1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নষ্ট ব্যাংক নোট পুনরুদ্ধারের প্রয়াস

গ্রিট হোফমান/এসবি১৫ অক্টোবর ২০১৪

কাপড় কাচার আগে আমরা প্রায়ই জামার পকেট থেকে টাকা বার করতে ভুলে যাই৷ তার পরের অবস্থা সম্পর্কে কিছু না বলাই ভালো, তাই না? জার্মান কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যাংক নোট বদলে দেয়৷

Symbolbild 500 Euro Schiene
ছবি: Liudmila Travina/Fotolia

কঠিন অবস্থায় ফ্রাংক হ্যারৎসগ-এর ডাক পড়ে৷ যেমন কেউ একজন নিজের পার্সটি ওভেনে রেখে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন৷ দেখতে হবে, নষ্ট না করে কী ভাবে টাকার নাগাল পাওয়া যায়৷ পুড়ে যাওয়া ব্যাংক নোট উদ্ধার করা হ্যারৎসগ-এর বিশেষ ক্ষমতা৷ নোটগুলির যে অংশ অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলি ঠিকমতো সাজাতে হবে, যাতে বোঝা যায় পার্সে কত টাকা ছিল৷

যেমন একটি ব্যাগে ২২০ ইউরো থাকার কথা৷ বিশেষজ্ঞ ফ্রাংক হ্যারৎসগ বলেন, ‘‘পুড়ে গেলেও প্রতিটি নোটের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ থাকতে হবে, যাতে তা বদলানো যায়৷ তা না হলে অন্য কেউ অর্ধেকের কম অংশ নিয়ে সেই একই নোট দু-দুবার দাবি করতে পারে৷ অর্থাৎ টাকা ডবল হয়ে যাবে৷''

তিনি ও তাঁর ১৪ জন সহকর্মী প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি ইউরো মূল্যের নষ্ট হয়ে যাওয়া ব্যাংক নোট পরীক্ষা করেন৷ বিনামূল্যেই নষ্ট নোটের বদলে চালু নোট দেওয়া হয়৷ এমনকি এমন কঠিন অবস্থাতেও৷ হ্যারৎসগ বলেন, ‘‘এই নোটগুলি পার্সের সঙ্গে আটকে গেছে৷ একেবারে গলে জুড়ে গেছে৷ তবে নোটের ডানদিকটাও আছে কিনা, তা আমাকে দেখতে হবে৷ তবেই এই নোট বদলানো যাবে৷''

খুব ভালো করে নোট জাল করলে অবশ্য তা ধরতে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যানালিসিস সেন্টারে কাজ করেন হ্যারৎসগ৷ নষ্ট হয়ে যাওয়া কিছু কয়েন বা পয়সা একেবারে অচল হয়ে গেছে৷ সেগুলি আর বদলানো যাবে না৷ প্রায় পচে যাওয়া নোটগুলি অবশ্য বদলানো যাবে৷ চোরের ভয়ে সেগুলি বাগানের মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিলো৷ এমনকি পুরানো ডয়চে মার্ক নোটও ইউরোয় বদলানো সম্ভব৷

হ্যারৎসগ-এর এক সহকর্মী আবার গোয়েন্দা৷ কিছু জাল ব্যাংকনোট তিনি শনাক্ত করেছেন৷ প্রায়ই তিনি বুঝতে পারেন, ঠিক কোথা থেকে জাল নোটগুলি এসেছে৷ জাল নোট বিশেষজ্ঞ মার্টিন ভেবার বলেন, ‘‘জাল নোট প্রায়ই অনেক মসৃণ লাগে৷ আসল নোট খাঁটি সুতি দিয়ে তৈরি বলে তা অনেক খসখসে৷ ফলে হাতে ধরলে অবশ্যই বোঝা যায়৷''

খুব ভালো করে নোট জাল করলে অবশ্য তা ধরতে প্রযুক্তির সাহায্য নিতে হয়৷ অতিবেগুনি রশ্মি ফেললে জাল নোট জ্বলজ্বল করে৷ ম্যাগনিফাইয়িং গ্লাসে দেখলে ছাপার ভুলও চোখে পড়ে৷ ভেবার বলেন, ‘‘কিছু অদ্ভুত ঘটনাও ঘটে৷ যেমন একবার ৩০০ ইউরোর নোট এসেছিল, বাস্তবে যার কোনো অস্তিত্বই নেই৷ তার পরেও সব রকম নোট গ্রহণ করা হয়৷ মোটকথা টাকার মতো দেখতে হলেই হলো৷ কোথাও না কোথাও কাজে লাগবেই৷''

ফ্রাংক হ্যারৎসগ-কে এখন অন্য ধরনের সমস্যাও সামলাতে হয়৷ যেমন বাড়ির চালে লুকিয়ে রাখা ব্যাংক নোট ইঁদুরে কেটেছে৷ ফ্রাংক হ্যারৎসগ বলেন, ‘‘ইঁদুরে কাটা নোটের সমস্যা হলো, তারা কুরে কুরে কাগজ কেটে তারপর বাসা তৈরি করে৷ অর্থাৎ টুকরোগুলি দূরে নিয়ে চলে যায়৷''

এ ক্ষেত্রে অবশ্য ইঁদুরটি দয়ালু ছিল৷ ফলে ফ্রাংক সব ক'টি নোটেরই অর্ধেক অংশ উদ্ধার করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে৷ ফলে মালিকও টাকা ফেরত পাবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ