নদীর উপর সেতু৷ শুধু সেতু নয় – প্রদর্শনীস্থল, মিউজিয়ামের অংশ এবং এক ভাস্কর্যও বটে৷ আকার-আয়তন দেখলে অবাস্তব মনে হবে৷ নরওয়ের এক স্থাপত্য এমনই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে৷
বিজ্ঞাপন
এই মুহূর্তে স্থাপত্য জগতে চর্চার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো ‘দ্য টুইস্ট’৷ নরওয়ের ইয়েভনাকার শহরে টুইস্ট গ্যালারিতে একটি প্রদর্শনীস্থলের পাশাপাশি কিস্টেফস মিউজিয়ামের একটি শাখাও রয়েছে৷ তারকা স্থপতি বিয়ার্কে ইঙ্গেলস ভবনটিকে কার্যত অসম্ভবভাবে ৯০ ডিগ্রি হেলিয়ে ডিজাইন করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম, শিল্পের মিউজিয়ামটির মধ্য দিয়ে নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া সম্ভব হলে দারুণ হবে৷ নদী পার হওয়ার সময়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যায়, নদীর উপর দিয়ে দেখা যায়৷ আমরা জগতকে, মানুষের জীবনে, ভবিষ্যতের জন্য এমন কিছু দেবার সুযোগ পাই, যা এখনো তাদের নেই৷ আমার মতে এটাই স্থাপত্যের মূল শক্তি৷’’
সেতুতে এতকিছু!
04:14
ডেনমার্কের এই দক্ষ শিল্পী ঘরে-বাইরে তাঁর স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলেছেন৷ এই কাঠামোর মধ্য দিয়ে যাবার সময় প্রাচীর ধীরে ধীরে মেঝে ও সিলিং হয়ে ওঠে৷ এর বিপরীতটাও ঘটে৷
জনসাধারণের জন্য খুলে দেবার আগেই তাঁর সৃষ্টিকর্ম সাড়া ফেলে দিয়েছিল৷ সবাই এর উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন৷ ডেনমার্কের যুবরাজ ও নরওয়ের রানি সোনিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷
রান্ডসেলভা নদীর উপর ৬০ মিটার দীর্ঘ এই ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে৷ সেটি একাধারে সেতু ও ভাস্কর্য৷ সেইসঙ্গে কিস্টেফস মিউজিয়ামের দুটি অংশের মধ্যেও সংযোগ ঘটাচ্ছে৷ ১৯৯৯ সালে এই ভাস্কর্যকে ঘিরে পার্ক খোলা হয়েছিল৷ আগে সেখানে একটি মিল বা কারখানা ছিল৷ আশেপাশের জঙ্গল থেকে গাছ কেটে চারিদিকে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখা হতো৷ এখন সেখানে টোনি ক্র্যাগ ও অনীশ কাপুরের মতো শিল্পীদের মাস্টারপিস শোভা পাচ্ছে৷ খ্যাতিমান মানুষদের তালিকায় এখন বিয়ার্কে ইঙ্গেলস-এর নামও যোগ হয়েছে৷ তাঁর মতে, ‘‘কোনো ভবন তৈরি করার সময় সেই পরিসরের মধ্যে নিজের স্বপ্নের জগতের কাছাকাছি কিছু সৃষ্টি করার সুযোগ থাকে৷’’
ইউরোপের দৃষ্টিনন্দন ১১টি সেতু
সেতু কেবল চলার পথ নয়, কোনো কোনো সময় সেটি হয়ে উঠে ক্ষমতা আর প্রভাব দেখানোর মাধ্যমও৷ আবার কোনো সময় চমৎকার স্থাপত্যের নিদর্শন হিসাবে বিপুল পর্যটক সমাগমও ঘটায় অনেক সেতু৷ ইউরোপের দৃষ্টিনন্দন কিছু সেতু দেখে নেওয়া যাক ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
পোন্তে ভেকিও সেতু, ফ্লোরেন্স
ইতালির ফ্লোরেন্সের এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ১৩৪৫ সালে৷ প্রথমদিকে মাংসবিক্রেতা আর চামড়ার ব্যবসায়ীরা সেখানে পণ্য বেচাকেনা করত৷ তাঁরা আবর্জনা ফেলে নদী দূষিত করার কারণে ১৫৬৫ সালে এক ডিক্রির মাধ্যমে তাঁদেরকে সেখান থেকে সরানো হয়৷ এরপর সেখানে জায়গা হয় স্বর্ণকারদের৷ বর্তমানে স্বর্ণকারদের সঙ্গে চিত্রশিল্পীদের মিশেলে বিশেষ পরিবেশ তৈরি হয়েছে ওই সড়কে৷
ছবি: picture-alliance/M. Nitzschke
রিয়ালতো সেতু, ভেনিস
ইতালির ভেনিসের সান পোলো ও সান মার্কো ডিস্ট্রিক্টকে সংযুক্ত করেছে গ্র্যান্ড ক্যানেলের উপরের নির্মিত রিয়ালতো সেতু৷ সেতুর অবকাঠামোকে ধরে রাখতে দেয়া আছে ওক গাছের ১২ হাজার খুঁটি৷ সেতুটির চারপাশে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে৷ পণ্যের পসরা সাজিয়ে সেতু এলাকায় অবস্থান করে অনেক জাহাজ৷ ছাদবিশিষ্ট ওই সেতুর দেয়ালের দৃষ্টিনন্দন সব চিত্রকর্ম নজর কাড়ে পর্যটকদের৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
চার্লস সেতু, প্রাগ
ভিয়ালিতাভায় ১৬ একর এলাকা জুড়ে প্রকাণ্ড আর অভিজাত আকৃতি নিয়ে চার্লস সেতু৷ এটি সংযুক্ত করেছে পুরান শহরের সঙ্গে নতুন শহরকে, যেখানে প্রাগ প্রাসাদের অবস্থান৷ সেতুর রেলিংয়ে আছে অনেক সেন্টের প্রতিকৃতি৷ এর মধ্যে বিখ্যাত একটি প্রতিকৃতি নেপুমুকা এলাকার ‘সেন্ট জন’-এর৷ ধারণা করা হয়, এই স্থানেই তাঁকে নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/K. Kozlowski
চ্যাপেল সেতু, লুসার্ন
এক সময় যোদ্ধাদের আসা-যাওয়ার রাস্তা ছিল চ্যাপেল সেতু৷ এখন এটি সুইজারল্যান্ডের লুসার্ন শহরে পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম জায়গা৷ ১৩৩২ সালে নির্মিত এই স্থাপনা ইউরোপের সবচেয়ে পুরাতন কাঠবেষ্টিত সেতু হিসাবে বিবেচিত হয়৷ ১৯৯৩ সালের অগ্নিকাণ্ডে সেতুটির একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে যায়, সিগারেটের আগুনে ওই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছিল বলে মনে করা হয়৷ এরপরের বছর পুনর্নির্মাণের পর সেতুটি খুলে দেয়া হয় পথচারীদের জন্য৷
ছবি: picture-alliance/ Bildagentur/Schöning
ওল্ড ব্রিজ, হাইডেলব্যার্গ
জার্মানির শুদ্ধতম রোমান্টিক শহর হচ্ছে হাইডেলব্যার্গ৷ কেবল পুরাতন শহর আর পুরাতন প্রাসাদ নয়, হাইডেলব্যার্গের বিখ্যাত ওল্ড ব্রিজও তেমন প্রেমময় আবেশ তৈরি করে৷ যুদ্ধ আর বন্যায় আগের কাঠের সেতু নষ্ট হয়ে গেলে ১৮ শতকে এটিকে পাথর দিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/W. Dieterich
মার্চেন্টস ব্রিজ, এয়ারফুর্ট
এটা কি সেতু, না বাড়িঘর? দুটোই বলা যেতে পারে৷ ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বাসভবন নিয়ে গড়া হয়েছে জার্মানির এয়াফুর্টের মার্চেন্টস ব্রিজ৷ প্রথমে সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল কাঠ দিয়ে, পরবর্তীতে ১৩২৫ সালে এটিকে রূপান্তর করা হয় পাথুরে স্থাপনায়৷ সেখানে মসলা ও দামি মেটালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে থাকেন হকাররা৷ সেতুর উপরে বিশেষ পণ্যের দোকান আর গ্যালারি দেখাও পাবেন আপনি৷
ছবি: picture-alliance/J. Woodhouse
ওবারবাউম সেতু, বার্লিন
বার্লিনের সুদৃশ্য ও আড়ম্বরপূর্ণ সেতু ওবারবাউম, যেটি ক্রয়েৎসব্যার্গ ও ফ্রিডরিশহাইন ডিস্ট্রিক্টকে সংযুক্ত করেছে৷ সেতুর আশপাশে রয়েছে অগণিত ক্লাব আর ডিসকো বার৷ এমন পরিবেশের কারণে এটি যেমন পার্টির জন্য জনপ্রিয়, তেমনি সূর্যস্নানকারীদেরও পছন্দের জায়গা৷ ক্ষণে ক্ষণে বার্লিন মেট্রোর আসা-যাওয়া দুর্গের আবহ দেয় স্প্রে নদীকে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/Schoening
পঁ নউফ, প্যারিস
যদিও ‘পঁ নউফ’-এর মানে নতুন সেতু, কিন্তু এটি সিন নদীর উপরে নির্মিত সবচেয়ে পুরাতন সেতু৷ ১৬০৭ সালে যখন সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়, তখন এটি ছিল এক যুগান্তকারী ব্যাপার৷ কারণ এই ধরনের সেতুতে অনেক সময় বসবাসের ভবন থাকলেও ‘পঁ নউফ’ ছিল ভিন্ন৷ এটি পথচারীদের চমৎকার নদী আর শহরের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দেখার সুযোগ করে দেয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Ol. Boitet
টাওয়ার ব্রিজ, লন্ডন
বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত টানাসেতু টাওয়ার ব্রিজ৷ সেতুটির উপরে দু’টি টাওয়ার থাকলেও মূলত এর নামকরণ করা হয়েছে ‘টাওয়ার অফ লন্ডন’ থেকে৷ প্রতিদিন ৪০ হাজার যানবাহন চলে সেতুটির উপর দিয়ে, আর নীচ দিয়ে রয়েছে জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা৷ বড় জাহাজ পার করতে সেতুর মধ্যভাগ যখন উঁচিয়ে তোলা হয়, তখন এটি মোহনীয় দৃশ্যের অবতারণা করে৷
ছবি: picture-alliance/V. Flores
গ্লেনফিনান রেলসেতু, স্কটল্যান্ড
অভিজাত ও প্রেমময় এই রেলসেতু ‘হ্যারি পটার’ সিনেমার মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ বাস্তবে বাষ্পীয় ইঞ্জিনের রেল ‘দ্য জ্যাকোবিট’ এই সেতু দিয়ে পার হলেও সিনেমায় দেখানো হয়েছে হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস৷ ২১ একর জায়গা নিয়ে ৩৯০ মিটার লম্বা গ্লেনফিনান৷
ছবি: picture-alliance/P. Giovannini
থ্রি ব্রিজেস, এডিনবরা
থ্রি ব্রিজেসের বিস্তৃতি ‘ফার্থ অফ ফোর্থে’, যেটি ফাইফ এলাকাকে এডিনবরা-র সঙ্গে সংযুক্ত করেছে৷ লাল রঙের ‘ফোর্থ রেল ব্রিজ’ পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ একক খিলানের সেতু৷ ১৮৯০ সালে নির্মিত এই সেতু এখন ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ৷ এই সেতুর ধারাবাহিকতায় ১৯৬৪ সালে চার লেনের ‘ফোর্থ রোড ব্রিজ’ নির্মাণ করা হয়৷ আর ২০১৭ সালে নির্মিত ‘কুইন্সফেরি ক্রসিং’ উত্তরাধুনিক প্রকৌশল শিল্পের অন্যতম নির্দেশকে পরিণত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/A. Milligan
11 ছবি1 | 11
বিয়ার্কে এঙ্গেলস-এর ডিজাইন অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছে৷ যেমন নিউ ইয়র্ক শহরে এক আকাশচুম্বী অট্টালিকা৷ তিনি কার্যকরী ও টেকসই নক্সার পাশাপাশি উদ্ভাবনী ও কৌতুকের ছোঁয়াও রাখতে চেয়েছিলেন৷ ডেনমার্কের লেগো মিউজামেও এই ভাবনার ছাপ পাওয়া যায়৷
এঙ্গেলস-এর কোম্পানি বিয়ার্কে ইঙ্গেলস গ্রুপ বা ‘বিগ’-এ ৫০০ কর্মী সক্রিয় রয়েছেন৷ বর্তমানে এই কোম্পানি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের দ্বিতীয় টাওয়ারের পরিকল্পনা করছে৷ ইঙ্গেলস বলেন, ‘‘বলতে পারেন স্থপতির অর্থনৈতিক ক্ষমতা থাকে না, কারণ স্থপতিরা তো আর চেক লেখেন না! রাজনৈতিক ক্ষমতাও থাকে না, কারণ আমরা তো নিয়মকানুন তৈরি করি না! কিন্তু আমাদের আইডিয়ার ক্ষমতা রয়েছে৷ যখনই আমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু ডিজাইন করি, তখনই আমরা ভবিষ্যতের জন্য কোনো উপহার দেবার সুযোগ পাই৷’’
ভবিষ্যতে টুইস্ট গ্যালারিতে সাময়িক প্রদর্শনীও অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রয়াত ব্রিটিশ কনসেপ্চুয়াল আর্টিস্ট হাওয়ার্ড হজকিন-কে উৎসর্গ করে প্রথম প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হচ্ছে৷ শৈল্পিক ডিজাইন ও তার অন্তর্নিহিত শিল্পকর্মের মধ্যে চলমান সংলাপের জন্য আদর্শ এই উদ্যোগ৷ বিয়ার্কে ইঙ্গেলস বলেন, ‘‘স্থপতি হিসেবে ভবন তৈরি করে উদ্বোধনের দিনে তার চাবি মিউজিয়ামের প্রধানের হাতে তুলে দিতে হয়, এ ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছে৷ তারপর আপনি অতিথি হয়ে ওঠেন, তাই তো? তবে আমার মতে, কোনো প্রকল্প শেষ হলে তার প্রকৃত জীবন শুরু হয়৷’’
প্রদর্শনীস্থল, সেতু ও ভাস্কর্য হিসেবে র জীবন সবে শুরু হয়েছে৷ এখনই সেটি অসাধারণ সব কাহিনি শোনাতে শুরু করেছে৷
ও কে ওসমান/এসবি
জার্মানির কিছু আকর্ষণীয় সেতু
আকর্ষণীয়, মজার, ঐতিহাসিক – জার্মানিতে রয়েছে এমনই কিছু ব্রিজ৷ ছবিঘরে থাকছে সে সবের কথা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে প্রাচীন
জার্মানির সবচেয়ে প্রাচীন এই সেতুটি ট্রিয়ার শহরে মোজেল নদীর উপর অবস্থিত৷ শুরুতে এটা কাঠের তৈরি ছিল৷ এরপর রোমানরা সেটাতে পাথর আর শিলার ব্যবহার করে৷ ছবিতে যে পাথরের পিলারগুলো দেখা যাচ্ছে সেগুলো প্রায় ১,৯০০ বছর আগের! আর উপরের অংশটায় প্রথম সংস্কার করা হয় আটশো বছর আগে আর দ্বিতীয়বার প্রায় দুশো বছর আগে৷
ছবি: imago/ARCO IMAGES
সেতুর নীচে বিস্ফোরক!
এই ব্রিজটি জার্মানির মূল ভূখণ্ডকে বাল্টিক সাগরে অবস্থিত ফেমান দ্বীপের সঙ্গে যুক্ত করেছে৷ ১৯৬৩ সালে শীতল যুদ্ধের সময় সেতুটি নির্মাণ করা হয়৷ সে সময় সম্ভাব্য আক্রমণের কথা মাথায় রেখে ব্রিজের নীচে বিস্ফোরক জমা করে রাখা হয়েছিল৷
ছবি: Fotolia/Pascal Walz
ব্রিজের সড়কের দুপাশে দোকান
এয়ারফুর্ট-এর পায়ে হাঁটা এই সেতুর দুপাশে রয়েছে গ্যালারি আর বিভিন্ন শিল্পকর্ম বিক্রির দোকান৷ প্রতিটি দোকানের অর্ধেক অংশ কাঠের তৈরি৷ প্রায় আটশো বছর আগে যখন ব্রিজটি তৈরি হয় তখন সেখানে মুদি দোকানিরা পণ্য বিক্রি করতেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেতুর সড়কে ছাদ!
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ১২৭২ সালে তৈরি এই কাঠের ব্রিজটিতে ছাদ রয়েছে৷ সে সময় নির্মিত অনেক কাঠের সেতুতেই নিরাপত্তাজনিত কারণে এমনটা করা হতো৷ মজার ব্যাপার হলো এই সেতু পাড়ি দিয়ে আপনি জার্মানি থেকে সুইজারল্যান্ডে চলে যেতে পারবেন!
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের সবচেয়ে বড়
স্যাক্সনি ও বাভারিয়া রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত এই ব্রিজটি ইট দিয়ে তৈরি৷ এখনো পর্যন্ত ইটের তৈরি এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেতু৷ ১৮৫১ সালে নির্মিত হওয়ার সময় ব্রিজটি বিশ্বের সবচেয়ে লম্বাও ছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রকৃতির মাঝে সেতু
ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এই ব্রিজের অবস্থানটা কোথায়৷ ১৮৫১ সালে তৈরি হওয়া এই সেতুর কারণে পর্যটকরা এমন সব পাহাড়ি এলাকায় যেতে পারছেন না যেটা এমনিতে সম্ভব হত না৷
ছবি: Fotolia/Seewald
উপরে ট্রেন, নীচে গাড়ি
১৯৬১ সালে যখন বার্লিন প্রাচীর তৈরি হয়েছিল তখন এই ঐতিহাসিক ওবারবাউম ব্রিজটি শহরকে পূর্ব আর পশ্চিমে বিভক্ত করা সীমান্তের একটা অংশে পরিণত হয়েছিল৷ এই ব্রিজে দুটো রাস্তা রয়েছে৷ উপর দিয়ে চলে ট্রেন আর নীচ দিয়ে গাড়ি৷
ছবি: Fotolia/Marco2811
পানি ব্রিজ!
ফেসবুকের কল্যাণে অনেকের কাছেই পরিচিত এই ছবিটি৷ এটি মাগডেবুর্গ ওয়াটার ব্রিজ৷ পানির ওপর স্থাপিত এই সেতুর রাস্তাও পানির! অর্থাৎ এই সেতু দিয়ে চলে জাহাজ৷ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে নির্মিত এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০৩ সালে৷ মূলত পণ্যবাহী জাহাজের রুট সংক্ষিপ্ত করতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে৷
ছবি: AP
সেতু এক, দেশ তিন!
নাম ‘থ্রি কান্ট্রিস ব্রিজ’৷ বুঝতেই পারছেন তিন দেশে এই সেতুর অবস্থান৷ জার্মানি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড৷ ২৪৮ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজটি শুধু পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেল চালিয়ে পার হওয়া যায়৷ কোনো ধরনের গাড়ির প্রবেশ নেই সেখানে৷