1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাভালনির জেল, কড়া অবস্থান ম্যার্কেলের

১৯ জানুয়ারি ২০২১

৩০ দিনের জেল হলো রাশিয়ার পুটিন-বিরোধী রাজনীতিক নাভালনির। কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন ম্যার্কেল।

নাভালনি
ছবি: Kira_Yarmysh/AP/picture alliance

রোববার তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছিল রাশিয়ার পুলিশ। সোমবার তাঁকে থানার ভিতরেই আদালত তৈরি করে বিচারকের সামনে পেশ করা হলো। বিচারক পুটিন-বিরোধী নাভালনিকে ৩০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ শুনিয়েছেন। আদালতেই সহকর্মীদের টেলিফোনে একটি ভিডিওবার্তা রেকর্ড করেছেন নাভালনি। যেখানে তিনি বলেছেন, দেশে আইন বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। বিচারের নামে প্রহসন চলছে।

কয়েক মাস আগে নাভালনিকে স্নায়ুর বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল রাশিয়ার প্রশাসন। এমনই অভিযোগ জার্মানি সহ বিশ্বের একাধিক দেশের। রাশিয়ায় সেই ঘটনা ঘটার পরে নাভালনিকে নিয়ে আসা হয়েছিল জার্মানিতে। বার্লিনে দীর্ঘদিন তাঁর চিকিৎসা হয়। প্রাথমিক ভাবে কোমায় চলে গেলেও ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন পুটিনের তীব্র বিরোধী এই রাশিয়ান রাজনীতিবিদ তথা ব্লগার। জার্মানি তাঁকে আশ্রয় দিতে চাইলেও নাভালনি জানিয়েছিলেন, সুস্থ হলেই তিনি দেশে ফিরবেন। কারণ রাশিয়াই তাঁর মাতৃভূমি।

ভ্লাদিমির পুটিনের প্রশাসনও জানিয়ে দিয়েছিল, দেশে ফিরলেই নাভালনিকে গ্রেফতার করা হবে। তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করেছে সরকার। গ্রেফতারের হুমকি থাকলেও গত রোববার দেশে ফেরেন নাভালনি। বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মস্কোর অদূরে একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সোমবার সেই থানাতেই অস্থায়ী আদালত তৈরি করা হয়।

সোমবারের অস্থায়ী আদালতে বিচারক দুই পক্ষের ঘটনা শোনার পরে নাভালনিকে ৩০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই আদালতেই সহকর্মীদের ফোনে একটি ভিডিওবার্তা রেকর্ড করেন নাভালনি। সেখানে তিনি বলেছেন, 'দেশে বিচারের নামে প্রহসন চলছে। আইনকানুনের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সকলে রাস্তায় নামুন। আমার জন্য নামতে হবে না, নিজেদের সুরক্ষার জন্য নামুন।' বস্তুত, এ দিন যখন নাভালনির বিচার চলছে, থানার বাইরে তখন প্রায় ২০০ জন সমর্থক ভিড় জমিয়েছিলেন।

নাভালনির গ্রেফতার এবং বিচার নিয়ে অবশ্য রাশিয়ার প্রশাসন বিশেষ উচ্চবাচ্য করছে না। ক্রেমলিনের মুখপাত্র সোমবার বলেছেন, এ বিষয়ে তাঁর বিশেষ কিছু জানা নেই। প্রশাসন তাদের কাজ করছে। ভ্লাদিমির পুটিনও নাভালনির ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি। বস্তুত, আজ পর্যন্ত তিনি নাভালনির নাম কখনো ব্যবহার করেননি। অধিকাংশ সময়েই তাঁকে সম্বোধন করেছেন 'ব্লগার' বলে। সম্প্রতি একবার তাঁকে 'বার্লিনের রোগী' বলেও সম্বোধন করেছেন তিনি।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল অবশ্য সোমবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। রোববার তিনি নাভালনির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছিলেন। সোমবার তিনি বলেছেন, নাভালনিকে না ছাড়লে রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ