বিষয়টি আইনি ও সামাজিক বিতর্ক উসকে দিয়েছে৷ সরকারি মতে, বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে একে ধর্ষণ বলা যায় না৷ ওদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির অবস্থান এক্ষেত্রে বিপ্রতীপ৷ তাই দায়ের করা হয়েছে জনস্বার্থ মামলা, চলছে শুনানি৷
বিজ্ঞাপন
গত সপ্তাহে মোদী সরকার ধর্ষণ সংক্রান্ত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ (২) ধারাটি সমর্থন করে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট ঐ ধারায় বলা হয়, কোনো ব্যক্তি যদি তার ১৫ থেকে ১৭ বছরের, অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়স্কা বিবাহিত স্ত্রীকে জোর করে যৌনমিলনে বাধ্য করে, তবেও সেটা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না৷ কারণ ভারতীয় সমাজে বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা এর সঙ্গে জড়িত৷ জড়িত ধর্মীয় সংস্কার৷
এর মানে এই যে, স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করলেও ভারতীয় সংস্কৃতি ও সংস্কারের প্রেক্ষিতে তা মেনে নিতে হবে৷ ‘ইন্ডিপেনডেন্ট থট' নামে এক এনজিও-র দাখিল করা জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বিনু টামটা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম বি লোকুরের এজলাসে এই মর্মে বক্তব্য পেশ করে বলেছেন, মেয়েটির বয়স যদি ১৮ বছরের নীচে হয়, তাহলেও সেটা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না৷ বরং ঘটনাটিকে গণ্য করতে হবে ব্যতিক্রম হিসেবে৷ নাবালিকার বিবাহ পরিহারযোগ্য৷ কিন্তু ভারতীয় সমাজের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার নিরিখে সেটা নাকি বন্ধ করা সম্ভব নয়৷ সুতরাং সেটা গ্রহণযোগ্য৷
যেসব দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ইউনিসেফ-এর ‘স্টেট অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন’ রিপোর্টে বিভিন্ন দেশের বাল্যবিবাহের হিসাব রয়েছে৷ মেয়েদের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে হলে সেটিকে বাল্যবিবাহ হিসেবে গণনা করে ইউনিসেফ৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/P. Hatvalne
নাইজার (৭৬%)
ইউনিসেফ বলছে, আফ্রিকার এই দেশটিতেই বাল্যবিবাহের হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি৷ সেখানে মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৫৷ তবে এটি পরিবর্তন করে ১৮ করার প্রস্তাব করা হয়েছে৷ মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয়ার পেছনে দরিদ্রতা একটি অন্যতম বড় কারণ হিসেবে কাজ করে৷ এছাড়া বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে মেয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়লে সামাজিকভাবে যে হেনস্তার শিকার হতে হয়, তা এড়াতেও মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার৷
ছবি: picture alliance/Godong
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (৬৮%)
দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই দেশটিতে মেয়েদের বিয়ে করার বা দেয়ার বৈধ সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ তবে বাবা-মা ১৩ বছর বয়সি মেয়েরও বিয়ে দিতে পারেন, যদি আদালত অনুমতি দেয় কিংবা মেয়েটি যদি গর্ভবতী হয়৷ বাবা-মায়ের অনুমতি সাপেক্ষে তার চেয়েও কমবয়সি মেয়েদের বিয়ে দেয়া বৈধ সেখানে৷
ছবি: Reuters
চাড (৬৮%)
২০১৫ সালের জুনে চাডের সংসদে পাস হওয়া অর্ডিন্যান্সে, মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়েছে৷ এছাড়া বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িতদের জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/O.Cicek
মালি (৫৫%)
মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর৷ তবে শরিয়া আইন অনুযায়ী ১৬ বছরের কমবয়সি মেয়েদেরও বিয়ে দেয়া যেতে পারে৷ কমবয়সি মেয়েদের সাধারণত দ্বিতীয়, তৃতীয় কিংবা চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে থাকে বেশি বয়সি পুরুষরা৷
ছবি: Joel Saget/AFP/Getty Images
বাংলাদেশ (৫২%)
মেয়েদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮, ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১৷ তবে সম্প্রতি পাস হওয়া একটি আইনে ‘বিশেষ প্রেক্ষাপট’ বিবেচনায় ১৮ বছরের কম বয়সিদেরও বিয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/A. Joyce
বুর্কিনা ফাসো (৫২%)
২০ থেকে ২৪ বছর বয়সি নারী, যাদের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে, তাদের সংখ্যা ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ৷ ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য এতে ব্যবহার করা হয়েছে৷ বুর্কিনা ফাসোতে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার ১০ শতাংশ৷ আর ১৮ বছরের কমবয়সিদের ক্ষেত্রে হারটি ৫২ শতাংশ৷
ছবি: Getty Images/P.Parrot
গিনি (৫২%)
মা-বাবা’র অনুমতি নিয়ে বা না নিয়ে ১৮ বছরের ছেলে কিংবা মেয়ে সেখানে বিয়ে করতে পারেন৷ দেশটিতে যার যতজন অল্পবয়সি স্ত্রী আছে তার সামাজিক মর্যাদা তত বেশি বলে ধরে নেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. von Trotha
দক্ষিণ সুদান (৫২%)
চরম দারিদ্র্য, যুদ্ধ, দেশের অস্থির পরিবেশ, শিক্ষিতের হার কম হওয়া, মেয়েদের শিক্ষার সুযোগের অভাব - এসব নানা কারণে আফ্রিকার সবচেয়ে নবীন দেশটিতে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেয়া হচ্ছে৷ অল্প বয়সি মেয়ে ও তাদের পরিবার মনে করে, বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/M.Elshamy
মোজাম্বিক (৪৮%)
মেয়েদের জন্য বিয়ের বৈধ সর্বনিম্ন বয়স ১৮৷ তবে পরিবারের সম্মতিতে ১৬ বছর বয়সিরাও বিয়ে করতে পারে বা তাদের বিয়ে দেয়া যায়৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/S.Mohamed
ভারত (৪৭%)
মেয়েদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ১৮, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১৷ দেশটিতে ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের মধ্যে বিয়ের হার প্রায় ১৮ শতাংশ৷ ভারতের অনেক সমাজে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে বোঝা মনে করা হয়৷ বিয়ে দেয়ার মাধ্যমে সেই বোঝা স্বামীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া যায় বলে মনে করে অনেক পরিবার৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/P. Hatvalne
10 ছবি1 | 10
সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে নাবালিকা স্ত্রীর সংখ্যা ২ কোটি ৩০ লক্ষের মতো৷ আদালতের রায় যদি ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারার বিরুদ্ধে যায়, তাহলে ঐ সব নাবালিকাদের স্বামীর শাস্তি হতে পারে৷ বলা বাহুল্য সেক্ষেত্রে ঐ সব মেয়েদের জীবন আরও দুর্বিষহ হোয়ে উঠবে৷ ঐ এনজিও-র আইনজীবী গৌরব আগরওয়াল এর জবাবে বলেন, ভারতে ১৮ বছরের একটি মেয়ে সাবালিকা বলে গণ্য হয়৷ সেই মেয়ের বিয়েই আইনত গ্রাহ্য৷ স্বামীর সঙ্গে যৌনমিলনের ক্ষেত্রেও সেটা প্রয়োজ্য৷ মেয়ের বয়স এর নীচে হলে সেই বিবাহ আইনত অবৈধ৷ এমনকি নাবালিকা স্ত্রীর সম্মতিতেও পুরুষ ও মেয়ের যৌন মিলন আইনত অপরাধ৷ সরকারের আর্জি খারিজ না করলে আদালতের রায়ে বাল্য বিবাহকেই সমর্থন করা হবে৷ তাই ধর্ষণ সংক্রান্ত বর্তমান ধারাটির সংশোধন জরুরি৷ কারণ এ ধারায় বলা হয়েছে, নাবালিকা স্ত্রীর ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় স্বামীর সঙ্গে যৌনমিলন অপরাধ নয়৷ মেয়ের বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে স্বামীর সঙ্গে সহবাস যেমন গ্রাহ্য, সেই একই নিয়ম ১৮ বছরের নীচে বিবাহিতা মেয়ের ক্ষেত্রেও ঐ একই নিয়ম প্রযোজ্য হওয়া উচিত৷ উল্লেখ্য, বর্তমান আইনে ১৮ বছরের নীচে একটি মেয়ে নাবালিকা৷ কিন্তু বিয়ে হলেই সে সাবালিকা হয়ে যাবে৷ এটা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত হতে পারে? হিউম্যান রাইটস ওয়াচ গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান মীনাক্ষী গাঙ্গুলির মতে, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণে নাবালিকা স্ত্রীকে ধর্ষণ অবৈধ না বলাটাও সরকারের দিক থেকে অপরাধ৷ সরকারের এই বার্তা ভারতের লিগ্যাল সিস্টেমকে আঘাত করতে পারে৷
বিষয়টির সামাজিক এবং আইনি দু'টো দিকই আছে৷ কাজেই খুঁটিয়ে পরীক্ষা না করে রায় দেওয়া যাবে না৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম বি লোকুরে তাই সরকারি আইনজীবীকে বাল্য বিবাহ এবং বাল্য বিবাহ নিবারক অফিসারদের পরিসংখ্যান দাখিল করতে বলেছেন৷ ২০০৬ সালের বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইনে কতগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি৷ বাল্য বিবাহ আটকাতে না পারলে সেটা সরকারের ভূমিকার ওপর প্রশ্নচিহ্ন খাড়া করবে৷ আদালত অবশ্য ওয়াকিবহাল যে ভারতে আকছার বাল্য বিবাহ, অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে৷ এছাড়া নাবালিকা মেয়ে, যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৭ বছর, তাদের কী রকম দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, সেটাও বিশদভাবে পরীক্ষা করা দরকার, বলেছে আদালত৷ শুধু আইন করে তা সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে না৷ পাশাপাশি দরকার সামাজিক সচেতনতা ও আন্দোলন৷
সমাজের হালহকিকত হলো, স্ত্রী মানেই যেন স্বামীর সম্পত্তি৷ স্বামীর যৌনপুতুল সর্বস্ব৷ সে শিক্ষিতা হোক বা অশিক্ষিতা৷ নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা, অধিকার, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সব যেন ভেসে গেছে পুরুষতান্ত্রিকতায়৷ এমনও দেখা গেছে যে, গর্ভবতী স্ত্রীকে সম্ভোগ করতে গিয়ে গর্ভপাত পর্যন্ত হয়েছে৷ কিন্তু তাতে কী? দেহসুখই যে আগে! আর এই নিয়ে কারও কাছে নালিশ জানাবার সুযোগ পর্যন্ত নেই সংসারে, সমাজে৷ বাড়িতে কাউকে এ বিষয়ে বলতে গেলে আজও শুধু টিটকারি শুনতে হয় নারীদের৷ দৈহিক নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে কেউ সাহস করে পুলিশের কাছে গেলে বাড়ে বিড়ম্বনা৷ বিস্ফারিত চোখে পুলিশ জিজ্ঞাসা করে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ধর্ষণের অভিযোগ? সে কী কথা?
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷
মেয়েদের জন্য সেরা দেশ
২০১৬ সালে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন ফান্ড’ ১৪৪টি দেশে মেয়েদের পরিস্থিতি বিচার করে একটি ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’ তৈরি করে৷ সূচকে ছিল বাল্যবিবাহ, কিশোরী মাতৃত্ব, প্রসূতিমৃত্যু, মহিলা সাংসদদের অনুপাত ও স্কুলের পড়াশুনা৷
ছবি: picture alliance / empics
তালিকার শীর্ষে সুইডেন
তাতে সম্ভবত কেউই বিশেষ আশ্চর্য হবেন না৷ মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার তালিকা যেন শুরুই হচ্ছে ইউরোপের উত্তরে সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে - সেখান থেকে নেমে আসছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক হয়ে স্লোভেনিয়ায়...
ছবি: Getty Images/D. Ramos
১২ নম্বরে জার্মানি
স্লোভেনিয়ার পর পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, ইটালি, স্পেন হয়ে তবে জার্মানি৷ জার্মানির পরপরই অস্ট্রিয়া ও লুক্সেমবুর্গ৷ তারপর আসছে...
ছবি: Reuters/M. Dalder
১৫ নম্বরে ব্রিটেন
‘স্পাইস গার্লস’দের দেশ ব্রিটেনে যে মেয়েরা বেশি সুযোগ পাবে, সেটা ধরে নেওয়াটা বোধহয় ভুল হতো, কেননা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর ইনডেক্সে যে ইন্ডিকেটরগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি সামগ্রিক৷
ছবি: picture alliance / empics
২১ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া
ইউএনডিপি’র হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে এই দেশ কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে৷ ‘গার্লস অপরচুনিটি ইনডেক্স’-এ অস্ট্রেলিয়ার এতটা নেমে যাওয়ার কারণ মহিলা সাংসদদের স্বল্পতা ও কিশোরী মাতৃত্বের অপেক্ষাকৃত উচ্চ হার৷ যুক্তরাজ্য (১৫) বা ক্যানাডার (১৯) স্থানও মূলত ঐ দু’টি কারণে৷
ছবি: Getty Images/S. Barbour
৩২ নম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন তালিকায় যে দেশ অষ্টম, তার স্থান মেয়েদের সুযোগ-সম্ভাবনার বিচারে কাজাখস্তান (৩০) ও আলজেরিয়া (৩১)-এর চেয়েও নীচে৷ এর কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিশোরী মাতৃত্ব ও প্রসূতি মৃত্যুর হার অনুরূপ ধনী দেশগুলির তুলনায় বেশি৷ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র্রে প্রতি এক লক্ষ শিশুর জন্মে ১৪ জন প্রসূতি মারা যান, যেখানে পোল্যান্ড, গ্রিস বা ফিনল্যান্ডে প্রতি এক লাখ শিশুর জন্মে তিনজন করে মা প্রাণ হারান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Rain
৬০ নম্বরে শ্রীলঙ্কা
উপমহাদেশের দিকে নজর দিলে, সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে শ্রীলঙ্কা...
ছবি: Messe Berlin
৮৮ নম্বরে পাকিস্তান
এটাকেও চমক বলা চলে...
ছবি: Mirza Tours
৯০ নম্বরে ভারত
এটাকে চমক বলা চলে না...
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam
১১১ নম্বরে বাংলাদেশ
বাদবাকি উপমহাদেশের মতোই, এখানেও অনেক কিছু করা বাকি৷
ছবি: N.Seelam/AFP/GettyImages
১৪৪ নম্বরে নাইজার
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলির মধ্যে পড়ে৷ নাইজারের মতো দেশে দারিদ্র্যকেই মেয়েদের দুরবস্থার মূল কারণ বলে ধরে নেওয়া চলে৷