1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রাইভিক দণ্ডিত

২৪ আগস্ট ২০১২

অবশেষে জানা গেল, নরওয়ের আন্ডার্স বেরিং ব্রাইভিক মানসিকভাবে সুস্থ৷ অসলোর একটি আদালত আজ এই রায় দিয়েছে৷ রায়ে তাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ নরওয়েতে এটাই সর্বোচ্চ সাজা৷

ছবি: Reuters

২১ বছর পর আদালত যদি মনে করে আসামী তখনো সমাজের জন্য হুমকিস্বরূপ, তবে তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটক করে রাখা যেতে পারে৷ নরওয়েতে মৃত্যুদণ্ডের কোনো বিধান নেই৷

ব্রাইভিক এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী৷ তবে তাঁকে মানসিকভাবে সুস্থ বলে রায় দেয়ায় ব্রাইভিক খুশি বলে জানা গেছে৷ কেননা এর ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে সে এই অপরাধ করেছে তার একটা গুরুত্ব থাকবে বলে মনে করছেন ব্রাইভিক৷

গত বছর জুলাই মাসের ২২ তারিখে বোমা হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি করে ৭৭ জনকে খুন করার প্রায় ১৩ মাস পর বিচার হলো ব্রাইভিকের৷

নরওয়ের রাজধানী অসলোর সরকারি ভবনের সামনে বোমা হামলায় আটজন নিহত হন৷ তার কিছুক্ষণ পরই অসলোর কাছে উটোয়া দ্বীপে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ৬৯ জনকে হত্যার ঘটনা ঘটে৷ নিহতদের বেশিরভাই তরুণ-তরুণী৷ তারা সবাই একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য ঐ দ্বীপে জড়ো হয়েছিলেন৷

এখানেই ঘটেছিল সেই ভয়াবহ হামলা...ছবি: Reuters

নরওয়ে সহ সারা বিশ্বকে নাড়া দেয়া ঐ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ব্রাইভিককে৷ এরপর বিচার চলাকালীন ব্রাইভিক নিজেও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন৷

আদালতকে ব্রাইভিক বলেন, নরওয়েকে ‘মুসলিম দখলদারিত্ব’এর হাত থেকে রক্ষা করতে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন৷ এছাড়া নরওয়েতে যারা বহুসংস্কৃতির কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধেই তার এই অবস্থান বলে জানান তিনি৷

বিচারের রায় দেয়াকে কেন্দ্র করে অসলোর আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল৷

ব্রাইভিক দোষ স্বীকার করার পর তার বাকি জীবনটা যে কারাগারেই কাটবে তা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ ছিল না৷ তবে কারাগারে তিনি কী স্বাভাবিক কয়েদিদের সঙ্গে থাকবেন, নাকি মানসিকভাবে অসুস্থদের সঙ্গে, সেটা নিয়ে বিতর্ক ছিল৷ তবে পাঁচজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের সবাই ব্রাইভিককে সুস্থ বলে রায় দেন৷

ঘটনার সময় নরওয়ের বিচারমন্ত্রী ছিলেন ক্নুট স্টোরবেরগেট৷ এই রায়কে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন৷ একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নরওয়ের অধিকাংশ মানুষ৷ যেমন বিয়োর্ন কাসপার লাউগ৷ তিনি বলেন, এর ফলে নরওয়ের বিচারব্যবস্থার উপর সবার আস্থা বাড়বে৷

উল্লেখ্য, এই ঘটনাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নরওয়েতে সংঘটিত সবচেয়ে বড় গণহত্যা৷

জেডএইচ / ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ