নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বের বর্নো প্রদেশে রবিবার সন্ধ্যায় বড় স্ক্রিনে ফুটবল খেলা দেখছিলেন গ্রামবাসীরা৷ সেই সময় আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷
বিজ্ঞাপন
বর্নো প্রদেশের রাজধানী মাইদুগুরি থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোনদুগায় এই হামলা হয়েছে৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনজন আত্মঘাতী হামলাকারীর একজন ফুটবল খেলা দেখার হলঘরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে বাধা দেয়া হয়৷ তাই ঐ হামলাকারী হলঘরের দরজার বাইরেই বোমা ফাটান৷ এরপর হলঘরের পাশে চায়ের স্টলের সামনে থাকা অন্য দুই হামলাকারীও বোমা ফাটান৷ ফলে ফুটবল দর্শকদের হামলার লক্ষ্য থাকলেও হলঘরের বাইরে থাকা লোকজনই বেশি প্রাণ হারিয়েছেন৷
এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি৷ তবে হামলার ধরনের সঙ্গে জিহাদি গোষ্ঠী বোকো হারামের চালানো হামলার মিল রয়েছে৷ উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ায় একটি ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য গত এক দশক ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বোকো হারাম৷
গত কয়েকমাসের মধ্যে রবিবারের হামলাটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ৷ গতবছরের জুলাই মাসে একটি মসজিদে বোকো হারামের হামলায় আট মুসল্লি নিহত হয়েছিলেন৷
বোকো হারামের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, রয়টার্স)
ফের স্কুলছাত্রীদের অপহরণ করল বোকো হারাম
কিছুদিন আগে নাইজেরিয়ার একটি স্কুলে ফের আক্রমণ চালিয়েছে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম৷ আবার অপহৃত কয়েকশ’ স্কুলছাত্রী৷ এর আগে ২০১৪ সালে ২৭৬ জন ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল বোকো হারাম৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
শুনশান হস্টেল
নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বের প্রদেশ উয়োব৷ সেখানকার ডাপচি অঞ্চলের একটি স্কুল থেকে কয়েকশ’ ছাত্রীকে অপহরণ করেছে বোকো হারাম৷ স্কুলের হস্টেলে পড়ে রয়েছে ছাত্রীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
আগেও ঘটেছে হামলা
২০১৪ সালেও একই কায়দায় অন্য একটি স্কুল থেকে ছাত্রীদের অপহরণ করেছিল বোকো হারাম৷ পরে কিছু ছাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও অধিকাংশ ছাত্রীই এখনো নিখোঁজ৷ ওই ছাত্রীরা কী অবস্থায় আছে, এখনো জানা যায়নি৷ তার মধ্যেই নতুন করে অপহরণের ঘটনা ঘটলো৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
অপহরণের চিহ্ন
ছাত্রীদের অপহরণের সময় যে যথেষ্ট ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছিল, স্কুল চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে তার চিহ্ন৷ কোথাও পড়ে আছে তাদের চটি, কোথাও বা ছেঁড়া জামাকাপড়৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
বন্ধ ক্লাস
ঘটনার পর থেকে বন্ধ স্কুল৷ যে ক’জন ছাত্রী পালাতে পেরেছিল, তারাও আর স্কুলে যেতে চাইছে না৷ অনেকেই ট্রমায় আক্রান্ত৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
পরিত্যক্ত হস্টেল
ঘটনার পর হস্টেল চত্বরে যায়নি কেউ৷ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সবকিছু৷ স্থানীয় মানুষও এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছেন, নতুন করে হামলার আশঙ্কায়৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
রক্ষা পেয়েছে যারা
খুব সামান্য সংখ্যক ছাত্রীই হামলার সময় পালাতে পেরেছিল৷ হামলার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে তারা৷ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তেমনই কিছু ছাত্রীর ছবি৷
ছবি: Reuters/A. Sotunde
কেউ দায় স্বীকার করেনি
২০১৪ সালে হামলার পর ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল বোকো হারাম৷ কিন্তু এবার এখনো কোনো গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি৷ তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এ হামলাও বোকো হারামই চালিয়েছে৷