1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীদের যৌন দাস হতে বাধ্য করছে আইএস: অ্যামনেস্টি

২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর জঙ্গিরা ইয়াজিদি নারী ও শিশুদের ধরে নিয়ে তাদের জোর করে যৌন দাসত্ব গ্রহণে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এ থেকে বাঁচতে কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷

Jesiden im Nordirak Flüchtlinge Mädchen
ছবি: DW/Andreas Stahl

৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারী, যারা আইএস-এর কাছ থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি৷ সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডোনাটেলা রোভেরা জানান, ‘‘বন্দিদের মধ্যে যারা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তাদের অনেকেরই বয়স ১৪, ১৫ কিংবা তার চেয়েও ছোট৷''

আইএস যোদ্ধারাই মূলত এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানালেও আইএস সমর্থকরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করছে অ্যামনেস্টি৷

ধর্ষিত হওয়ার ভয়ে আটক কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলেও জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷ যেমন জিলান নামের ১৯ বছরের এক তরুণী ধর্ষিত হতে পারে আশংকা করে আত্মহত্যা করেছে বলে অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছে ঐ মেয়ের ভাই৷ জিলানের সঙ্গে আটক এক তরুণী, যিনি কোনোরকমে পালিয়ে বাঁচতে পেরেছেন, তিনিও জিলানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ ‘‘সে (জিলান) তার হাত কেটে ফেলে৷ তারপর ঝুলে পড়ে৷ সে অনেক সুন্দরী ছিল৷ আমার মনে হয় সে জানতে পেরেছিল যে তাকে একটি মানুষ নিয়ে যাবে এবং সে জন্য সে নিজেকে শেষ করে দিয়েছে৷''

১৬ বছরের মেয়ে রান্দা অ্যামনেস্টিকে তার ধর্ষিত হওয়ার খবর বলেছে৷ প্রথমে তাকে তার পরিবার সহ অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া যায়৷ তারপর তার চেয়ে দ্বিগুণ বয়সের এক পুরুষ তাকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে রান্দা৷ ‘‘তারা আমার ও আমার পরিবারের সঙ্গে যা করেছে তা খুবই বেদনাদায়ক৷''

আইএস-এর হাতে যারা বন্দি আছে, এমনকি যারা পালিয়ে আসতে পেরেছে তাদের মনের উপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়বে৷ রোভেরা বলেন, ‘‘এই নারীরা যে ধরনের ভয়ংকর যৌন সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছে তার যে শারীরিক ও মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব সেটা মারাত্মক বিপর্যয়কর৷

‘‘তাদের অনেককেই এমনভাবে নির্যাতন করা হয়েছে যেন তারা তাদের ব্যক্তিগত অস্থাবর সম্পত্তি,'' বলেন অ্যামনেস্টি কর্মকর্তা রোভেরা৷

শরিয়া অনুযায়ী করা হয়েছে!

জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর প্রচারণা বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দাবিক'-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘‘ইয়াজিদি নারী ও শিশুদের আটকের পর শরিয়া মেনে সিনজার অভিযানে যে আইএস যোদ্ধারা অংশ নিয়েছে, তাদের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা করে দেয়া হয়েছে৷''

উল্লেখ্য, ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে অবস্থিত সিনজার পর্বতাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর সেখানে বসবাসরত অনেক ইয়াজিদি নারী ও শিশুদের অপহরণ করে আইএস৷

জার্মানিতে কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা

আইএস জঙ্গিদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার নারীদের ‘ট্রমা' কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করতে জার্মানিতে একটি কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন জার্মানির উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার৷ সেখানে কমপক্ষে একশ' জন নারীকে সহায়তা দেয়া যাবে বলে ‘বিল্ড' পত্রিকাকে জানান তিনি৷ তবে কবে সেটা চালু হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি মন্ত্রী৷

জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ