সরকার পরিচালিত মিনার্ভা রেপার্টরির নাট্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ৷ কিন্তু সরকারের তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেই কেন?
ছবি: picture alliance/dpa/P. Pleul
বিজ্ঞাপন
অপরাধ কার্যত মেনে নেওয়া হলেও মিনার্ভা রেপার্টরির নাট্য প্রশিক্ষক, নাট্য কর্মশালার ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত প্রেমাংশু রায়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো উদ্যোগই নেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের৷ অথচ এই সরকারই মমতা ব্যানার্জিকে জড়িয়ে একটি ব্যাঙ্গচিত্র চালাচালির অপরাধে এক অধ্যাপককে বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তুলে এনে হাজতবাস করায়, তাঁর বিরুদ্ধে অশালীনতার মামলা দায়ের করে৷ তাই এবার প্রশ্ন উঠছে, কেন এমন গুরুতর এক অভিযোগের ক্ষেত্রে সরকার শুধুমাত্র অভিযুক্ত প্রশিক্ষককে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েই নিশ্চিন্ত, নিশ্চেষ্ট রইল? কেন স্থানীয় বা রাজ্য প্রশাসন আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হলো না? কেনই বা রাজ্যের একজন মন্ত্রী, যিনি নিজেও একজন নাট্য ব্যক্তিত্ব, এবং যাঁর নাম করে অভিযুক্ত প্রশিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি দিতেন বলে শোনা গেছে, তিনি কেন নাট্যচর্চার এই কলঙ্কমোচনে এগিয়ে এলেন না?
Panchali Kar - MP3-Stereo
This browser does not support the audio element.
এমনকি যে নাট্যকর্মীরা মানবিক তাগিদে, বিবেকের তাড়নায় আইনি সাহায্য চাইতে এগিয়ে গেছেন, তাঁদের সম্প্রতি যে অভিজ্ঞতা, তা-ও আদৌ স্বস্তিজনক নয়৷ বর্ধমানে মিনার্ভা রেপার্টরি পরিচালিত নাটকের ওয়ার্কশপ করতে গিয়ে খারাপ অভিজ্ঞতা হলো যে সব তরুণ-তরুণীর, তাঁরা চেয়েছিলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক অভিযুক্ত প্রশিক্ষকের৷ কারণ নিজের পদের এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে যিনি নোংরামি করতে পারেন, তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট নয়৷ এই ছাত্র-ছাত্রীরা কর্মশালার অন্য প্রশিক্ষকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাতে ওই প্রশিক্ষককে আর ক্লাস না নিতে বারণ করা হয়েছিল মাত্র৷ তাতে ক্ষিপ্ত প্রশিক্ষক রাজ্যের এক মন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথা বলে সবাইকে ‘দেখে নেওয়া'-র হুমকি দিয়েছিলেন৷ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অভিযোগ তুলে ধরেন৷ তখন রাজ্য সচিবালয় থেকে এক প্রতিনিধিদল বর্ধমান গিয়ে অভিযুক্ত প্রেমাংশু রায়কে প্রশিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দেয়৷ কিন্তু আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না৷ এবার ওয়ার্কশপে অংশ নেওয়া এক ছাত্র এবং বাংলার গ্রুপ থিয়েটারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত একজন নাট্যকর্মী নিজেরাই বর্ধমান থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন৷
পাঞ্চালী কর নামে যে নাট্যকর্মী স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তিনি ডয়চে ভেলেকে জানালেন, প্রথমদিন বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়েরের সময় পুলিশের তরফ থেকে যথেষ্ট উৎসাহ দেখানো হয়৷ কিন্তু থানার ইন্সপেক্টর ইন চার্জ সেদিন না থাকায় ডায়েরির কপি তাঁদের দেওয়া হয়নি৷ পরদিন আবার যখন থানায় যান ওঁরা, পুলিশের দিক থেকে সহযোগিতার অভাব এবং আপাত ঔদাসীন্য ওঁদের অবাক করেছে৷ অথচ আইনের পথে লড়বেন বলেই ওঁরা পুলিশে গেছেন, যে নাট্যকর্মী ন্যায়বিচারের দাবিতে কলকাতার অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের সামনে অনশন শুরু করেছিলেন, তাঁকে অনুরোধ করে অনশন উঠিয়ে নিয়েছেন৷ কিন্তু অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার যে অনাগ্রহ, তাতে তাঁরা আহত৷ পাঞ্চালী জানালেন, তাঁরা এখনও আশায় আছেন যে সরকার এক্ষেত্রে সদর্থক ভূমিকা নেবে৷ কিন্তু তা যদি না হয়, তা হলে নাট্যকর্মীরা আরও বেশি সংখ্যায় বিক্ষোভ, অনশনে সামিল হবেন৷
যেসব জনপ্রিয় তারকারা যৌন হয়রানির শিকার
শৈশবে যৌন নির্যাতন-এমন একটি ঘটনা যা নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিটির মনে সারাজীবনে প্রভাব ফেলে৷ অনেক তারকার জীবনে এ ঘটনা ঘটলেও অল্প কয়েকজনরই তাদের অভিজ্ঞতা জানানোর সাহস পেয়েছেন৷ এমনই কয়েকজনের কথা তুলে ধরা হলো এখানে৷
‘বে ওয়াচ’ আর ‘প্লেবয়’ পত্রিকার অতি জনপ্রিয় নাম পামেলা অ্যান্ডারসন৷ ১০ বছর বয়সে তাঁর বেবি সিটার পামেলাকে যৌন নির্যাতন করে৷ এরপর মাত্র ১২ বছর বয়সে পামেলার বান্ধবীর এক বড় ভাই-ও তাঁকে ধর্ষণ করেছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মেরিলিন মনরো
হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর শৈশব কেটেছে একটি এতিমখানায়৷ আর সেখানেই বহুবার যৌন হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে৷
ছবি: picture alliance/Heritage Images
লেডি গাগা
জনপ্রিয় পপ সংগীত শিল্পী লেডি গাগা জানিয়েছেন, ১৯ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন তিনি৷ এই ঘটনাকে নিজের গান ‘সোয়াইন’-এ তুলে ধরেছেন তিনি৷ তার চেয়ে ২০ বছরের বড় সেই ধর্ষণকারী একজন প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, যাকে পরবর্তীতে দেখলে গাগা একেবারে স্তব্ধ হয়ে যেতেন৷ অনেক থেরাপি নেয়ার পর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান লেডি গাগা৷
ছবি: Reuters/L. Nicholson
অনুরাগ কাশ্যপ
না কেবল নারী তারকারাই নন, পুরুষ তারকারাও ছেলেবেলায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন৷ এমনই একজন বলিউডের বিখ্যাত চিত্র-পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ৷ ১১ বছর ধরে টানা তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চলেছিল বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি৷ তবে সেই দুঃস্বপ্নকে পেছনে ফেলে অচিরেই সামনে এগিয়ে গেছেন অনুরাগ৷
ছবি: AP
ম্যাডোনা
বিশ্বখ্যাত পপ শিল্পী ম্যাডোনা ১৯ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন৷ প্রথমবারের মতো নিউ ইয়র্কে এসে তিনি যে অ্যাপার্টমেন্টটি ভাড়া নিয়েছিলেন, সেখানেই এক ব্যক্তি তাংর মুখের সামনে ছুরি ধরে তাঁকে ধর্ষণ করে৷ সেই দুঃসহ স্মৃ্তি আজও ভুলতে পারেন না তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অপরাহ উইনফ্রে
টিভি সেলিব্রেটি অপরাহ উইনফ্রে মাত্র ন’বছর বয়সে পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির দ্বারা ধর্ষিতা হয়েছিলেন৷ উইনফ্রেকে তাঁর ১০ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত টানা ধর্ষণ করেছে ঐ ব্যক্তি৷
ছবি: AP
সোফিয়া হায়াত
অভিনেত্রী সোফিয়া হায়াতের শৈশবও খুব একটা সুখকর ছিল না৷ তিনিও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন সেই শৈশবে৷ মাত্র ১০ বছর বয়সে তাঁর এক চাচা তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিল৷
ছবি: Getty Images/AFP/STRDEL
আনুষ্কা শংকর
প্রখ্যাত সেতার বাদক রবি শংকরের কন্যা আনুষ্কা শংকর সেতার বাজিয়ে আজ নিজেও বিশ্বনন্দিত৷ পরিবারের অতি ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির দ্বারা সেই অনুষ্কাও যৌন হয়রানির শিকার হন৷ কিন্তু পরিবারের অতি বিশ্বস্ত হওয়ায় সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবারকে কিছু জানাতে পারেননি৷ এতে তাঁর শৈশবের দিনগুলো ছিল ভীষণ পীড়াদায়ক৷ এছাড়া তারকা হওয়ার কারণে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বই তাঁর স্পর্শকাতর অঙ্গ স্পর্শ করেছে বলে জানিয়েছেন আনুষ্কা৷
কাল্কি কোচেলিন
এনডিটিভি-র এক অনুষ্ঠানে অনেক তারকা যখন নিজেদের ছোটবেলার মধুর স্মৃতি রোমন্থন করছিলেন, কাল্কি কোচেলিন তখন তুলে ধরেছিলেন নিজের জীবনের এক কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার কথা৷ ছোটবেলায় যৌন হয়রানির ভয়ঙ্কর স্মৃতি তাঁকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় বলে জানিয়েছিলেন বলিউডের এই অভিনেত্রী৷ নারী অধিকার নিয়ে সর্বদা সোচ্চার কাল্কির অবশ্য স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে কোনোদিনই কোনো সংকোচ ছিল না, আজও নেই৷
ছবি: AP
9 ছবি1 | 9
এদিকে অভিযুক্ত নাট্য প্রশিক্ষক প্রেমাংশু রায় কি এই ঘটনার পর এতটুকু অনুতপ্ত? আদৌ নয়৷ রবিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবের ফটকের সামনে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে করা এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বরং জানিয়েছেন, বহু নাটকের নির্দেশক তিনি, চারটি সিনেমাও বানিয়েছেন৷ তাঁর এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়েই তাঁকে অপদস্থ করা, তাঁর বদনামের এই চক্রান্ত৷ এর বিরুদ্ধে তিনি আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ দাবি করেছেন, নাট্য কর্মশালা চলাকালীন মদ্যপান করা বা ছাত্রীদের ফোনে, মেসেজে কুপ্রস্তাব দেওয়ার যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে, সেগুলি একটিও প্রমাণ করা যাবে না৷ না, দোষ স্বীকার, দুঃখপ্রকাশ, ক্ষমাপ্রার্থনা — কোনো লক্ষণই ছিল না এই বক্তব্যে৷
যৌন হয়রানির হাত থেকে কীভাবে বাঁচাবেন শিশুকে
শিশুরা বিকৃতকাম মানুষের সহজ শিকার৷ সারল্যের সুযোগ নিয়ে সহজে ভোলানো যায় তাদের৷ অনেক সময় শিশুরা বুঝতে পারে না, চিনতে পারে না পিশাচের থাবা৷ আর বুঝলেও করতে পারে না প্রতিবাদ, প্রতিরোধ৷ শুধু একটা অস্বস্তি থেকে যায় সারাটা জীবন৷
ছবি: picture alliance/abaca
ভয়াবহ অবস্থা ভারতে
ভারতের জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের অর্ধেকেরও বেশি বাচ্চা যৌন নিগ্রহের শিকার৷ তবে সবচেয়ে ভয়ংকর সত্য হলো, নাবালিকা বা শিশুর ওপর যৌন হেনস্থার ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে পরিবারের মধ্যে, পরিবারেরই কোনো মানসিক বিকারগ্রস্ত সদস্যের হাতে৷ তাই সে সব ঘটনা পুলিশের কাছে পৌঁছাচ্ছে না, হচ্ছে না কোনো ডাইরি অথবা মামলা৷
ছবি: Fotolia/Gina Sanders
হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব
এভাবে প্রতিদিন বিকৃত যৌন নির্যাতনে হারিয়ে যাচ্ছে অগুন্তি শৈশব৷ অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা বুঝে উঠতে পারছে না, বলে উঠতে পারছে না তাদের অমানবিক সেই সব অভিজ্ঞতার কথা৷ তাই শিশুদের প্রতি যৌনাসক্ত, বিকৃত মানুষগুলো থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর আড়ালে৷ সমাজবিদরা বলছেন, এ জন্য আগাম সতর্কতার দায়িত্ব নিতে হবে অভিভাবক এবং স্কুলের৷ শিশুকে দিতে হবে তার প্রাপ্য শৈশব৷
ছবি: Fotolia/Kitty
যেভাবে বোঝাবেন বাচ্চাদের
সহজ ভাষায় খেলা বা গল্পচ্ছলে শিশুদের এ বিষয়ে একটা ধারণা গড়ে তোলা যেত পারে৷ বাচ্চাদের বলতে হবে যে, তাদের শরীরটা শুধুমাত্র তাদের৷ অর্থাৎ কেউ যেন তাদের ‘গোপন’ জায়গায় হাত না দেয়৷ তাই কোনো আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তির আচরণ অস্বস্তিকর ঠেকলে, কেউ তাদের জোর ঘরে কোনো ঘরে নিয়ে গেলে, খেলার ছলে চুমু দিলে বা শরীরের কোথাও হাত দিলে – তা যেন মা-বাবাকে জানায় তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চিনিয়ে দিন যৌনাঙ্গ
অনেক বাবা-মা নিজ সন্তানের সঙ্গে যৌনাঙ্গ নিয়ে কথা বলতে কুণ্ঠা বোধ করেন৷ কিন্তু এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং খুব ছোটবেলাতেই ছবি এঁকে অথবা গল্পে-গানে বাচ্চাকে তার শরীরের অন্য সব অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গ, লিঙ্গ ইত্যাদি চিনিয়ে দিতে হবে৷ এমনটা করলে কেউ যদি তাদের সঙ্গে পিশাচের মতো ব্যবহার করে, তাহলে শিশুরা সহজেই বলতে পারবে কে, কখন, কোথায় হাত দিয়েছিল৷
ছবি: DW/S.Rahman
শিশুর কথা শুনুন, তার পক্ষ নিন
শিশু যাতে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারে, বন্ধুর মতো সবকিছু খুলে বলতে পারে – সেটা নিশ্চিত করুন৷ আপনার বাচ্চা যদি পরিবারের কাউকে বা আপনার কোনো বন্ধুকে হঠাৎ করে এড়িয়ে যেতে শুরু করে অথবা আপনাকে খুলে বলে বিকৃত সেই মানুষের কৃতকর্মের কথা, তবে সময় নষ্ট না করে শিশুটির পক্ষ নিন আর তিরস্কার করে বাড়ি থেকে বার করে দিন ঐ ‘অসুস্থ’ লোকটাকে৷
ছবি: Fotolia/pegbes
স্কুলেরও দায়িত্ব আছে
বাচ্চারা দিনের অনেকটা সময় স্কুলে কাটায়৷ তাই যৌন শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের একটা বড় দায়িত্ব থেকে যায়৷ তবে স্কুলের মধ্যে, বিদ্যালয় চত্বরেও ঘটতে পারে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ তাই স্কুল থেকে ফেরার পর বাচ্চা যদি অতিরিক্ত চুপচাপ থাকে, একা একা সময় কাটায় বা পড়াশোনা করতে না চায়, তাহলে ওর সঙ্গে কথা বলুন৷ জানতে চান কী হয়েছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানান৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel
ছেলে-মেয়ে সমান!
আমাদের সমাজে ছোট থেকেই মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়৷ মেয়ে হলেই হাতে একটা পুতুল আর ছেলে হলে ধরিয়ে দেয়া হয় বল বা খেলনার পিস্তল৷ ছেলের পাতে যখন তুলে দেয়া হয় মাছের বড় টুকরোটা, তখন মেয়েটির হয়ত এক গ্লাস দুধও জোটে না৷ এ বৈষম্য বন্ধ করুন৷ বাবা-মায়ের চোখে ছেলে-মেয়ে সমান – সেভাবেই বড় করুন তাদের৷ তা না হলে নারীর ক্ষমতায়ন হবে কীভাবে? কীভাবে কমবে শিশু নির্যাতন?