1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইন ইলেভেনের দশ বছর পর পাকিস্তানই সবচেয়ে বিপজ্জনক ফ্রন্ট

২৩ আগস্ট ২০১১

এগিয়ে আসছে নাইন ইলেভেন৷ ২০০১-এর ১১ই সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে জঙ্গি ইসলামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল টুইন টাওয়ারে৷ এরই ফলে মার্কিন নেতৃত্বে আফগানিস্তানে শুরু হয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পশ্চিমী দুনিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান৷

A Taliban suicide bomber flattened a Pakistani police station on Wednesday, killing eight people in the latest brazen assault on security forces to avenge the US killing of Osama bin Laden.
সন্ত্রাসী হামলায় অশান্ত পাকিস্তান (ফাইল ফটো)ছবি: DW

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এলড়াই-এর শরিক পাকিস্তানও৷ ইতোমধ্যে পাকিস্তান হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ফ্রন্ট৷ বেড়েছে তালেবানি হামলা৷ আর তার মাঝে পড়ে মারা যাচ্ছে নিরপরাধ মানুষ৷

কুলসুম বিবির চার সন্তান৷ সবচেয়ে বড় ছেলেটি একটি বোমা হামলায় দুটি পা হারিয়েছে৷ বাকি তিন সন্তান ছোট৷ কোন অবস্থাতেই একা সংসার চালাতে পারছেন না কুলসুম বিবি৷ যে বোমা হামলায় তার ছেলে দুটি পা হারিয়েছে সেই একই বোমা হামলায় কুলসুম বিবি তার স্বামীকে হারিয়েছেন৷

স্বামী মারা যাওয়ার পর কুলসুম বিবি এখন বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন, মাঝে মাঝে সেলাইয়ের কাজ করেন৷ কিন্তু তা যথেষ্ট নয়৷ গত মার্চ মাসে তালেবান জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে ফয়সলাবাদে৷ তখন থেকেই শুরু হয়েছে কুলসুম বিবির বেঁচে থাকার সংগ্রাম৷

কুলসুম বিবি জানান,‘‘আমার স্বামী ছিলেন মিস্ত্রি৷ তিনি যা উপার্জন করতেন তা দিয়ে কোনভাবে আমাদের দিন চলতো৷ আমি কখনো কাজ করিনি, আমার কোন কাজের অভিজ্ঞতা নেই৷ আমি যা উপার্জন করি তা যথেষ্ট নয়৷''

৩৫ বছর বয়স্কা কুলসুম বিবি কাঁদতে কাঁদতে বললেন,‘‘আমরা একদিন খেলে পরের দিন না খেয়ে থাকি৷ আমি এখন কি করবো? শরীর বেচে খাবো? চাইলে আমি তা করতে পারি কিন্তু মনুষ্যত্ববোধ থাকার কারণে সে পথে যেতে পারছি না৷ ''

কুলসুম বিবির একটিই প্রশ্ন - কেন তার পরিবারকে সন্ত্রাসী হামলার মূল্য দিতে হচ্ছে? তার পরিবারের কেউই তালেবানের সদস্য না৷ তিনি শুধু আক্ষেপ করেন, যে বোমা তার স্বামীর জীবন কেড়ে নিয়েছে সেই বোমায় কেন পরিবারের সবার মৃত্যু হল না৷

শুধু কুলসুম বিবি নয়, পাকিস্তানের হাজার হাজার পরিবার এ ধরণের ঘটনার শিকার হয়েছে৷ পাকিস্তানের ইন্সটিটিউট ফর পিস স্টাডিজ জানিয়েছে, বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি মারা গেছে৷ আহত হয়েছে ২৩ হাজারেরও বেশি৷

লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রসুল বক্স রাইস জানান, ‘‘গত দশ বছরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে পাকিস্তানের ভীষণ ক্ষতি হয়েছে৷ মানুষ মারা গেছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে, সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে এবং দেশে তালেবানসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ড বেড়েছে৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: অব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ