1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীদের মুষ্টিযুদ্ধে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন আফগান মেয়েদের

২ জানুয়ারি ২০১২

নারীদের জন্য মুষ্টিযুদ্ধ যেখানে বিশ্বের অনেক দেশেই বিরল, সেখানে আফগানিস্তানের মতো দেশে শবনম এবং সাদাফ রাহিমি মুষ্টিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চান৷ অলিম্পিকে লড়ে জয় করতে চান স্বর্ণ পদক৷

প্রশিক্ষণে আফগান নারী সাদাফছবি: AP

২০০৭ সালে আফগানিস্তানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির উদ্যোগে শুরু হয় নারীদের জন্য মুষ্টিযুদ্ধ প্রশিক্ষণ৷ সেখানে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন মুষ্টিযুদ্ধে সাবেক চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মাদ সাবের শারিফি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই যে, আফগান নারীরাও সেরা হতে পারে৷ তারা সবকিছুই পারে, এমনকি মুষ্টিযুদ্ধও৷'' দেশটির অলিম্পিক কমিটি ছাড়াও স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘কো-অপারেশন ফর পিস অ্যান্ড ইউনিটি' নারী মুষ্টিযোদ্ধাদের এই দলটিকে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে বলে জানান শারিফি৷

তবুও মুষ্টিযোদ্ধাদের জন্য সরবরাহকৃত সরঞ্জামাদির অবস্থা বেশ করুণ৷ একটি সাদামাটা শরীরচর্চা কেন্দ্রের মধ্যে তারা অনুশীলন করছেন৷ সেখানে থাকা আয়নাগুলো ভাঙাচোরা৷ দেয়ালের প্রলেপও কিছু কিছু জায়গায় খসে গেছে৷ শক্ত মেঝের উপর রং চটা কার্পেট৷ এমনকি অনুশীলনের সময় এতোটা ধুলা ওড়ে যে, কেউ কেউ সেটা থেকে বাঁচতে নাকের উপর মুখোশ বা ঢাকনা পরেন৷ তবুও সকল সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাহসী আফগান নারীরা৷

চলছে অনুশীলনছবি: AP

১৮ বছর বয়সি সাদাফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এটা আমার স্বপ্ন যে আমি মুষ্টিযোদ্ধা হবো৷ প্রথম দিকে আমার বাবা তাতে রাজি হননি৷ তিনি বলতেন যে, মেয়েদের মুষ্টিযুদ্ধ করা উচিত নয়৷ তবে আমি প্রথম পদক জয়ের পর তিনি তাঁর মত পাল্টান৷''

সপ্তাহে তিন দিন মেয়েরা গাজি স্টেডিয়ামে যান মুষ্টিযুদ্ধ অনুশীলনের জন্য৷ অথচ এই স্টেডিয়ামটি তালেবান শাসনামলে প্রকাশ্য শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো৷ তাদের দৃষ্টিতে অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নারীদের এখানে এনে প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারা হতো৷ সেই কথা স্মরণ করে সাদাফ বলেন, ‘‘তালেবান সরকারের আমলে আমাদের পরিবার ইরান পালিয়ে গিয়েছিল৷ তবে আমি শুনেছি, এখানে নারীদের হত্যা করা হতো৷ তাই আমি যখন এখানে একা অনুশীলন করি তখন সেই নির্মম নির্যাতনের কথা ভেবে আতঙ্কিত হই৷''

যাহোক, এমন অবস্থায়ও অনুশীলন চালাচ্ছেন এবং তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক আসর থেকে স্বর্ণ পদক জয়ের৷ অবশ্য লন্ডন আসরে লড়াই করার আগে তাদেরকে আগামী মে মাসে চীনে অনুষ্ঠিতব্য বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হতে হবে৷ অবশ্য শবনম গত বছরে তাজিকিস্তানে আন্তর্জাতিক আসরে স্বর্ণ পদক লাভ করেন এবং ছোট বোন সাদাফ জিতেছিলেন রৌপ্য পদক৷ তাই লন্ডন আসরের ব্যাপারেও তারা বেশ আশাবাদী৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ