1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাইন ইলেভেন হামলায় অভিযুক্তদের বিচার শুরু হবে

১ জুন ২০১১

কুখ্যাত গুয়ান্তানামো কারাগারে আটক নাইন ইলেভেন হামলায় অভিযুক্ত খালেদ শেখ মহম্মদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হলো৷

হামলার এতকাল পর অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছেছবি: AP

কিউবার ভূখণ্ডে অবস্থিত মার্কিন কারাগারে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ মার্কিন প্রশাসন তাদের জেনিভা কনভেনশন অনুযায়ী, যুদ্ধবন্দির মর্যাদা দিতে প্রস্তুত নয়৷ আবার মার্কিন ভূখণ্ডে কোনো ফৌজদারি আদালতেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে প্রস্তুত নয় ওয়াশিংটন৷ ফলে তারা বছরের পর বছর ধরে বিনা বিচারে সেখানে বন্দি রয়েছে৷ কিছু বন্দিকে অবশ্য বিপজ্জনক নয় – এমন তকমা লাগিয়ে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ নানা আইনগত ও রাজনৈতিক জটিলতার কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুয়ান্তানামো বন্ধ করে দেওয়ার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেন নি৷ বন্দিদের নিউ ইয়র্কের সাধারণ আদালতে পেশ করার চেষ্টা সফল না হওয়ায় গত মাসেই ওবামা প্রশাসন হাল ছেড়ে দিয়েছে৷ প্রায় ১ মাস আগে পাকিস্তানে ওসামা বিন লাদেনের হত্যার পর এবার নাইন ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি আইনগতভাবে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলাছবি: AP

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জন্য অভিযুক্ত যারা এখনো জীবিত রয়েছে, তাদের মধ্যে খালেদ শেখ মহম্মদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়দি৷ তার সঙ্গে রয়েছে ওয়ালিদ বিন আতাশ, রামজি বিনালশিব, আলি আব্দেল আজিজ আলি এবং মুস্তফা আহমেদ আল হাওসাওয়ি৷ হামলার ১০ বছর পূর্তির ঠিক আগে মার্কিন প্রশাসন তাদের সামরিক আদালতের কাঠগড়ায় তুলতে চলেছে৷ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকায় রয়েছে ষড়যন্ত্র, যুদ্ধের নিয়ম ভেঙে হত্যাকাণ্ড চালানো, নিরীহ মানুষের উপর হামলা, বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলা, ইচ্ছাকৃতভাবে শারীরিক ক্ষতিসাধন করা, যুদ্ধের নিয়ম ভেঙে রাষ্ট্রের বিষয় সম্পত্তি ধ্বংস করা, বিমান অপহরণ এবং সন্ত্রাসবাদ৷

হামলার এতকাল পর অভিযুক্তদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন উঠছে৷ বিশেষ করে ওবামা প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রসঙ্গটি উঠে আসছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, যে ইতোমধ্যে সামরিক আদালতের প্রক্রিয়ার আমূল সংস্কার করা হয়েছে, যাতে অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ পায়৷ তাছাড়া নিপীড়নের মাধ্যমে আদায় করা স্বীকারোক্তিও এখন আর বিচার প্রক্রিয়ায় কাজে লাগানো যাবে না৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ