1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নামিবিয়ায় প্রাণিজগতের সঙ্গে সংঘাত এড়ানোর উদ্যোগ

১১ মার্চ ২০২২

জলবায়ু পরিবর্তনের কুপ্রভাব মানুষ ও বন্যপ্রাণীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে৷ নামিবিয়ার কিছু মানুষ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে সংঘাতের বদলে প্রাণিজগতের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নতুন ছন্দ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন৷

ছবি: DW

সিংহের হামলার কারণে নামিবিয়ার পশু পালনকারী ইমানুয়েল গুরিরাব তার প্রায় অর্ধেক পশু হারিয়েছেন৷ অর্থাৎ, তার সম্পদের একটা বড় অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে৷ বন্য প্রাণীর হামলা ঘটলে সরকার ক্ষতিপূরণ দেয় বটে, কিন্তু সেই অংক বাজারদরের প্রায় অর্ধেকের মতো৷ ইমানুয়েল বলেন, ‘‘মরুভূমির বন্য প্রাণী, সিংহ ও হাতি আমাদের অনেক ক্ষতি করে৷ এখানে বন্য প্রাণী থাকলে আমাদের কোনো উপকার হয় না৷ গবাদি পশুই আমাদের উপার্জনের উৎস, এভাবেই আমাদের আয় হয়৷''

গোয়ালঘরের কাছে গুরিরাব হায়নার তাজা পায়ের ছাপ আবিষ্কার করেন৷ বাদামী হায়না ছাগল শিকার করে না৷ আরো হিংস্র প্রজাতির ডোরাকাটা হায়না হয়তো সেখানে এসেছিল৷ ইমানুয়েল গুরিরাব মনে করেন, ‘‘সরকার হায়না না সামলালে আমাদের হাতে অন্য কোনো উপায় থাকবে না৷ তখন গুলি করে হায়না মারার পরিকল্পনা রয়েছে৷''

পশু পালনকারী হিসেবে ফিনেয়াস কাসাওনাও হায়না ও সিংহ মেরেছেন৷ আজ তিনি আনাবেব অভয়ারণ্যের সদস্য হিসেবে সেই সব প্রাণী সংরক্ষণ করছেন৷ নব্বইয়ের দশক থেকে কাসাওনার মতো চাষি প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলে নিজস্ব এই প্রকৃতি সংরক্ষণ এলাকা গড়ে তোলেন৷ আজ নামিবিয়ার প্রায় এক পঞ্চমাংশ সেই এলাকার আওতায় এসে গেছে

নামিবিয়ায় বন্যপ্রাণীর সঙ্গে মানুষের দ্বন্দ্ব

04:40

This browser does not support the video element.

আগের রাতে প্রতিবেশীর সবজি খেতে হাতির তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে৷ আগামী রাতগুলিতে কাসাওনা সেখানে পাহারা দেবেন৷ তবে সমস্যা সত্ত্বেও চাষিরা প্রাণী সুরক্ষার পক্ষে৷ ফিনেয়াস কাসাওনা এমনই একজন গবাদি পশু পালনকারী৷ তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি বদলে গেছে৷ আগে কোনো গবাদি পশু হায়নার শিকার হলে সেটির পিছু নিয়ে মেরে ফেলা হতো৷ আজ আমরা ভিন্ন এক পৃথিবীতে বাস করি৷ এখন বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হয়েছে৷ আমরা এখন প্রাণীর দেখাশোনা করলে বরং উপার্জন করতে পারি৷ প্রাণীর সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলার চেষ্টা করলে আখেরে লাভ হয়৷''

চাষিরা সীমিত আকারে গবাদি পশু পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যেখানে বন্য প্রাণীর সঙ্গে সহাবস্থান সম্ভব৷ অ্যান্টিলোপ হরিণের সংখ্যা বাড়ার পর থেকে বন্য প্রাণীর হামলাও কমে গেছে৷

পর্যটকদের আগমনের ফলে আনাবেব যথেষ্ট আয় করছে৷ সেই অর্থ কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ এবং একটি কিন্ডারগার্টেন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে৷

স্কেলেটন কোস্টের এক রেঞ্জার এমসি ভারওয়েকে জানালেন যে এক হাতি শাবক নিখোঁজ৷ আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হলো৷ টানা খরার কারণে মায়ের বুকে আর দুধ ছিল না বলে শাবকও অভুক্ত ছিল৷ সেটিকে কিছুতেই বাঁচানো গেল না৷ বৈজ্ঞানিক সমন্বয়ক হিসেবে এমসি ভারওয়ে বলেন, ‘‘এটাই এখানকার জীবনের কঠিন বাস্তব৷ সব মরে যাচ্ছে, শুধু তুমি বেঁচে থাকছো৷ সবে গতকাল শাবকটির জন্ম হয়েছিল৷ সত্যি নির্মম বাস্তব, শাবকটি বাঁচার সুযোগই পেলো না৷... আমি সব প্রাণী ভালোবাসি এবং তাদের জন্য সাধ্যমতো সব করছি৷ কিন্তু কোনো এক সময়ে হাল ছাড়তে হয়৷ এখানে মৃত্যু জীবনেরই অংশ৷

দীর্ঘ শুষ্ক মরসুম বেঁচে থাকার সংগ্রাম আরও কঠিন করে তুলছে৷ ফলে বাঁচার তাগিদে হায়না ও অন্যান্য বন্য প্রাণীকে নতুন জায়গার সন্ধান করতে হচ্ছে৷ ভারওয়ের মতো প্রকৃতি সংরক্ষণকারী এবং স্থানীয় সংরক্ষণের উদ্যোগের কল্যাণে মানুষ ও প্রাণিজগত নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে মরুভূমির কঠিন পরিবেশেও টিকে থাকতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

২০১৮ সালের ছবিঘর

স্টেফান ম্যোল/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ