ভারতের দক্ষিণের রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশের ক্ষেত্রফল এক দশমিক ৬৩ লাখ বর্গকিলোমিটার৷ এটি উত্তর আফ্রিকার দেশ টিউনিসিয়ার সমান৷

জনসংখ্যার দিক থেকে উত্তর প্রদেশ ভারতের বৃহত্তম রাজ্য এবং আয়তনের দিক থেকে এটি চতুর্থ বৃহত্তম রাজ্য৷ এর ক্ষেত্রফল যেখানে ২,৪০, ৯২৮ বর্গকিলোমিটার৷র এটি ইংল্যান্ডের সমান৷

উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং ইউরোপীয় দেশ অস্ট্রিয়ার প্রায় সমান৷ অরুণাচল প্রদেশের ক্ষেত্রফল ৮৩ হাজার বর্গকিলোমিটার আর অস্ট্রিয়ার ক্ষেত্রফল ৮৩,৮৭৯ বর্গকিলোমিটার৷

আসাম উত্তর-পূর্ব ভারতের সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য, যার ক্ষেত্রফল ৭৮,৪৩৮ বর্গকিলোমিটার৷ এটি ইউরোপের চেক প্রজাতন্ত্রের সমান, চেক প্রজাতন্ত্রর ক্ষেত্রফল ৭৮,৮৬৬ বর্গকিলোমিটার৷

বিহারের কথা বললে হাঙ্গেরির নাম উঠে আসে৷ কারণ, বিহারের ক্ষেত্রফল ৯৪,১৬৩ বর্গকিলোমিটার, যেখানে হাঙ্গেরির ক্ষেত্রফল ৯৩,৩০ বর্গকিলোমিটার৷

ভারতের ছত্তিসগড় রাজ্যটির আকার ইউরোপীয় দেশ গ্রিসের সমান৷ ছত্তিসগড়ের ক্ষেত্রফল এক লাখ ৩৫,১৯৮ বর্গকিলোমিটার এবং গ্রিসের ক্ষেত্রফল ১,৩১,৯৫৭ বর্গকিলোমিটার৷

গোয়া অঞ্চলটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে, এর ক্ষেত্রফল ৩,৭০২ বর্গকিলোমিটার৷ ক্ষেত্রফলের সঙ্গে তুলনা করলে ভারতে এই অঞ্চলটি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে দ্বীপ রাষ্ট্র ফরাসি পলিনেশিয়ার সমান৷

গুজরাট এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল আকারে প্রায় সমান৷ গুজরাটের ক্ষেত্রফল এক লাখ ৯৬,০২৪ বর্গকিলোমিটার আর সেনেগালের ক্ষেত্রফল ১,৯৬,৭১২ বর্গকিলোমিটার৷

আমরা যদি হরিয়ানার আকারের দেশটি অনুসন্ধান করি তবে ডেনমার্কের নামটি উঠে আসে৷ হরিয়ানার ক্ষেত্রফল ৪৪,২১২ বর্গকিলোমিটার আর ডেনমার্কের ক্ষেত্রফল ৪২,৯৩১ বর্গকিলোমিটার৷

আপেলের বিখ্যাত হিমাচল প্রদেশটি ইউরোপের ক্রোয়েশিয়ার সমান৷ হিমাচল প্রদেশের ক্ষেত্রফল ৫৫,৬৭৩ বর্গকিলোমিটার এবং ক্রোয়েশিয়ায় ক্ষেত্রফল ৫৬,৫৯৪ বর্গকিলোমিটার৷

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশের ক্ষেত্রফল ২,২২,২৩৬ বর্গকিলোমিটার, যা গায়ানার ক্ষেত্রফল থেকে কিছুটা বেশি৷ গায়ানার আয়তন ২,১৪,৯৭০ বর্গকিলোমিটার৷ অবশ্য ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবরের পর এটি রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে দুইটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়৷

ঝাড়খণ্ড অঞ্চলটির ক্ষেত্রফল ৭৯,৭১৪ বর্গকিলোমিটার৷ প্রাকৃতিক খনিজ সমৃদ্ধ ভারতের এই রাজ্যটি হাঙ্গেরির সমান৷

কর্ণাটক রাজ্যটি ১,৯১,৭৯১ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত৷ আর আফ্রিকার দেশ সেনেগালের ক্ষেত্রফল ১,৯৬,৭১২ বর্গকিলোমিটার৷

ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত কেরালা রাজ্যের ক্ষেত্রফল ৩৮,৩৯৪ বর্গকিলোমিটার৷ ভুটানের ক্ষেত্রফল ও এই রাজ্যের সমান, ভুটানের ক্ষেত্রফল ৩৮,৯৩৪ বর্গকিলোমিটার৷

ভারতের অন্যতম বৃহৎ রাজ্য মধ্য প্রদেশের ক্ষেত্রফল ৩,০৮,২৪৫ বর্গকিলোমিটার, আকারে এটি আরব দেশ ওমানের সমান৷ ওমানের ক্ষেত্রফল ৩,০৯,৫০০ বর্গকিলোমিটার৷ 

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাজ্য মহারাষ্ট্র৷ এর ক্ষেত্রফল ৩,০৭,৭১৩ বর্গকিলোমিটার৷ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের ক্ষেত্রফল মহারাষ্ট্রের প্রায় কাছাকাছি, ৩,০৯,৫০১ বর্গকিলোমিটার৷

পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরের ক্ষেত্রফল ২২,৩২৭ বর্গকিলোমিটার৷ মধ্য অ্যামেরিকার দেশ বেলিজের ক্ষেত্রফল এর কাছাকাছি, ২২,৯৬৬ বর্গকিলোমিটার৷

মেঘালয় আর আফ্রিকার দেশ জিবুতির আকার প্রায় মোটামুটি এক৷ মেঘালয়ের ক্ষেত্রফল ২২,৪২৯ বর্গকিলোমিটার,  আর জিবুতির ২৩,২০০ বর্গকিলোমিটার৷

ক্ষেত্রফলের দিক দিয়ে মধ্য অ্যামেরিকার এল সালভাদরের সঙ্গে মিল রয়েছে ভারতের মিজোরাম রাজ্যের৷ মিজোরামের ক্ষেত্রফল ২১,০৮১ বর্গকিলোমিটার, এল সালভাদরের ক্ষেত্রফল ২১,০৪১ বর্গকিলোমিটার৷

মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ভারতের পূবাঞ্চলের রাজ্য নাগাল্যান্ড৷ এর ক্ষেত্রফল ১৬,৫৭৯ বর্গকিলোমিটার৷ আফ্রিকার ছোট্ট দেশ সোয়াজিল্যান্ডের ক্ষেত্রফল এর কাছাকাছি, ১৭,৩৬৪ বর্গকিলোমিটার৷

এক সময় বাংলা-বিহার-ওড়িশা ছিল একই নবাবের অধীনে৷ ওড়িশা এখন ভারতের একটি রাজ্য, বাংলার এক অংশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ৷ আকারে দুটিই প্রায় কাছাকাছি৷ ওড়িশার ক্ষেত্রফল ১৫৫,৭০৭ বর্গকিলোমিটার, বাংলাদেশের ১৪৭,৬১০ বর্গকিলোমিটার৷

পাঞ্জাবের ক্ষেত্রফল ৫১,০০০ বর্গকিলোমিটার৷ মধ্য অ্যামেরিকার দেশ কোস্টা রিকার ক্ষেত্রফলও প্রায় সমান, ৫০,৩৬২ বর্গকিলোমিটার৷

আকারের দিক দিয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য রাজস্থান৷ এর ক্ষেত্রফল ৩৪২,২৩৯ বর্গকিলোমিটার৷ আফ্রিকার ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোর ক্ষেত্রফলও প্রায় একই, ৩৪২,০০০ বর্গকিলোমিটার৷

ভারতের সবচেয়ে ছোট রাজ্যগুলোর একটি সিকিম৷ এর ক্ষেত্রফল মাত্র ৭,০৯৬ বর্গকিলোমিটার৷ অন্যদিকে, ফ্রেঞ্চ সাদার্ন অ্যান্টার্কটিকের ক্ষেত্রফল ৭,৭৪৭ বর্গকিলোমিটার৷

তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রফল ১৩০,০৫৮ বর্গকিলোমিটার৷ মধ্য অ্যামেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার আকার এর প্রায় সমান৷ নিকারাগুয়ার ক্ষেত্রফল ১৩০,৩৭৫ বর্গকিলোমিটার৷

ভারতের সবচেয়ে নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা৷ কেবল ২০১৪ সালে এই রাজ্য গঠন করা হয়৷ ১১২,০০৭ বর্গকিলোমিটারের এ রাজ্যের কাছাকাছি আকার রয়েছে মধ্য অ্যামেরিকার হন্ডুরাসের, ১১২,৪৯২ বর্গকিলোমিটার৷

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দেশ ত্রিপুরার ক্ষেত্রফল কেবল ১০,৪৮৬ বর্গকিলোমিটার৷ লেবাননের ক্ষেত্রফল ১০,৪৫২ বর্গকিলোমিটার৷

২০০০ সালের ৯ নভেম্বর রাজ্যের স্বীকৃতি পায়৷ এর আকার ৫৩,৪৮৩ বর্গকিলোমিটার৷ অন্যদিকে ইউরোপের দেশ বসনিয়ার আকার ৫১,১৯৭ বর্গকিলোমিটার৷

দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের এই দেশটি আকারে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সমান৷ পশ্চিমবঙ্গের আকার ৮৮,৭৫২ বর্গকিলোমিটার, আর সার্বিয়ার ক্ষেত্রফল ৮৮,৩৬১ বকিলোমিটার৷