পশ্চিমবঙ্গে এক নাট্য পরিচালককে মারলো তৃণমূলের কর্মীরা। অপরাধ, তার নাটকে বগটুই, হাঁসখালির প্রসঙ্গ ছিল। বলা হয়েছে, নাটক করা চলবে না।
বিজ্ঞাপন
নাট্য পরিচালকের নাম নিরুপম ভট্টাচার্য। তিনি ভারভারা রাওয়ের একটি কবিতা অবলম্বনে একটা নাটক মঞ্চস্থ করেছিলেন। ভারভারা রাও অন্ধ্র প্রদেশের এক বামপন্থি কবি, যাকে ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছি্ল। কবিতা ও নাটকের নাম 'কসাই'। গত ৯ তারিখে হালিশহরে সেই নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস, পশ্চিমবঙ্গের হাঁসখালি, বগটুই-এর প্রসঙ্গ রূপকের আঙ্গিকে রাখা হয়েছে।
এরপর মঙ্গলবার নিরুপম রানাঘাটে ফিরলে রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ কয়েকজন তাকে বলে, রানাঘাটে থেকে ওই নাটক করা যাবে না। এরপর তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে নিরুপম অভিযোগ করেছেন। এমনকী তার ৮৬ বছর বয়সি বাবা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তার সঙ্গেও খুব খারাপ ব্যবহার করা হয়। হমকি দেয়া হয়।
নিরুপম অভিযোগ করেছেন, তাকে বলা হয়, মহড়া বন্ধ করে হনুমান পুজো করুন। নিরুপম আনন্দবাজার ও এবিপি আনন্দকে বলেছেন, ''নাটকের বিষয় হলো, রাষ্ট্রই আসলে কসাই। রাষ্ট্রের অনাচারের বিরুদ্ধে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। মোট ২১টি শো করেছি। জুলাই মাসে আমার বাড়িতে নাটক করা, দেখার ছোট জায়গা 'ডাকঘর' নির্মাণ করি। অল্প দর্শক এখানে নাটক দেখতে পারেন। এই জায়গাকেই ভেঙে ফেলতে বলেছে হামলাকারীরা।''
নিরুপম জানিয়েছেন, ''গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি নাট্যমেলায় নাটকটির অভিনয় হয়। তারপর তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারা পাড়াতে নানাভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করে। তারা বলে নাটকটি করা যাবে না। এবার হালিশহরে শো ছিল। শো করে ফিরছি। এগারোটা বেজে গেছে। রাতে ঘুরছি। তারা প্রথমে সৌজন্য দেখাতে আসে। এরপর নানা কথা বলতে থাকে। রাগারাগি, ঝগড়া হয়। তারপর গায়ে হাত দেয়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর নেতৃত্বে ঘটনা ঘটে।''
এবার আনিস খানের ভাইকে মারার চেষ্টা
ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সালমান খান আক্রান্ত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, আনিস মামলায় সাক্ষী হলেন সালমান। তাই তাকে মারার চেষ্টা হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আনিসের খুড়তুতো ভাই
আনিসের কাকার ছেলে সালমান খান। দুষ্কৃতীরা শুক্রবার টাঙ্গি দিয়ে তাকে আঘাত করে বলে অভিযোগ। গত ফেব্রুয়ারিতে আনিস খান মারা যান। পরিবারের অভিযোগ, তাকে হত্যা করা হয়। এই হত্যার জন্য তারা পুলিশকে দায়ী করেছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আসবাব বানান
সালমান আসবাবপত্র তৈরির কাজ করেন। আক্রান্ত হওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আগেও চেষ্টা
সোমবার রাত ১২টা নাগাদ চারজন ব্যক্তি তাদের বাড়ির সামনে জড়ো হয়। তাদের মধ্যে একজন বাড়ির পিছনের গ্রিল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে। সলমনের মা সেটা দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে তারা চম্পট দেয়। নিরাপত্তার জন্য আমতা থানায় দুইবার লিখিত আবেদন করেছেন বলে জানালেন সালমানের বাবা আলেম খান। বললেন, ''থানা আমাদের কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। ফাঁড়ির পুলিশ মাঝেমাঝে এসে দায় সেরেছে। যেদিন মেরেছিল সেদিন পুলিশ আসেনি”'' উপরে আমতা থানার ছবি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
স্ত্রীর বক্তব্য
সালমানের স্ত্রী হোসেনারা খাতুন। তার দাবি, ''ভীষণ আতঙ্কে রয়েছেন সকলে। আনিস হত্যার সাক্ষী সালমান, তাই হয়তো তাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে।”
ছবি: Subrata Goswami/DW
এই পথ দিয়েই
সালমানদের বাড়ির পিছনের এই পথ দিয়েই এসে অতর্কিত আক্রমণ চালায় হামলাকারীরা। সালমান তখন হাত মুখ ধুচ্ছিলেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
প্রমাণ রাখতে
প্রমাণ যাতে না মুছে যায়, তাই ছেলের রক্তের দাগ চাপা দিয়ে রেখেছেন আলেম।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আনিসের বাড়ির কাছেই
সারদা দক্ষিণ খানপাড়ায় আনিসের খুড়তুতো ভাই সালমানের বাড়ি। আনিসের বাড়ির কাছেই। আনিসের মৃত্যুর পর এবার সালমানকে আক্রমণ করা হলো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বাবার কথা
সালমানের বাবা আলেম খান ও মা শাহানারা বিবি। আলেম বললেন, ''রক্তাক্ত সন্তানকে হাসপাতালের বিছানায় কাচের বাইরে থেকে দেখতে হয়েছে, আমাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়নি।''
ছবি: Subrata Goswami/DW
কয়েক মাসের সন্তান
আক্রান্ত সালমানের কয়েক মাসের সন্তান কোলে মা শাহানারা বিবি। শাহানারা জানিয়েছেন, স্থানীয় নেতাকে নিরাপত্তা দিতে বাইরে পুলিশ বসে আছে, আর সেখান থেকে দশ কদম দূরে ছেলেকে কোপ লাগিয়ে পালায় হামলাকারীরা। কেউ ধরতে পারল না!
ছবি: Subrata Goswami/DW
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য
এলাকার মানুষের বক্তব্য, আনিস হত্যার প্রতিবাদ আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিত সালমান। তাই হয়তো সালমানের ওপরে এই হামলা হলো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আনিসের দাদার দাবি
আনিস খানের দাদা সাবির খান ডিডাব্লিউকে বলেছেন, সাক্ষীকে শেষ করে দিলেই সব ঝামেলা মিটে যাবে, তাই ওরা এটা করছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আনিসের বাবা যা বললেন
আনিসের বাবা সালেম খানের দাবি, শুক্রবার রাতে এক দল দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে তার উপর হামলা চালিয়েছে। তাকে টাঙি দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আনিসের বাবা সেলিম খান।
ছবি: Subrata Goswami/DW
উলুবেড়িয়া হাসপাতাল
উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল। এখানেই চিকিৎসাধীন সালমান। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
জমায়েত, প্রতিবাদ
আনিস মৃত্যু নিয়ে গণ-কনভেনশন, ইনসাফ সভা, ধরনা, কমিশনারেট ঘেরাও, এমন নানান কর্মসূচি এখনও চলছে। তবে এখনও ন্যায় মেলেনি বলে পরিবারের অভিযোগ। এর মাঝেই আনিসের ভাইকে আক্রান্ত হতে হলো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
14 ছবি1 | 14
নিরুপম এবিপি আনন্দকে বলেছেন, ''ওদের আপত্তির জায়গা দুটো। একটা সংলাপ আছে, পোড়া গন্ধে ছিছিক্কার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে হাজির হতে হয়। দেবী সদয় হলে, দু-চারটে ধরপাকড় হয়। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেই চলে। আর আমরা বলেছি, রাষ্ট্রই কসাই।''
নিরুপমের অভিযোগ, ''আমার ডাকঘরের পাশে একটা হনুমান মন্দির করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। পাশে একটা হনুমান মারা গিয়েছিল। তাকে পুঁতে তার উপর মন্দির বানানো হয়েছে। এর প্রতিবাদ করা যাবে না। তাদের চাঁদা দিতেই হবে।''
এরপর অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ তা নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। পরে বিভিন্ন নাট্য সংস্থা সোচ্চার হলে অভিযোগ নেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নাট্যকর্মীদের সমালোচনা
পরিচালক ও অভিনেতা কৌশিক সেন বলেছেন, ''নিরুপম একইসঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপি সরকারকে সমালোচনা করেছে। শিল্পী হিসাবে মনে করি, তার পূর্ণ স্বাধীনতা আছে। তৃণমূলের গুন্ডারা তার উপর চড়াও হয়েছে। তাকে নাটক ও তার ডাকঘর বন্ধ করে দিতে বলেছে। আমি একজন নাট্য নির্দেশক ও নাট্যকর্মী হিসাবে বলতে চাই, আমরা নিরুপমের পাশে আছি।''
আনিস থেকে হাঁসখালি, তদন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে
ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু থেকে শুরু করে বগটুই, হাঁসখালি পর্যন্ত একের পর এক ঘটনার তদন্ত এখন কোথায় দাঁড়িয়ে?
ছবি: Satyajit Shaw/DW
আনিস নিয়ে রিপোর্ট পেশ
গত মঙ্গলবার আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে প্রোগ্রেস রিপোর্ট পেশ করেছে পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একজন হোমগার্ড ও একজন সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। দুইজন এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কী জানিয়েছে সিট
সিট ৮২ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানে তারা তদন্তের বিবরণ দিয়ে জানিয়েছে, এখন তাদের তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে। হাইকোর্টে আগামী ২৫ এপ্রিল আবার মামলার শুনানি হবে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন বাবা
আনিসের বাবা সালেম খান বলেছেন, রাজ্য পুলিশের উপর তার কোনো ভরসা নেই। তার অভিযোগ, পুলিশই তার ছেলেকে মেরেছে। তাই তিনি সিবিআই তদন্ত চান। যদি দরকার হয়, তার জন্য তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ক্ষমা চাইতে হবে
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সালেম খান নানা ধরনের কথা বলছেন। তার মধ্যে বেশ কিছু কথা আপত্তিকর। সালেম খানকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেছেন তিনি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বগটুই নিয়ে সিবিআই
রামপুরহাটের বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। দুইটি ঘটনার আলাদা তদন্ত হচ্ছে। একটা ভাদু শেখের হত্যার এবং অন্যটি গ্রামে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার। এখনো পর্যন্ত মোট ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে সিবিআই করেছে জনা সাতেককে। বাকিদের পুলিশ আগে করেছিল।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার
গত ৭ এপ্রিল মুম্বই থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। অভিযোগ, এই চারজন মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঘনিষ্ঠ ও বগটুই-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এছাড়া সমীর শেখ নামে একজনকে প্রথমে দীর্ঘ জেরা করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপরের ছবিতে বগটুইতে তদন্তরত সিবিআই অফিসাররা ।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
হাঁসখালির তদন্ত
হাঁসখালিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে তার ছেলের ঘরে গিয়ে বিছানার চাদর ও রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সূত্র জানাচ্ছে, যেহেতু মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তাই এখানে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিছানার চাদর ও রক্তের নমুনা খুবই কাজে লাগবে বলে সিবিআই মনে করছে। উপরের ছবিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কতদিন লাগবে?
সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। ফলে হাঁসখালির তদন্ত কবে শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সূত্র জানাচ্ছে, হাঁসখালি হলো ওপেন অ্যান্ড শাট কেস। ফলে খুব বেশিদিন লাগার কথা নয়। উপরের ছবিতে হাঁসখালি গ্রাম।
ছবি: Subrata Goswami/DW
তপন কান্দু হত্যার তদন্ত
পুরুলিয়ায় কংগ্রেস পুরসভা সদস্য তপন কান্দু হত্যা নিয়েও সিবিআই তদন্ত করছে। এই মামলায় এক প্রত্যক্ষদর্শীকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা গেছে। তার মোবাইল পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশ বৃহস্পতিবার তা উদ্ধার করেছে। কল-লিস্ট খতিয়ে দেখে বেশ কিছু সূত্র পাওয়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে চারজন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করেছে রাজ্য সরকার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
এসএসসি দুর্নীতি
এই মামলায় চারজনকে জেরা করেছে সিবিআই। সবে তারা তদন্ত শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত এই মামলায় তারা খুব একটা এগোতে পারেনি বলে সূত্র জানাচ্ছে।
ছবি: Central Bureau of Investigation
অনুব্রত মণ্ডল
সিবিআই গরুপাচার ও কয়লাকাণ্ড নিয়ে অনুব্রতকে জেরা করার জন্য ডেকেছিল। কিন্তু বীরভূমের তৃণমূল নেতা কলকাতা এসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনুব্রত চিকিৎসাধীন। সিবিআই তারপর আর এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ছবি: Satyajit Shaw/DW
11 ছবি1 | 11
অভিনেতা ঋদ্ধি সেন বলেছেন, ''কিছুদিন আগেই দেখেছি, নাট্যকর্মীর গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এই সব ঘটনা থেকে শাসক তৃণমূলের ভীত চেহারা দেখা যাচ্ছে। কখন মানুষ এরকম করে? যখন তারা মরিয়া হয়ে ওঠে।''
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য বলেছেন, ''নিরুপম মানসিকভাবে বিচলিত থাকেন। তিনি যে নাটক করেন, তা চাঁদা তুলে করেন। আমরা সাহায্য করি। আমরা পঞ্চায়েত থেকে নাটক করার জায়গা থেকে আবর্জনা পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছি।''
রানাঘাটের আগে বরানগর ও বেলেঘাটাতে নাট্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছিলেন।