একদিন রাতে আচমকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ দশ মাস আগের সেই পদক্ষেপ কি ঠিক ছিল? হঠকারি নীতি এবং সরকারি যন্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্নে চরম অস্বস্তিতে এখন মোদী সরকার৷
বিজ্ঞাপন
শেষ পর্যন্ত তথ্যটা বেরিয়ে এলো৷ রিজার্ভ ব্যাংকের ২৪৪ পৃষ্ঠার বার্ষিক রিপোর্টে কোণঠাসা হলো ভারত সরকার৷ নোট বাতিল করে আদৌ কোনো লাভ হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে ঐ রিপোর্ট৷ বলা হয়েছে, ১৫ দশমিক ৪৪ লক্ষ কোটি টাকার বাতিল নোটের মধ্যে মাত্র ১৬ হাজার কোটি টাকার হদিশ নেই৷ বাকি সব টাকা ফিরে গেছে সরকারের হাতে৷ অর্থাৎ কালোটাকা, সাদাটাকা প্রায় সবই জমা পড়েছে! পুরোনো নোট বাতিলের সময় বাজারে ছিল ১৫ দশমিক ৪৪ লক্ষ কোটি টাকা৷ এর মধ্যে ফিরে এসেছে ১৫ দশমিক ২৮ লক্ষ কোটি৷ অর্থাৎ, বাতিল করে দেওয়া টাকার ৯৯ শতাংশই ফিরে এসেছে ব্যাংকে! বাইরে পড়ে আছে মাত্র ১ শতাংশ! বলাই বাহুল্য, বিরোধীদের হাতে আরেকটি মহাস্ত্র উঠে এলো৷ এরপরেও অবশ্য ভুল স্বীকার করতে নারাজ সরকার৷
গতবছর নভেম্বরে দেশ জুড়ে তোলপাড় তুলে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল করেছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ যার জেরে বিস্তর হেনস্থা হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে৷ নিজের টাকা তোলার জন্য ব্যাংক ও এটিএম-এর লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০৪ ছাড়িয়েছে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও রীতিমতো ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, কালো টাকা ধরার অভিযান সঠিক৷ দুশ্চিন্তা নাকি শুধু কালোটাকার কারবারিদের৷ যত দিন গেছে, তত সংশয় বেড়েছে, কাজের কাজ হয়নি৷ অবশেষে বার্ষিক রিপোর্টে তথ্য প্রকাশ করেছে আরবিআই৷
নোট বাতিলের ১০০ দিন পর কী ভাবছে মানুষ?
৮ নভেম্বর আচমকা প্রধানমন্ত্রী মোদী পুরোনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেন৷ এরপর থেকে দেশজুড়ে রাজনীতি উত্তাল৷ বিধানসভা থেকে সংসদ ভবন – সর্বত্র আছড়ে পড়েছে বিক্ষোভের ঢেউ৷ কিন্তু এ ঘটনার চার মাস পর এখন পরিস্থিতি কেমন?
ছবি: R. Chakraborty
অভিজিৎ বসাক, ব্যবসায়ী
দিল্লি শহরে ঘুরে ঘুরে ঢাকাই জামদানি ও মসলিন শাড়ি বিক্রি করেন অভিজিৎ৷ ভারতের নোট বাতিলের জেরে গত কয়েক মাস ধরে চরম অসুবিধায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁকে৷ অভিজিতের কথায়, ‘‘ঢাকা থেকে শাড়ি কিনে ভারতের শহরে শহরে ঘুরে শাড়ি বিক্রি করি, প্রতি বছরই৷ এতদিন ভালোই বিক্রি হতো৷ কিন্তু এখন শাড়ি বিক্রির হাল এমন যে, দু-বেলা খাওয়ার পয়সা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে৷’’
ছবি: R. Chakraborty
শতবন সিং, অটোচালক
ইন্ডিয়া গেট-সংলগ্ন কেন্দ্রীয় সচিবালয় মেট্রো স্টেশন চত্বরে রোজই দেখা মেলে শতবন সিংয়ের৷ পাঞ্জাবের বাসিন্দা, তবে কয়েক দশক ধরে দিল্লিতেই থাকেন৷ সরকারের নোট বাতিলের ভালো-মন্দ নিয়ে তিনি বললেন, ‘‘অতশত বুঝি না৷ তবে আমাদের মতো মানুষদের প্রথমদিকে কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল৷ এখন অবশ্য অসুবিধা হচ্ছে না৷ কারণ এখন ডিজিটাল মানি ট্রান্সফার করে বহু যাত্রী ভাড়া মেটাচ্ছেন৷ তাই স্বাভাবিক ছন্দেই চলছে জীবন৷’’
ছবি: R. Chakraborty
রাহুল সরকার, সাংবাদিকতার ছাত্র
রাহুলের বাড়ি কলকাতায়৷ তিনি দিল্লিতে বেড়াতে এসেছেন৷ বিমুদ্রাকরণ সম্পর্কে তিনি বললেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নিজে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন না৷ এর জন্য রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রয়েছে৷ আসলে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে৷ বলা হচ্ছে, ‘সব কালো টাকা উদ্ধার হবে৷’ কিন্তু কালো টাকার দেখা নেই৷ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এর কোনো ভালো দিক খুঁজে পাননি৷ এটা নরেন্দ্র মোদীর অপরিকল্পিত ও হঠকারি সিদ্ধান্ত৷’’
ছবি: R. Chakraborty
সুরেন্দ্র মিনা, ডাক্তারির ছাত্র
রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা সুরেন্দ্র চীনের একটি মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন৷ এখন দক্ষিণ দিল্লির একটি কোচিং সেন্টার থেকে ডাক্তারির পরবর্তী পাঠ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি৷ তাঁর মতে, ‘‘নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আসলে রাজনৈতিক চমক ছাড়া আর কিছুই নয়৷ প্রায় সাড়ে তিন মাস নোটের সমস্যায় জেরবার হয়েছে দেশের মানুষ৷ এখন সমস্যা কিছুটা মিটলেও যে উদ্দেশ্যে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা, তা কতটা সফল কারও জানা নেই৷’’
ছবি: R. Chakraborty
মৌসুমী মুখার্জি, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা
মৌসুমী মুখার্জি জানান, ‘‘নোট বাতিলের ফলে মারাত্মক কোনো অসুবিধার পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি আমাকে ও আমার পরিবারকে৷ ব্যবসায় মন্দা, বাজারে কম কেনাকাটার একটা প্রভাব পড়লেও সমাজের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষদের কেউ না খেতে পেয়ে মারা যাওয়ার মতো অবস্থায় পৌঁছায়নি৷ তাই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিমুদ্রাকরণের এই সিদ্ধান্তকে একশ শতাংশ সমর্থন জানাতে আপত্তি নেই আমার৷’’
ছবি: R. Chakraborty
সুচন্দ্রা রায়, সাংবাদিকতার ছাত্রী
সুচন্দ্রা সরকারের নোট বাতিলের ভালো-মন্দের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চান৷ ওঁর কথায়, ‘‘বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ নোটের জোগানের ব্যবস্থা না করে, কোনোরকম আগাম প্রস্তুতি না নিয়ে আচমকা দেশের ১২৫ কোটি মানুষকে বিপদের মুখে ফেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী৷ এতে করে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সমাজের গরিব, খেটে খাওয়া মানুষ৷’’
ছবি: R. Chakraborty
মলয় ঘড়া, এমব্রয়ডারি কারিগর
এক কাশ্মিরী মালিকের অধীনে দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন মলয়৷ শালের ওপর নকশা করা ওঁর কাজ৷ দীর্ঘ আট বছর ধরে দিল্লিতে৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন তিনি৷ জানিয়েছেন, ‘‘ধনীদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি৷ কিন্তু আমাদের মতো ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ – এমন অবস্থা যাঁদের, সেইসব মানুষের পেটে টান পড়েছে৷ বহু শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন৷ আর পুরোনো নোট বদল করার কাজে বেআইনি ভাবে লাগানো হয়েছে আমাদের মতো শ্রমিকদের অনেককেই৷’’
ছবি: R. Chakraborty
সৌভিক হালদার, স্কুল শিক্ষক
সৌভিক সবে চাকরি পেয়েছেন৷ তিনি জানান, ‘‘ভারতের মতো গণতান্ত্রিক একটা দেশে সাধারণ মানুষের ওপর জোর করে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া মোটেই মেনে নেওয়া যায় না৷ তা-ও আবার নোট বাতিলের মতো বিষয়৷ কোটি কোটি মানুষ অসহায় ভাবে দিনযাপন করছেন এর ফলে৷ দেশের উন্নতির হার কমেছে৷ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হয়েছে৷ চার মাস পর এখনও বেশিরভার ব্যাংকের এটিএএম কার্যত ‘ক্যাশ-লেস’ হয়ে রয়েছে৷ এর প্রতিবাদ হওয়া উচিত৷’’
ছবি: R. Chakraborty
8 ছবি1 | 8
প্রশ্ন উঠছে, তা হলে দেশবাসীকে, দেশের অর্থনীতিকে এতটা যন্ত্রণা কেন দিলেন মোদী? প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, কংগ্রেস নেতা চিদম্বরমের প্রশ্ন, ‘‘নোট বাতিল কি তবে কালো টাকাকে সাদা করারই উপায় ছিল?'' বিরোধীদের তৎপরতা দেখে যুক্তি সাজাচ্ছে সরকারও৷ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি দাবি করছেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত দেশের অর্থনীতিতে স্বচ্ছতা এনেছে৷ বলছেন, ‘‘নোট বাতিলের সব লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে৷ সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ হলো শিকড়-সহ কালো টাকা উপড়ে বের করে আনা৷''
তাঁর যুক্তি, ব্যাংকে টাকা জমা পড়া মানেই সব সাদা হয়ে যাওয়া নয়৷ সন্দেহভাজনদের তালিকা তৈরি হয়েছে৷ বিপুল টাকার মালিকদের ওপর নজর রেখে চলেছে আয়কর দপ্তর৷ বিষয়টিকে প্রচারে আনতে এবং নোট বাতিলের ভালো দিকগুলি তুলে ধরতে খুব শিগগিরই সাংবাদিক সম্মেলন ডাকতে চলেছেন তিনি৷
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, ‘‘পেনাল্টি স্কিম নোট বাতিলের আগে হয়েছিল৷ সেখানে ৬৫ হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছিল৷ তার মধ্যে ২৯ হাজার কোটি কর পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্তু এক্ষেত্রে কর হিসেবে কত টাকা বাড়তি পাওয়া গেল তার হিসেব পাওয়া যায়নি৷''
অভিরূপ সরকার
আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, নোট বাতিলের পর জমা পড়া ২ লক্ষ ৮৯ হাজার কোটি টাকা এখন তাঁদের নজরে রয়েছে৷ ৯ লক্ষ ৭২ হাজার মানুষ মোট ১৩ লক্ষ ৩৩ হাজার অ্যাকাউন্টে ঐ টাকা জমা করেছেন৷ কিন্তু এই আমানতগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে কতদিন সময় লাগবে তা জানানো হয়নি৷ বলা হয়েছে, আয়কর দেন না, এমন ব্যক্তিদের ১ কোটি টাকার বেশি দামের ১৪ হাজার সম্পত্তিও এখন তাঁদের নজরে রয়েছে৷ অর্থাৎ ব্যাংকে টাকা জমা করে দিয়ে কালো টাকার মালিকেরা নিষ্কৃতি পেয়ে গেছেন, এমন নয়৷
নোট বাতিলের সময় বলা হয়েছিল, বাজারে যে টাকা ছিল, তার প্রায় ২০ শতাংশই কালো টাকা৷
অর্থনীতিবিদ সুমন মুখোপাধ্যায় অবশ্য নোট বাতিল সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করছেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘কেন এই নোট বাতিল, তা ক'জন জানেন! কালো টাকা নোটে থাকে না৷ কালো টাকা থাকে সোনা, স্থাবর সম্পত্তি এবং স্টক মার্কেটে৷ নোট বাতিলের পর এ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে৷ এ দেশে কালো টাকার হদিশ কবে ছিল? মাত্র তিন বছরে হদিশ কেন আসবে, গত ৭০ বছর ধরে কী হচ্ছিল?''
সুমন মুখোপাধ্যায়
রিজার্ভ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত মার্চ পর্যন্ত ৮ দশমিক ৯ কোটি সংখ্যক ১০০০ টাকা (৮,৯০০ কোটি টাকা মূল্যের) ব্যাংকে ফেরেনি৷ মার্চের শেষে বাজারে চালু ছিল মোট ৬৩২.৬ কোটি সংখ্যক ১০০০ টাকার নোট (৬,৩২,৬০০ কোটি টাকা মূল্যের)৷ নভেম্বরে নোট বাতিলের পর ছাড়া হয় নতুন ২০০০ টাকার নোট৷ মার্চের শেষে বাজারে চালু মোট অর্থের অর্ধেকেরও কিছু বেশি ছিল এই ২০০০ টাকার নোটে৷ নোট ছাপার খরচের তথ্যও দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাংক৷ ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে অঙ্কটা ৭,৯৬৫ কোটি৷ আগের অর্থবর্ষের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি৷ তার মানে ফেরত না আসা টাকায় যেটুকু লাভ, তারও অনেকটা চলে গেছে নোট ছাপতে৷
বছরখানেক আগে মমতা ব্যানার্জি যা বলেছিলেন, কেন্দ্রের নোট বাতিল নিয়ে এখন তা-ই শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস, সিপিএম-সহ অন্য বিরোধীদের গলায়৷ বুধবার রিজার্ভ ব্যাংকের বার্ষিক রিপোর্ট পেশের পর নরেন্দ্র মোদীর নোট বাতিল নিয়ে বিরোধীরা বলছেন, ‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি'৷ অন্যদিকে কংগ্রেস বলছে, দায় মেনে নিন প্রধানমন্ত্রী নিজে৷ আরবিআই-এর তথ্য সামনে আসার পর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নোট বাতিলকে ‘ফ্লপ শো' আখ্যা দিয়েছেন তিনি৷
ডেরেক ও'ব্রায়েনের মতে, ‘‘অতীতে দোর্দণ্ডপ্রতাপ ইন্দিরা গান্ধীর সরকার পড়ে গিয়েছিল ‘নসবন্দীর' জন্য৷ এবার মোদী সরকারের পতনের কারণ হবে নোটবন্দী৷ বিরোধী আসনে বসবে বিজেপি৷''
নোট বাতিলের পর ভারতের নাজেহাল অবস্থা
ভারতে ৫০০ আর ১,০০০ টাকার নোট বাতিল হয়েছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেবার যথেষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ কাজেই হয়রান ও অধৈর্য হচ্ছেন মানুষ, দানা বাঁধছে রাজনৈতিক প্রতিরোধ৷
ছবি: REUTERS/File Photo/A. Dave
টাকা বাতিলে আতঙ্ক সর্বত্র
৮ই নভেম্বর ২০১৬ তারিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে, ৯ই নভেম্বর থেকে পাঁচশ’ ও হাজার টাকার নোট বাতিল করা হচ্ছে৷ পরের বৃহস্পতিবার থেকেই ব্যাংকে ঢুকে টাকা বদল করার জন্য মানুষের ভিড় ও ধস্তাধস্তি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Altaf Qadri
লেডিজ ফার্স্ট
নতুন দিল্লির একটি ব্যাংকে নোট বদলানোর জন্য মহিলাদের আলাদা লাইন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri
ব্যাংক কর্মীরাও ব্যতিব্যস্ত
আসামের গুয়াহাটির একটি ব্যাংকে এক ব্যাংক কর্মী নোট তুলে ধরে দেখছেন, তা সাচ্চা কিনা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Nath
অনন্ত প্রতীক্ষা
রাজধানী নতুন দিল্লির একটি ব্যাংকের সামনে সুদীর্ঘ লাইন৷ ধীরে ধীরে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে, যদিও বাড়ছে অসন্তোষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Das
ভুক্তভোগী
মুম্বইতেও মানুষজন লাইন করে দাঁড়িয়েছেন, টাকা বদলানোর আশায়৷ কিন্তু বয়স্ক মানুষদের জন্য কোনো আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়নি৷ চূড়ান্ত অসুবিধেয় পড়েছেন পেনশনভোগী ও ‘দিন-আনি-দিন-খাই’ সাধারণ মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. Kakade
প্রতিরোধ দানা বাঁধছে
সোমবার, ২৮শে নভেম্বর ভারত বনধ-এর ডাক দেয় বিরোধীরা৷ দেশ জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়৷ ছবিতে বনধের দিনে মুম্বই৷
ছবি: Getty Images/AFP/I. Mukherjee
ধর্মঘটের দিনেও টাকা বদলানোর লাইন
দৃশ্যটা কলকাতার৷ ২৮শে নভেম্বর ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছিল বামফ্রন্ট৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যা সমর্থন করেননি৷ জানিয়েছিলেন, জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে৷ বস্তুত পশ্চিমবঙ্গে ছিলও তাই৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
‘দিদি’ মাঠে নামলেন
সোমবার আঠাশে নভেম্বর কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা অবধি মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ সেদিন নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার হুমকিও দেন তিনি৷ মমতা আগামী ৬ই ডিসেম্বর অবধি এক বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
8 ছবি1 | 8
আপনার কী মনে হয়? মোদীর নোট বাতিল করার সিদ্ধান্তটি কি ঠিক ছিল? লিখুন নীচের ঘরে৷