফাঁসি দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
নেপথ্যে যিনি ছিলেন
ওল্ফস লেয়ারে হিটলারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন ছিলেন ক্লাউস গ্রাফ শেঙ্ক ফন স্টাফেনব্যার্গ৷ ১৯৪২ সালে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন জার্মানির পক্ষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়৷ তাই জার্মানিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তিনি হিটলার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
দ্য ক্রাইসাউয়ার সার্কেল
জার্মান রাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘ক্রাইসাউয়ার সার্কেল’ গঠন করা হয়েছিল৷ হেলমুট জেমস গ্রাফ ফন মল্টকে এবং পেটার গ্রাফ ইয়র্ক ফন ভার্টেনবুর্গ (ছবি) এই আন্দোলনের পেছনের মূল মানুষ ছিলেন৷ ‘ক্রাইসাউয়ার সার্কেল’-এর কয়েক কর্মীও ১৯৪৪ সালের ২০ জুলাই হিটলার হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ তাঁদেরও পরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ভাই-বোন
হান্স ও সোফি শোল - এই দুই ভাই-বোনের নেতৃত্বে ১৯৪২ সালে মিউনিখের একদল শিক্ষার্থী হিটলার সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন৷ ‘হোয়াইট রোজ’ নামে গড়ে তোলা তাঁদের গ্রুপ নাৎসি আমলের অপরাধের সমালোচনা করে হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করেছিল৷ ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দুই ভাই-বোনকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কাঠমিস্ত্রি গেওর্গ এলসার
১৯৩৯ সালে মিউনিখে এক জায়গায় হিটলারের বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল৷ সেখানে একটি বোমা রেখেছিলেন এলসার৷ তবে যখন বোমাটি ফেটেছিল ততখনে বক্তব্য শেষ করে ঐ জায়গা থেকে চলে গিয়েছিলেন হিটলার৷ তবে বোমা বিস্ফোরণে সাতজন প্রাণ হারিয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন ৬০ জন৷ এলসারকে সেদিনই গ্রেপ্তার করে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ ১৯৪৫ সালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Images
শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ
হিটলার ১৯৩৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর অনেক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তার প্রতিবাদ করেছেন৷ পরবর্তীতে তাঁদের অনেককে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে৷ ছবিতে বার্লিনের ক্যাবারে গোষ্ঠী ‘কাটাকম্বে’র সদস্যদের দেখতে পাচ্ছেন৷ তারাও হিটলার প্রশাসনের বিরোধিতা করেছিলেন৷ ফলে ১৯৩৫ সালে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যার্নার ফিঙ্ককে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance / akg-images/J. Schmidt
তরুণদের প্রতিবাদ
হিটলার আমলে জার্মান তরুণ-তরুণীদের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রের জীবন যাপন রীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন৷ তাঁরা সুয়িং ড্যান্স ও সংগীতের ভক্ত ছিলেন৷ এই তরুণরা ‘ডি সুয়িং ইয়োগেন্ড’ বা সুয়িং ইয়থ নামে একটি গ্রুপ গড়ে তুলেছিলেন৷ তারাও বিভিন্ন সময় নাৎসি আমলের বিরোধিতা করেছেন৷ ফলে তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তার করে তরুণদের জন্য গড়ে তোলা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল৷
ছবি: Getty Images/Hulton/Keystone
রেড অর্কেস্ট্রা গ্রুপ
নাৎসি শাসকদের অপরাধের তালিকা তৈরি করতে ইহুদিদের সহায়তা করত ‘রটে কাপেলে’ গ্রুপ৷ এসব তারা লিফলেট আকারে বিতরণও করতো৷ এ কারণে ১৯৪২ সালে এই গ্রুপের ১২০-এর বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে পঞ্চাশের বেশি ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷