জিরাফ সংরক্ষণ পার্কে ছয় ফরাসিসহ আটজনকে হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তির খোঁজে নাইজার ও ফ্রান্সের সৈন্যরা অভিযান শুরু করেছে ৷ নাইজারের রাজধানীর অদূরে রবিবার এ ঘটনা ঘটে৷
বিজ্ঞাপন
রবিবার সকালের এ ঘটনার পর নাইজারের তিলাবেরি অঞ্চলের গভর্নর তিজানি ইব্রাহিম কাতিয়েলা জানান, এক মোটরসাইকেলআরোহী বন্দুকধারীর গুলিতে ছয়জন ফরাসি এনজিও কর্মী, তাদের স্থানীয় গাইডসহ আটজন নিহত হয়েছেন৷
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে বোকো হারাম ও আইএস সমর্থিত বেশ কিছু ইসলামি জঙ্গি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে৷ তবে এ ঘটনার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি৷
নিহত ছয় ফরাসি এসিটিইডি বা অ্যাক্টেড নামের একটি সাহায্য সংস্থার কর্মী ছিলেন৷ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, ‘‘এটি এক ব্যক্তির বুদ্ধিহীনের মতো করে চালানো কাপুরোষিত হত্যাকাণ্ড৷’’
এমনিতে ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ আগে থেকেই তাদের নাগরিকদের নাইজারের একটি অংশে যাতায়াতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলে আসছে৷ রাজধানী নিয়ামের কাছের এই ওয়াইল্ডলাইফ পার্ক অবশ্য ‘নিরাপদ’ এলাকা হিসেবেই পরিচিত৷
ছয় ফরাসি নাগরিক হত্যার ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এক বিবৃতিতে বলেছেন তার দেশ সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানে অনড় থাকবে, ‘‘সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞায় অটল আমরা৷ এ লড়াই চলবে৷’’
এসিবি/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)
মুক্ত জীবনেও ওরা অসহায়
আইএস জঙ্গিদের অকথ্য নির্যাতন সহ্য করেছে তারা৷ শৈশবেই হয়েছে ধর্ষণের শিকার, বাধ্য হয়েছে বিয়ে করতেও৷নির্যাতনের মুখে যুদ্ধও করতে হয়েছে অনেক শিশুকে৷ ছবিঘরে থাকছে তাদের কথা...
ছবি: picture-alliance/Y. Akgul
হত্যাযজ্ঞ
২০১৪ সালে সিরিয়ায় অন্তত ১০হাজার ইয়াজিদিকে হত্যা করে আইএস৷ নিহতরা সবাই পুরুষ৷ ১২ বছরের বেশি বয়সি সব ছেলে শিশুকেও হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা৷ এ পর্যন্ত অন্তত ৭০টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে৷
ছবি: Getty Images/J. Moore
নারী ও শিশু অপহরণ, নিপীড়ন, ধর্ষণ
১২ বছরের বেশি বয়সি সব পুরুষকে হত্যা করলেও সাত হাজার নারী ও শিশুকে অপহরণ করে নিপীড়ন করা হয়, ধর্ষণ করে বিক্রি করে দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/Y. Akgul
পরিবারে ফিরেছে যারা
আইএসকে যুদ্ধে হারিয়ে দুই হাজার শিশুকে উদ্ধার করে কুর্দি যোদ্ধারা৷ পরে নিজ নিজ পরিবারে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাদের৷ তবে পরিবারে ফিরলেও আইএস শিবিরের দুঃসহ স্মৃতি তাদের ছাড়েনি৷
ছবি: Reuters/R. Said
পুরুষ মানেই আতঙ্ক
সিরিয়ার বাগুজে আইএস-কে হারানোর পর সেখান থেকে এক হাজার ৪১ জন শিশুকে উদ্ধার করে কুর্দি যোদ্ধারা৷ উদ্ধার করা শিশুদের মধ্যে এমন কিশোরীও রয়েছে যাদের ধর্ষণ, নির্যাতনের পর বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়৷ বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতি তাদের মনে এখনো তাজা, এখনো পুরুষ দেখলেই ভয় পায় তারা৷ এমনকি নিজের বাবা বা ভাইকে দেখলেও আঁতকে ওঠে তারা৷
ছবি: DW/F. Campana
প্রাণ বাঁচাতে যোদ্ধা
ছেলে শিশুদের গল্পটা অন্যরকম৷ বয়স ১২ বছরের চেয়ে কম ছিল বলে আইএস তাদের হত্যা করেনি৷ তবে পরে যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করেছে৷ অ্যামনেস্টিকে সাহির নামের এক শিশু জানিয়েছে, যুদ্ধ করতে রাজি না হওয়ায় আইএস যোদ্ধারা কয়েকদিন খেতে দেয়নি, প্রতিদিন প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে পিটিয়েছে৷ ক্ষুধা আর নির্যাতন সইতে না পেরে একসময় যুদ্ধ করতে রাজি হয়ে যায় সাহির৷
ছবি: DW/D. Cupolo
ওদের সাহায্য দরকার
আইএস শিবির থেকে উদ্ধার করা শিশুদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ ‘লিগেসি অফ টেরর : দ্য প্লাইট অফ ইয়াজিদি চাইল্ড সারভাইভার্স অফ আইসিস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, উদ্ধার করা ইয়াজিদি শিশুদের মানসিক সুস্থতা ফেরাতে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ সহায়তা দরকার৷